RSS

শেখ হাসিনার বৈশ্বিক নেতৃত্ব

শেখ হাসিনার বৈশ্বিক নেতৃত্ব

বিশ্বশান্তি ও উন্নয়ন প্রসঙ্গ

‘দেশ ও বিশ্বপরিম-লে শেখ হাসিনা আজ গণতন্ত্র, উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও শান্তির প্রতীক। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘে অনেকগুলো প্রস্তাব আনে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবকল্যাণ, টেকসই উন্নয়ন এবং সকল জাতিসত্তার অব্যাহত উন্নয়ন ও মুক্তি।’

000-----01

ড. আব্দুল মোমেন: প্রাণঘাতী যুদ্ধ-বিগ্রহ আর অযুত মানুষের হত্যাযজ্ঞের ওপর দাঁড়িয়ে শান্তির অন্বেষায় ১৯৪৫ সালে যে বিশ্ব সংস্থাটির জন্ম, সেই জাতিসংঘ পরিপূর্ণারূপে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সফল হয়েছে কি-না তা এখনও বিশ্বজুড়ে একটি আলোচ্য বিষয়। তবুও সাবেক মহাসচিব দ্যাগ হ্যামার্শ্যল্ড-এর ভাষায় বলতে হয়, ‘জাতিসংঘ আমাদের স্বর্গে নিতে না পারলেও নরক থেকে দূরে রাখতে সমর্থ হয়েছে।’ পৃথিবীর নানা অঞ্চলের সংঘাতপূর্ণ বিষয় ও সমস্যার ওপর আলোচনা, বিতর্ক ও সংলাপ যেমন জাতিসংঘ আয়োজন করে চলেছে, তেমনি সংস্থাটি অন্তত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এই পর্যন্ত ঠেকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছেÑ এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। আশার কথা হচ্ছে, এই যে জাতিসংঘের নিরলস প্রয়াসের কারণেই আজ পৃথিবীতে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমেছে, প্রসূতি মায়েরা অধিক হারে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিচ্ছে, লাখ লাখ শিশু স্কুলে যাচ্ছে এবং কোটি কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধার ভয়াল চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। তবে এই অর্জন সম্ভব হতো না, যদি বৈশ্বিক নেতৃত্বের গতিশীলতা, দৃঢ়সংকল্প ও প্রয়াস না থাকতÑ যারা স্ব-স্ব দেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ইস্পাত কঠিন সংকল্প নিয়ে কাজ করেছেন এবং এখনও করে চলেছেন। তেমনি এক নেতৃত্ব জাতিসংঘের স্বীকৃৃতিসহ সারা পৃথিবীতে সুশাসনের জন্য নিজের দেশের সম্মান ও গৌরব বৃদ্ধি করেছেন। নিজের দেশসহ সারা পৃথিবীতেই নিরাপত্তা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্তি এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য এই নেতৃত্ব বিশ্বসভায় অগ্রসর অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। সেই নেতৃত্ব আর কেউ নন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লেও আজ ন্যায় ও সুশাসন এবং উন্নয়নের প্রতীক বলে খোদ জাতিসংঘই বলছে বাংলাদেশ ও দেশটির নেতা শেখ হাসিনার কথা।_-.j1pg21

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন সুশাসন ও মানবতার প্রতি বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনার এই সংকল্প? কেন তিনি নিজের দেশের মানুষ এবং বিশ্বের জন্য দারিদ্র্য দূরীকরণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত? কেন তিনি বৈষম্যহীন এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি ‘সোনার বাংলা’ গঠনের স্বপ্নে বিভোর? কেন তিনি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বিশ্বে সন্ত্রাস ও ধর্মীয় উগ্রবাদমুক্ত পৃথিবী উপহার দিতে প্রয়াসী? কেন তিনি নিজের দেশ এবং পৃথিবীর নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ? জাতি, লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ এবং দেশের সীমারেখা নির্বিশেষে কেন তিনি একটি সহনশীল ও নিরাপদ বিশ্ব গঠনে জাতিসংঘকে অকুণ্ঠ সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছেন? কেন দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘ সনদের আলোকে আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং বহুমাত্রিক কূটনৈতিক তৎপরতার প্রতি এতটা আস্থাশীল হয়ে বৈশ্বিক শান্তির পতাকা বয়ে বেড়াতে তিনি সদা তৎপর? এ প্রশ্নগুলো গভীরভাবে ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে।_--_22-

শেখ হাসিনা এমন একটি সমাজের মানুষ যেখানে সুদূর অতীত থেকেই, ১৪৯২ সালে কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার বা ষোড়শ শতাব্দীর ইউরোপীয় শিল্প বিপ্লবেরও আগে, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিল। কবি চ-ীদাসের ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’, কিংবা কাজী নজরুল ইসলামের ‘গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’Ñ এসব লেখায় আমরা সেই ইতিহাসের সাক্ষ্য পাই। চ-ীদাসের এ দর্শনতত্ত্ব বাঙালির মনন ও মানসের এতটাই গভীরে প্রোথিত যে তা শতাব্দীর পর শতাব্দী উচ্চারিত হয়েছে। মানবতাই সবার ঊর্ধ্বেÑ তেমনি এক আলোকিত পরিম-ল থেকে উঠে এসেছেন শেখ হাসিনা। তিনি এমন এক পরিবার থেকে এসেছেন, দেশ ও মানবতার জন্য আত্মত্যাগ যাদের অপরিসীম। তার পিতা সারাটা জীবন অতিবাহিত করে গেছেন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য যাকে জেল খাটতে হয়েছে জীবনের দীর্ঘ সময়। তিনি চেয়েছিলেন একটি শোষণমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র যেখানে সকলের জন্য সমানাধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার,_--_2-

অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। তার স্বপ্ন ছিল এমন একটি দেশ যার মূল ভিত্তি হবে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং জননিরাপত্তা; যেখানে থাকবে না ক্ষুধা-দারিদ্র্য, শোষণ এবং অবিচার। এহেন একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে যখন বঙ্গবন্ধু আত্মনিয়োগ করেছেন তার সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশে, ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালে তাকে সপরিবারে হত্যা করে পরাজিত পাকিস্তানিদের দোসর এদেশীয় ঘাতকচক্র। ওই ভয়াল হত্যাকা-ে শেখ হাসিনা কেবল তার পিতাকেই নয়, হারান পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে; এমনকি তার ৯ বছরের ছোট্ট শিশু ভাইকেও রেহাই দেয়নি খুনিরা। শুধু তিনি নিজে এবং তার ছোট বোন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।_2-00

মানুষের জন্য শেখ হাসিনার জীবনসংগ্রাম এখানেই শেষ নয়, তিনি এ পর্যন্ত ২৩ বার প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছেন। প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রেই তার প্রিয় রাজনৈতিক সহকর্মীদের অনেকেই নিহত বা আহত হয়েছেন; নয় তো পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে, প্রিয় সহযোদ্ধাদের হারিয়েও শেখ হাসিনা দমে যাননি। তার লড়াই-সংগ্রাম চলছে। সারাবিশ্বে আর কোনো দেশে এমন একজন নেতা খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি নিজের সর্বস্ব হারিয়েও দেশের আপামর জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার এবং একটি উন্নত-সুন্দর জীবন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিয়ত সংগ্রাম করে চলেছেন। দেশে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষাসহ সকল মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিচল থেকে তিনি কাজ করে চলেছেন নিরন্তর।

এতে সন্দেহের কোনো_4-

অবকাশই নেই যে দেশ ও বিশ্বপরিম-লে শেখ হাসিনা আজ গণতন্ত্র, উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও শান্তির প্রতীক। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘে অনেকগুলো প্রস্তাব আনে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবকল্যাণ, টেকসই উন্নয়ন এবং সকল জাতিসত্তার অব্যাহত উন্নয়ন ও মুক্তি। উদাহরণস্বরূপ, তারই নেতৃত্বে ও তারই আনীত প্রস্তাবের কারণে জাতিসংঘে আজ ‘উন্নয়নের অধিকার’ একটি মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশের সভাপতিত্বে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ১৩২৫ নম্বর প্রস্তাবের কল্যাণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণের প্রতিটি পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনার কল্যাণেই আজ জাতিসংঘে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বা ‘ঈঁষঃঁৎব ড়ভ চবধপব’ চালু হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী জোরালভাবে অনুসৃত হচ্ছে।0

কেন এই শান্তির সংস্কৃতি এতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক? এর মূলনীতি হচ্ছে এমন একটি আবহ সৃষ্টি করা যার মাধ্যমে পরমত সহিষ্ণুতা এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করা যায়Ñ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা এবং নৃ-গোষ্ঠীগত পরিচয় নির্বিশেষে। কেননা, শান্তির সংস্কৃতি বিশ্বাস করে যে, অসহিষ্ণুতা এবং ঘৃণা থেকেই সর্বপ্রকার বিরোধ, সহিংসতা ও যুদ্ধের উৎপত্তি। তাই সকলের মাঝে যদি পারস্পরিক সহিষ্ণুতা এবং শ্রদ্ধাবোধ সৃজন করা যায়, তা হলেই আমরা যুদ্ধহীন ও সংঘাতমুক্ত এক পৃথিবী গড়তে পারব। তা হলেই সম্ভব হবে স্থায়ী উন্নতি, সমৃদ্ধি ও শান্তি অর্জনÑ জাতিসংঘের মূল লক্ষ্যও তাই। আশার কথা এই যে বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনা অনুসৃত শান্তির সংস্কৃতি আজ বিশ্বজুড়ে, সকল জাতির মাঝেই ব্যাপকভাবে অনুভূত হচ্ছে।4

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ আজ সর্বোচ্চ সৈন্যদাতা রাষ্ট্র। যুদ্ধ আক্রান্ত রাষ্ট্রে যাতে সাধারণ মানুষ এবং শান্তিরক্ষীরা সুরক্ষিত থাকে সে বিষয়ে শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর। বিশ্বে তিনিই একমাত্র নেতা যিনি এমনকি বড়দিনের ছুটির মাঝেও জাতিসংঘ মহাসচিবের অনুরোধে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শান্তিরক্ষী প্রেরণের নির্দেশনা দিয়েছেন। শান্তিরক্ষী প্রেরণে তিনি কখনোই কার্পণ্য করেননি। এটি কোনো বিস্ময়ের ব্যাপার নয় যে ১ লাখ ৩৮ হাজার শান্তিরক্ষী বাহিনীর সমন্বয়ে জাতিসংঘ সারা পৃথিবীতে শান্তি রক্ষা করতে সমর্থ হচ্ছে যেসব সৈন্যের অনেকেই তাদের জীবনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন। তারা প্রকৃত অর্থেই শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কারের দাবিদার।523

শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘে দুটি যুগান্তকারী প্রস্তাব আনে ২০১২ সালে, যা সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্বসভায় গৃহীত হয়। এর প্রথমটি ছিল অটিজম ও প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার সংক্রান্ত, আর দ্বিতীয়টি জনগণের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত। তিনি বিশ্বাস করেন, সবারই অংশগ্রহণের সমান সুযোগ রয়েছে, কারোরই বাদ পড়ার কথা নয়। মানবতা ও উন্নয়নে সবাই নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী অবদান রাখতে পারে। তাই অটিজমে আক্রান্ত এবং প্রতিবন্ধী শিশুদের জীবন যন্ত্রণা ও বঞ্চনার বিষয়টি যখন তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন উত্থাপন করেন, বাংলাদেশ দ্রুত এ বিষয়টি বিশ্বসভায় উত্থাপন করে এবং বিশ্বনেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সমর্থন আদায় করে।---2-

অটিজম এবং প্রতিবন্ধিতা সংক্রান্ত অনেকগুলো বড় বড় সভা আহ্বান করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ এবং তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সামনে বিষয়টি উত্থাপিত হওয়ার পরপরই মহাসচিব তা সাধারণ পরিষদে সেগুলো প্রস্তাবিত ও অনুমোদিত হয় এবং সদস্য রাষ্ট্রসহ সবকটি জাতিসংঘ সংস্থার কর্মকা-ে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়। এক্ষেত্রে বৈশ্বিক নেতৃত্বটি অবশ্যই বাংলাদেশের এবং দেশটির নেতা শেখ হাসিনার।

বিগত ৪০ বছরের জাতীয় ও বৈশ্বিক রাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে শেখ হাসিনা জানেন যে সামনের দিনগুলোতে বিশ্বের প্রধানতম চ্যালেঞ্জগুলো হবে জলবায়ু পরিবর্তন, বেকারত্ব, আর্থিক সংকট, দীর্ঘস্থায়ী ক্ষুধা ও দারিদ্র্য এবং এগুলো থেকে উদ্ভূত হাজারও সমস্যা। তাই তিনি বিশ্বাস করেন এই চ্যালেঞ্জগুলো তখনই মানুষ অতিক্রম করতে সক্ষম হবে যখন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা যাবে। একেই তিনি বলছেন জনগণের ক্ষমতায়ন। এটি সম্ভব হলে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তি, সক্ষমতা এবং কার্যকরিতার সাথে মানুষ কাজ করতে পারবে, ফলে সবাই সমভাবে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে পারবে। তাই জনগণের ক্ষমতায়নের প্রতি তিনি এতটা গুরুত্ব আরোপ করেছেন।03_02

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে জনগণকে ক্ষমতায়িত করা যাবে? বিষয়টিকে তিনি ৬টি আন্তঃসংযুক্ত চলকের দ্বারা বিশ্লেষণ করেছেনÑ প্রথমত; মানুষের ক্ষমতায়ন হবে চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্তি সম্ভব হলে, দ্বিতীয়ত; তাদের ক্ষমতায়ন সম্ভব হবে প্রয়োজনীয় দক্ষতা, কারিগরি জ্ঞান ও মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে যাতে করে তারা নিজেরাই কর্মসংস্থান বা উপযুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করে স্বাবলম্বী হবে, তৃতীয়ত; তাদের ক্ষমতায়ন সম্ভব হতে পারে বৈষম্য ও বঞ্চনার অবসানের মাধ্যমে, চতুর্থত; সন্ত্রাস নির্মূল করে একটি নিরাপদ জীবন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন করা যাবে, পঞ্চমত; এতদিন যারা উন্নয়ন ও মূল জীবনধারার বাইরে ছিল, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে ক্ষমতায়ন করা যাবে এবং সর্বোপরি, তাদের ক্ষমতায়ন সম্ভব হবে ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে ও শাসন ব্যবস্থায় সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে।sh10

শেখ হাসিনার ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ ধারণাটি জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনসসহ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নেতৃবৃন্দের মধ্যেও অনুরণিত হয়েছে। ২০১২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ‘রিও+২০ বিশ্ব সম্মেলনে’ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ‘যেমন ভবিষ্যৎ চাই’ শীর্ষক দলিল গ্রহণ করেন যার মধ্যে শেখ হাসিনা প্রণীত জনগণের ক্ষমতায়ন নীতিমালা এবং তার সাথে জড়িত আদর্শ অনুসৃত হয়। উক্ত সম্মেলনে দারিদ্র্য দূরীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়, যার মূল ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে সকলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত স্থিতিশীলতা অর্জন। সম্প্রতি জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব যা, ‘20130 Agenda for Sustainable WorldÕ বা ÔSDGs’ নামে পরিচিত সেটির মূল ভিত্তিই ছিল রিও+২০ তে অনুসৃত শেখ হাসিনার জনগণের ক্ষমতায়ন তত্ত্ব। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা জাতিসংঘে গ্রহণ করেন ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের যথার্থভাবেই শেখ হাসিনা প্রণীত জনগণের ক্ষমতায়ন নীতিমালার আলোকে সবার অন্তর্ভুক্তি, মানসম্মত শিক্ষা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, দারিদ্র্য দূরীকরণ, জনগণের অংশগ্রহণ, আইনের শাসন, সুশাসন ইত্যাদি নির্ধারিত হয়।006

তার গতিশীল নেতৃত্বে জাতিসংঘে বাংলাদেশ কর্তৃক উত্থাপিত প্রতিটি বিষয়ই এসডিজি-র ১৭টি লক্ষ্য এবং ১৬৯টি উদ্দেশের মাঝে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, শিল্পায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, অভিবাসন ও উন্নয়ন, মানসম্মত শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ-সমতা, শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার, জলসম্পদের আন্তঃদেশীয় ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্য, নীল অর্থনীতি (সাগর ও মহাসাগর), বিশ্ব আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অধিকতর অংশগ্রহণের সুযোগ, শান্তি ও স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন, পারস্পরিক সহযোগিতা, এলডিসি ইস্যু ইত্যাদি।18

জাতিসংঘের সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অবিস্মরণীয় অগ্রগতি, তা মূলত সম্ভব হয়েছে দেশটির নেতা শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিন্তা এবং জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে তার অবিচল প্রতিজ্ঞার কারণেই। সম্পদের ব্যাপক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও কেবল নেতৃত্বের বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা এবং সঠিক দিক-নির্দেশনার কারণেই বাংলাদেশ এই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এককালে যে দেশকে বলা হয়েছিল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ (Bottomless Basket), যার ‘সফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই’ বিশ্ব মোড়লেরা দেখেনি, সেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আজ ৬.৩ শতাংশ, তাও আবার এক নাগাড়ে সাত বছর ধরে। চরম দারিদ্র্য ১৯৯১ সালে যেখানে ছিল ৫৭.৮ শতাংশ, ২০১৫ সালে তা কমে এসেছে ২২.৪ শতাংশেরও নিচে। একই সাথে নবজাত শিশু মৃত্যুর হার ৭৩ শতাংশ কমিয়ে আনতে পেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্বাধিক জনঅধ্যুষিত ও স্বল্প আয়তনের এক দেশের জন্য এই সাফল্য একেবারে কম নয়। আর এই অর্জন সম্ভব হয়েছে কেবল শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই।

দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপক বিরোধিতা এবং নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যও শেখ হাসিনা তার দৃঢ় ও আপসহীন সিদ্ধান্তের দ্বারা দেশকে উন্নয়নের পথে যেভাবে পরিচালিত করেছেন, তার কল্যাণেই বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, অথচ পূর্বে দীর্ঘ সময় ধরে দেশটি ছিল খাদ্য ঘাটতির মধ্যে। এই ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য শেখ হাসিনা এবং তার দেশবাসী বিশ্বসভায় সাধুবাদ পেতেই পারেন। আর তারই প্রমাণ আমরা দেখি যখন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল’ এবং ‘নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল নক্ষত্র’। আমেরিকার প্রভাবশালী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ভাষায় বাংলাদেশ হচ্ছে ‘দক্ষিণ এশিয়ার আলোকবর্তিকা’ আর গোল্ডম্যান শ্যাক্স তাদের গ্লোবাল অবস্থানে বাংলাদেশকে এন-১১ তে উন্নীত করেছে, যার অর্থ হচ্ছে ১১টি অগ্রসরমান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ।sh4

দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রধান দেশের সুনাম অর্জন করেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে একাধিক পদকে ভূষিত করেছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য এমডিজি-৪ পুরস্কার (২০১০)। সাউথ-সাউথ পুরস্কারে তিনি ভূষিত হন ২০১৩ সালে, দেশজুড়ে ১৩ হাজার ৮০০ কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণকে সফলভাবে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির সংযোগের আওতায় নিয়ে আসার স্বীকৃতিস্বরূপ। ২০১৪ সালে তাকে সাউথ-সাউথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় বিশ্বের দক্ষিণের দেশগুলোতে নেতৃত্বের দূরদর্শিতার স্বাক্ষর হিসেবে। ২০১৫ সালে তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক দুটি পুরস্কারে ভূষিত হন, এগুলো হচ্ছেÑ জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব মোকাবিলায় সফলতার জন্য ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার এবং টেলিযোগাযোগ খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার পুরস্কার বা ‘আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড’।sh

২০০০ সালে যখন জাতিসংঘে সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) ঘোষণা প্রদান করা হয় তখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেতা হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আবার ২০১৫ সালে যখন ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা (এসডিজি) হয় তখনও তিনি বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হিসেবে জাতিসংঘে নেতৃত্বদান করেন। তিনি বিশ্বের একমাত্র নেতা যিনি জাতিসংঘের উন্নয়ন সংক্রান্ত এ দুই মাইলফলক ঘোষণার সময় নিজের দেশের নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তার দেশ সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে মর্মে ২০০০ সালের সম্মেলনে তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে। সেই প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করেছেন। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সেই যে সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে। ২০১৫ সালের সম্মেলনে আবার যখন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেন (যা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন করতে হবে)sh11

তখন শেখ হাসিনা বিশ্বসভায় এই প্রতিশ্রুতি দেন যে তার দেশ এই লক্ষ্যমাত্রাও যথাসময়ে পূরণ করবে। শুধুু সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকেন নি তিনি, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে তারই স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী ও বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। এ হবে এমন এক বাংলাদেশ যেখানে সবাই পাবে সমানাধিকার, ন্যায়বিচার এবং সুষম উন্নয়নের সুযোগ। যেখানে সমৃদ্ধি ও শান্তির মাঝে বাস করবে দেশের প্রতিটি মানুষ। সেই স্বপ্নই দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

সাউথ-সাউথ দেশগুলোর অর্থনৈতিক ক্ষমতার পরিধি ক্রমেই বাড়ছে। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ ২ গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। প্রায় ৩০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক বিশাল বাজারে পরিণত হবে এ দেশগুলো। তা সত্ত্বেও এ দেশগুলোর পূর্ণ সম্ভাবনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এ দেশগুলোর প্রতিবছর ৫ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে। বর্তমানে বৈদেশিক সাহায্য স্কিমের আওতায় উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্রসমূহ বছরে ১৩৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়ে থাকে যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে যায় মাত্র ৩৮ থেকে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অর্থ পর্যাপ্ত নয়। সাউথ-সাউথ দেশগুলোর অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোার জন্য এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি যথাযথভাবে তদারকি ও মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ সাউথ-সাউথ দেশগুলোর অর্থ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীদের একটি ফোরাম গঠনের প্রস্তাব করেছে, যা আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক সমর্থিত হয়েছে। সম্প্রতি চীন সাউথ-সাউথ সহযোগিতার জন্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও ‘আধুনিক বিশ্বে বাংলাদেশ আরও একটি কারণে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করছে, তা হলোÑ একটি শক্ত, সৃজনশীল ও পরিশ্রমী অভিবাসী শ্রমিকদের দেশ হিসেবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আজ বাংলাদেশের প্রায় ৯০ লাখ প্রবাসী নাগরিক রয়েছেন যারা কঠোর পরিশ্রম বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্রসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখছেন, তাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছেন।’ বেশি অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে।sh2

শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সক্ষম হয়। এ কথা আজ সারাবিশ্ব জানে যে, ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাংলাদেশের জনগণ তাদের বুকের রক্ত দিয়েছে। সেই আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ পৃথিবীর সব জাতির মাতৃভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার প্রয়াসে সেই দিনটিকে জাতিসংঘ সম্মানিত করেছে, যা আজ বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশে পালিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আইনের শাসনে প্রতিষ্ঠার অনন্য নজির স্থাপন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সাথে যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল সেই বিষয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সমুদ্র-আইন সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত তিনি গ্রহণ করেন, তারই ফলস্বরূপ বাংলাদেশ তার সমুদ্রসীমার ওপর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্র ভারত এবং মিয়ানমারও তাদের আইনগত ন্যায্য পাওনা পেয়েছে। কোনো সংঘাত বা যুদ্ধ ছাড়াই এহেন বিরোধ নিষ্পত্তির ঘটনা পৃথিবীতে বিরল।shah1

শেখ হাসিনার শাসনের প্রথম মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১) বাংলাদেশে কয়েকটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটে। এর প্রথমটি ছিল ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের সমস্যা গঙ্গা নদীর পানির বণ্টনের ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর। এর মাধ্যমে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় যে ঐতিহাসিক ঘটনা সেই সময়ে ঘটে সেটি হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর। যে সমস্যার আবর্তে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দোলাচলে সেই সময় পর্যন্ত ২৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল, রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপ নিয়ে শেখ হাসিনা সেই দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের অবসান ঘটান বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে। পৃথিবীর সাম্প্রতিক ইতিহাসে শান্তি প্রতিষ্ঠার এমন নজির বিরল। মার্কিন কংগ্রেস এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই সাহসী দুই চুক্তির জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করেছে। সম্প্রতি কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা, রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও প্রশাসনিক কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ভারতের সাথে অর্ধশতক ধরে ঝুলে থাকা ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছেন ৬৮ বছর আগের ‘সীমান্ত নির্ধারণ চুক্তি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে। ফলে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার এবং ন্যায়বিচার পেয়েছে দীর্ঘদিন ভাগ্যবিড়ম্বিত থাকা উভয় দেশের ছিটমহলবাসী। প্রকৃত অর্থেই শেখ হাসিনা শান্তি ও স্থিতিশীলতার মূর্ত প্রতীকে পরিণত হয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের জন্য। আশার আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন বিশ্বের শত কোটি নিপীড়িত মানবতার জন্য।sh3

আধুনিক বিশ্বে বাংলাদেশ আরও একটি কারণে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করছে, তা হলোÑ একটি শক্ত, সৃজনশীল ও পরিশ্রমী অভিবাসী শ্রমিকদের দেশ হিসেবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আজ বাংলাদেশের প্রায় ৯০ লাখ প্রবাসী নাগরিক রয়েছেন যারা কঠোর পরিশ্রম বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্রসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখছেন, তাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছেন। একই সাথে নিজেদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা স্বদেশে পাঠিয়ে তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তবে এসব প্রবাসী শ্রমিকদের জীবনে থাকে অজ¯্র দুঃখগাঁথা, বঞ্চনা আর প্রতারণা কাহিনি। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা নিজেদের ন্যায্য বেতনটুকু থেকেও বঞ্চিত হন। অথচ এই প্রবাসীরাই মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে কি অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন বিদেশের মাটিতে। আবার আজ তারা সেই বিদেশে থেকেও নিজের দেশকে সমৃদ্ধ ও উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে রাখছেন ব্যাপক অবদান। সহ¯্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের আয় রেখেছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। দেশে বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি। ৯০ লাখ প্রবাসী শ্রমিকের ওপর দেশের প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ নির্ভর করে, যাদের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এই অভিবাসী শ্রমিক এবং বিদেশে অবস্থানরত দক্ষ বাংলাদেশি পেশাজীবীদের স্বীকৃতি প্রদান করেছে; তাদের সুরক্ষা এবং দেশে তাদের বিশেষ সম্মানের ব্যবস্থা করেছে এবং তাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য গ্রহণ করেছ নানামুখী পদক্ষেপ। প্রবাসে তাদের সমস্যা সমাধানে নিদের দেশের সরকারি প্রতিনিধি/কূটনীতিকদের যেমন তিনি নির্দেশনা দিচ্ছেন ঠিক তেমনি বিশ্বসভায় তিনি এই দাবি তুলেছেন যে প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে হোস্ট কান্ট্রি বা শ্রমিকদের অবস্থানকারী রাষ্ট্রের দায়িত্ব অনেক। তাদেরই এটি নিশ্চিত করা কর্তব্য যাতে তাদের দেশে প্রবাসী শ্রমিকদের কেউ শোষণ, নির্যাতন বা কোনোরকম বৈষম্য বা বঞ্চনার শিকার হতে না হয়। একই সাথে উন্নত দেশগুলোরও এ বিষয়ে যতœবান হওয়া উচিত যাতে তাদের দেশে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত হয় এবং সেই সব সংগ্রামী শ্রমজীবী জনতা যেন কোনো প্রকার শোষণ, নির্যাতন বা প্রতারণার শিকার না হন।shastha

দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অধিকার আদায়ে এতটা সোচ্চার এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কণ্ঠস্বর হতে পারে বলেই হয়তো বাংলাদেশ গত ৬টি বছরের জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে এবং বিভিন্ন কমিটিসমূহের নির্বাচনে জয়লাভ করে নির্বাচিত হয়েছে। বস্তুত, এ সময়ের মধ্যে কোনো আন্তর্জাতিক নির্বাচনেই বাংলাদেশ পরাজিত হয়নি; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশের কথা ভেবে, বাংলাদেশ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে ওইসব নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারও করে নিয়েছে। বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ তথা বিশ্ব নেতৃত্বের আস্থা এবং প্রগাঢ় ভরসারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে এসব আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে।

জাতিসংঘের সেকেন্ড কমিটির চেয়ার হিসেবে অধিকাংশ বিতর্কেই বাংলাদেশ সকল সদস্যকে মতৈক্যে নিয়ে আসতে পেরেছে। পিস বিল্ডিং কমিটি (পিবিসি) বা অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইসিওএসওসি) চেয়ার হিসেবে বিশ্বব্যাংকে জাতিসংঘ কমিটিসমূহের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশে। সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের চেয়ার হিসেবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বাধাসমূহ ও করণীয় চিহ্নিতকরণে বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় ভূমিকা গ্রহণ করে। জাতিসংঘের ব্যুরো সদস্য এবং এলডিসি গ্রুপের চেয়ার হিসেবে ইস্তাম্বুল কর্মপরিকল্পনা (আইপিএও) প্রণয়নে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখে; শুধু তাই নয়, জাতিসংঘের বিভিন্ন ফান্ড যেমন ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ইউএন উইমেন, জাতিসংঘ জনসংখ্যা কমিশন ইত্যাদির চেয়ার হিসেবে ওইসব অঙ্গ সংগঠনের কর্মপরিকল্পনায় ইস্তাম্বুল কর্মপরিকল্পনা অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম ভূমিকা পালন করে।

সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতিসংঘ কমিটির ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে ২০১০ সালে বাংলাদেশ উক্ত কমিটির প্রস্তাব সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মতৈক্যের অর্জনে সফল হয়। ‘মানবপাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতিসংঘের বন্ধু’ রাষ্ট্রসমূহের সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের প্রস্তাব পাসের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। মানবপাচার প্রতিরোধ ও অবসানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সাহসের সাথে উটের জকি ও দাস হিসেবে শিশুদের ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মাঝে সোচ্চার জনমত গড়ে তোলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হয়ে যাওয়া বাংলাদেশি শিশুদের উদ্ধারের নির্দেশ দেন ও তাদের উদ্ধার পরবর্তী পুনর্বাসনের পদক্ষেপ সংক্রান্ত সার্ক সম্মেলনে ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘের ‘ফ্রেন্ডস অব মিডিয়েশন’, ‘ফ্রেন্ডস অব ইনএ্যলিনেবল্ রাইটস অব প্যালেস্টাইন’, ‘ফ্রেন্ডস অব নো ফুড ওয়েস্ট, নো ফুড লস’ ইত্যাদি ভূমিকায় মানবতার মর্যাদা রক্ষা এবং জাতিসংঘ সদনের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

বস্তুতপক্ষে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি অত্যন্ত সম্মানজনক সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং বর্তমানে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশকেই চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। কেবল সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবেই নয়, সক্ষমতার সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকারী দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের সুনাম আজ জাতিসংঘে ব্যাপক। জাতিসংঘের ‘হি অ্যান্ড শী’ প্রোগ্রামের চ্যাম্পিয়ন হিসেবেও বাংলাদেশের নাম চলে আসে সবার আগে। জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শিক্ষাই সর্বাগ্র’ শীর্ষক প্রকল্পে এবং মহাসচিবের স্বাস্থ্যরক্ষা সংক্রান্ত উদ্যোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গণ্য করা হয়। মহাসচিবের নেতৃত্বে শান্তিরক্ষী নিয়োগ সংক্রান্ত সিনিয়র পরামর্শক কমিটির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের নীল হেলমেট প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা সংক্রান্ত আঞ্চলিক রিভিউ কমিটির ঢাকা কনফারেন্সের আয়োজন করে বাংলাদেশ, ২০১৪ সালে এবং সদস্য রাষ্ট্রসমূহের শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দান করে। প্রতি ১০ শান্তিরক্ষীর মধ্যে একজন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ নারী শান্তিরক্ষীদের জন্য নীল হেলমেট, বর্ম ও তলোয়ার চালানো এবং পুলিশের একটি নারী ইউনিট বসানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

জলবাযু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাতিসংঘে অত্যন্ত সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অপূরণীয় ক্ষতি ও চ্যালেঞ্জকে বিশ্ববাসীর সামনে যথার্থভাবে তুলে ধরতে তিনি সদা সচেষ্ট থেকেছেন। তিনিই একজন নেতা যিনি এ বিষয়টিকে বিশ্ববাসীর সামনে বারংবার তুলে ধরেছেন যে, পরিবেশ দূষণকারী না হয়েও স্বল্পোন্নত ও দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে রয়েছে। কেবল বাগাড়ম্বর বা উচ্চবাচ্য না করে এ বিষয়টি তিনি কর্মপরিকল্পনার মধ্যে গ্রহণ করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে কীভাবে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগুনো যায় তা নিজে তদারক ও কাজ করে চলেছেন। আজ সম্পদের স্বল্পতা ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত দুটি ফান্ড গঠন করেছে। তাই সংগত কারণেই জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) তাকে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। কেননা পরিবেশ সুরক্ষার জন্য তিনিই বিশ্বের সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর; এবং পরিবেশ নীতিমালা গঠনের ক্ষেত্রে জোরাল ভূমিকা রেখেছেন। জলবায়ু ঝুঁকি ফোরাম (সিভিএফ) এবং জলবায়ু ঝুকিপ্রবণতা তদারকি (সিভিএম) গঠন করেছেন তিনিই। তার প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়েই জাতিংঘে ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিষয়ের দায়িত্ব বিষয়ক রাষ্ট্রদূত’ ফোরাম (Ambassadors with Responsibility to Climate Change-ARC) এবং ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বন্ধু’ (Friends of Climate Change-FCC) গঠন করা হয়েছে, যারা জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধ ঘোষণার পরই আমরা দেখতে পাই যে অন্যান্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই জটিল ইস্যুতে এগিয়ে আসছেন।

যুদ্ধ-বিগ্রহ, ভয়াল বন্যা, অনাবৃষ্টি, ক্ষরা, নদীভাঙন ইত্যাদি নানা কারণে সাম্প্রতিককালে দেশে দেশে যে হারে মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে বা নিজ দেশে কাজ হারিয়ে দেশান্তরী হয়ে পড়ছে জীবিকার তাগিদে, কিংবা শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় খুঁজছে বিভিন্ন দেশে তখন সেই সব কঠিন সমস্যার কারণ খুঁজে আর কোনো মানুষ যেন শরণার্থী না হয়, বাস্তুচ্যুত না হয় তার ব্যবস্থা করার জন্য জোরাল দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। সম্পদশালী দেশগুলো সম্পদের অপব্যবহারের মাধ্যমে আজ পৃথিবীর পরিবেশের এই দশা করেছে, যদিও তাদের অবিমৃষ্যকারিতার ফল পেতে হচ্ছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে, যারা হয়তো কোনোভাবেই এই ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা জলবায়ু’র কারণে উদ্বাস্তু হওয়ার জন্য দায়ী নয়। অথচ তাদেরই সবচেয়ে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। বাংলাদেশ মনে করে এই অবস্থা হতে উত্তরণের দায় এবং দায়িত্ব উভয়ই উন্নত বিশ্বকে নিতে হবে। হয় তাদের এসব নানান প্রক্রিয়ায় করা পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে; অথবা তাদের এমন কাজ করতে হবে যাতে যুদ্ধ-বিগ্রহ না বাধে বা মানুষ নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য না হয়।

শেখ হাসিনা কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী। লক্ষ্য অর্জনে তিনি পিছপা নয় এক কদমও। তার অক্লান্ত প্রয়াসের ফলে বাংলাদেশের কর্মজীবী জনসংখ্যার মাঝে আজ নারীর অংশগ্রহণ প্রায় ৩৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা পূর্বে ছিল মাত্র ৭ শতাংশ। আজ বাংলাদেশে সরকার প্রধান একজন নারী। জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং সংসদ উপনেতাও নারীÑ নারীর ক্ষমতায়নের এ এক অনবদ্য সংযোগ। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সেই গুটিকয়েক রাষ্ট্রের মধ্যে অন্যতম যেখানে বছরের শুরুতে দেশব্যাপী শিশুদের মধ্যে ৩২৬ মিলিয়ন বই বিতরণ করা হয় বিনামূল্যে। বাংলাদেশ সেই রাষ্ট্র যেখানে এনজিওরা উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সরকারের সাথে সমান তালে অংশগ্রহণ করে। তাই বাংলাদেশ আজ তার উদ্ভাবনী সুশাসন প্রক্রিয়া এবং যুক্তির নিরখে চলার জন্য বিশ্ব দরবারে সম্মানিত। সামগ্রিক এই প্রক্রিয়ায়, সন্দেহ বা বিস্ময়ের কোনো অবকাশই নেই যে, সেই বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনা, আজ জাতিসংঘ তথা বিশ্ব পরিম-লে শান্তি ও ন্যায্যতার এক মূর্ত প্রতীক হিসেবে নিজের দেশ ও জনগণকে তুলে ধরেছেন সবার ওপরে।

জয়তু বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান

* জনগণের ক্ষমতায়ন মডেল : অস্থিরতা, সহিংসতা, পরমত অসহিষ্ণুতা, বৈষম্য এবং ব্যাপক জন-অসন্তোষের ক্ষেত্রে এই মডেল বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

* কালচার অব পিস : বিগত সময়ে সরকারের থাকাকালীন বাংলাদেশ কর্তৃক জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রচলন করা হয়। জাতিসংঘের ভিতরে ও বাইরে এই ধারণা ব্যাপক সমর্থন লাভ করে; কেননা এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, যা সমগ্র জাতিসংঘ ব্যবস্থার মাঝে অনুরণিত হয়।

* শান্তিরক্ষা কার্যক্রম (পিস কিপিং) : শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা সর্বজনবিদিত ও স্বীকৃত। জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিম-লে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর। তার গতিশীল নেতৃত্বে বিশ্বে আজ সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে সমাদৃত বাংলাদেশ।

* শান্তি বিনির্মাণ (পিস বিল্ডিং) : তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি বিনির্মাণের বিষয়টি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেছে। স্বল্পদিন হলো এ সংক্রান্ত কমিশন গঠিত হয়েছে, যা ইউএন পিস বিল্ডিং কমিশন নামে পরিচিত। বাংলাদেশ এর গুরুত্বপূর্ণ মিটিংসমূহে সভাপতিত্ব করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতার কারণে এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রমের আলোচনায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে।

* বহুমাত্রিক নেতৃত্ব : নানামুখী জাতীয় ও বৈশ্বিক ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা নন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার অবিচল নেতৃত্বে বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন কমিটি এবং অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সংস্থায় সভাপতি এবং সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছে। বিগত ছয় বছরে বাংলাদেশে কোনো একটি নির্বাচনেও পরাজিত হয়নি। সকল দেশ ও তাদের নেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ এবং তার নেতা শেখ হাসিনা।

* সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মডেল দেশ : জাতিসংঘ মহাসচিবের ভাষ্যমতে বাংলাদেশ এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কেবল স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যেই নয়, অনেকগুলো উন্নত দেশের চেয়েও বাংলাদেশের এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সাফল্য ব্যাপক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে এর সফল বাস্তবায়ন তদারক ও মূল্যায়ন করে থাকেন এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

* ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের সুরক্ষা ও নেতৃত্ব দান : বর্তমানে বাংলাদেশ ৪৮টি স্বল্পোন্নত দেশের নেতা ও মুখপাত্র। তাই জাতিসংঘ তথা আন্তর্জাতিক ফোরামে এসব দেশের স্বার্থ রক্ষা এবং তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের নেতৃত্বও বাংলাদেশেরই। সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশ এই পদে নির্বাচিত হয়; বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাই বাংলাদেশকে এই পদে আসীন করেছে। এলডিসি রাষ্ট্রসমূহের স্বার্থরক্ষায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

* ভিন্ন জীবনের মানুষের সমস্যাকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসা : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই জাতিসংঘের সকল রাষ্ট্রের কাছে আজ অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও অটিজম সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের সমস্যাবলি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে। এ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব পৃথিবীর সব কটি রাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করেছে। বিষয়টির প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের নাম আজ সব দেশ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

* জলবায়ুর ঝুঁকি আক্রান্তদের সমস্যায় নেতৃত্ব : জাতিসংঘের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সক্রিয়ভাবে কাজ করে দেখিয়েছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের দরিদ্র ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ঝুঁকি কতটা। এ সমস্যার কারণ খুঁজে আর কোনো মানুষ যেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শরণার্থী না হয়, বাস্তুচ্যুত না হয় তার ব্যবস্থা করার জন্য জোরাল দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। সম্পদশালী দেশগুলো সম্পদের অপব্যবহারের মাধ্যমে আজ পৃথিবীর পরিবেশের এই দশা করেছে, যদিও তাদের অবিমৃষ্যকারিতার ফল পেতে হচ্ছে স্বল্পোন্নত দেশগুলো, যারা হয়তো কোনোভাবে এই ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা জলবায়ু’র কারণে উদ্বাস্তু হওয়ার জন্য দায়ী নয়। অথচ তাদেরই সবচেয়ে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। বাংলাদেশ মনে করে, এই অবস্থা হতে উত্তরণের দায় এবং দায়িত্ব উভয়ই উন্নত বিশ্বকে নিতে হবে। হয় তাদের এসব নানান প্রক্রিয়ায় করা পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে; অথবা তাদের এমন কাজ করতে হবে যাতে যুদ্ধ-বিগ্রহ না বাধে বা মানুষ নিজের দেশ ছাড়তে বাধ্য না হয়। জলবায়ু ঝুঁকি ফোরাম (সিভিএফ) এবং জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণতা তদারকি (সিভিএম) গঠন করেছে বাংলাদেশ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর প্রতিষ্ঠা করেন জাতিসংঘের ৬৭তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে।

* আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ আইনি সমাধান : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অনন্য নজির স্থাপন করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সাথে যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল সেই বিষয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালে (International Tribunal on the Law of the Seas-ITLOS) যাওয়ার যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত তিনি গ্রহণ করেন, তারই ফলস্বরূপ বাংলাদেশ তার সমুদ্রসীমার ওপর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্র ভারত এবং মিয়ানমারও তাদের আইনগত ন্যায্য পাওনা পেয়েছে। কোনো সংঘাত বা যুদ্ধ ছাড়াই এহেন বিরোধ নিষ্পত্তির ঘটনা পৃথিবীতে বিরল।

* জাতিসংঘের মাধ্যমে অভিবাসীদের অধিকারের সুরক্ষা : অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষার জন্য নিরলস কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সংক্রান্ত জাতিসংঘ কমিটিতে তিনি যথার্থভাবে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন এবং তার পক্ষে সমর্থন আদায়ে সক্ষম হয়ছেন। অভিবাসী শ্রমিকের মানবাধিকার, কাজের পরিবেশ, বেতন ও নিরাপত্তা এসব বিষয়ে নিশ্চিত করার জন্য সকল রাষ্ট্রের প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

* সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশনের কণ্ঠস্বর : সাউথ-সাউথ সংক্রান্ত জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ। আর সাউথ-সাউথের কণ্ঠস্বর হচ্ছেন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি এই রাষ্ট্রসমূহের সাফল্য ব্যাপক, যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দৃশ্যমান।

জাতিসংঘ সনদের মূল লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়ন

* প্রথমত : সহিষ্ণুতার চর্চা এবং ভালো প্রতিবেশী হিসেবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান;

* দ্বিতীয়ত : আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সাথে একতাবদ্ধ থাকা;

* তৃতীয়ত : এই নীতির প্রতি অবিচল থাকা যে শক্তি প্রয়োগ কোনোভাবে করা হবে না, একমাত্র সামষ্টিক স্বার্থ ছাড়া;

* চতুর্থত : বিশ্বের সকল মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহকে কাজে লাগানো;

* প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সনদের এসব মূলনীতির আলোকে একটি সুন্দর, নিরাপদ ও শন্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন।

http://muktimusician.blogspot.com/
www.youtube.com/muktimusician,
www.myspace.com/muktimusician,
www.shtyle.com/muktimusician,
www.last.fm/muktimusician

 
Leave a comment

Posted by on June 6, 2017 in the 75 tragedy

 

জাতির পিতাকে হারিয়ৈছি, তার সুযোগ্য কন্যাকে হারাতে চাইনা। নাছির ধ্রুবতারাঃ

জাতির পিতাকে হারিয়ৈছি, তার সুযোগ্য কন্যাকে হারাতে চাইনা। নাছির ধ্রুবতারাঃ
জাতির পিতাকে হারিয়ৈছি, তার সুযোগ্য কন্যাকে হারাতে চাইনা। নাছির ধ্রুবতারাঃ- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃনমূল নেতা-কর্মী নয় নিবেদিত প্রান সাধারন সমর্থকের একমাত্র মনোভাব নিয়ে লেখাটি। লেখাটি পড়ে মনে কষ্ট নেবেন না, আর কষ্ট নিলেই বা কি হবে? আমরা তো বড় দলীয় পদ-পদবী, সরকারি দল হিসেবে বিশেষ সুযোগ সুবিধা কিবাং হালুয়া রুটির লোভে সংগঠন করিনা । আসলে বেশ কিছুদিন লিখবো লিখবো করেও নিজের ইচ্ছেকে দমন করেছি, কারন আমার মত অতি নগন্য দলীয় কর্মী সাধারন সমর্থকের যেহেতু আওয়ামী লীগের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা বা হৃদয়ের টান রয়েছে তাই যুদ্ধপরাধীদের বিচার সহ দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন এষ জ্ন্য আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেখানে নিজে সব বাঁধা বিপত্তি, নিজের ও পরিবারের জীবন নাশের আশংকাকে তোয়াক্কা না করে অবিচল ও অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সেখানে অনলাইনে সরকার বা দলের কোন কাজের সমালোচনায় যদি পাকিস্থানী চেতনার অনুসারী মানুষগুলো সামান্য উৎফুল্ল বোধ করে কিবাং নিজের প্রিয় দল ছোট হয়, তাই অতি কষ্টে নিজেকে দমিয়ে রেখেছি অনেকদিন (হাইব্রিড ফরমালিনের যাতাকল সহ্য করেছি দাঁতে দাঁত চেপে । এরকরাটা অতি সামান্য কারন একরাতে পরিবারের সবাইকে হারিয়ে একজন নারী যেখানে নিজের কথা না ভেবে হৃদয়ের কষ্টকে চেপে রেখে আপনার আমার সর্বোপরি দেশের কল্যানে নিরলস কাজ করে যেতে পারেন সেখানে আমার এই মন্দ লাগার কোন স্থান হতে পারেনা ৳ কিন্তু গুলশানের ঘটনা ঘটার পর কিছু কথার উত্তর চাওয়াটা ও উত্তর পাওয়াটা এবং প্রিয় নেত্রীর নিরাপত্তা চিন্তায় নিবেদিত মুজিব আদর্শের কর্মী হিসেবে ফরজ হয়ে গেছে । তাই জানতে চাই পদ-পদবীধারী, সরকারের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব প্রাপ্তদের নিকট এবং দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে সব দয় কি একা একজনের ?? নিচের প্রশ্নগলোর জবাব ও ভীষন প্রয়োজনঃ- ১। গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনে সবসময়ই পুলিশ কিবাং অনান্য সংস্থার ১ কিবাং দুইটি চেকপোষ্ট দিনে ও থাকে এবং যেহেতু ঈদের বদ্ধের কারনে ঢাকার নিরাপত্তা বিধানর বিষয়ে আরো বিশেষ ব্যাবস্থা ও নেওয়া হয়েছে ও কুটনীতিক পাড়া হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে গুপ্তহত্যার কারনে বাড়তি নিরাপত্তা বেষ্টনী ও যেখানে থাকর কথা, সেখানে এই ধরনের ঘটনা যা বাংলাদেশে প্রথম? কিভাবে এত নিবিঘ্নে সংগঠিত হয়?? ২/ আইন শৃংখলা বাহিনীর বাইরে ও নিরাপত্তার জন্য সিটি করর্পোরেশান মেয়র ঢাক ডোল পিঠে মিডিয়া ডেকে প্রতিটি স্থানে সিসি ক্যামেরা দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন, সেগুলির আসলে কাজ কি? এটা মন ভুলানো হৃদয় জয় করার বিশেষ আয়োজনই ছিল মাত্র? ৩/ জংগীদের অপতৎপরতা, গুপ্ত হত্যার প্রেক্ষিতে সারাদেশে অভিযান বিশেষ চালিয়ে আটক অনেকের কাছে বিশেষ করে এই নাশকতা ঘটানো জংগীদের জিম্মি মুক্তির তিনটি শর্তের প্রথমটি ছিল ডেমরা থেকে আটক হওয়া জেএমবি নেতা খালেদ সাইফুল্লার মুক্তি । অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয় এই জংগী থেকে প্রচুর তথ্য উপাত্ত আমাদের বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনী পেয়েছেন বলে সাংবাদিক ডেকে প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়েছেন বহু আগে । এছাড়া কথিত ক্রসফায়ারে নিহত হবার আগে আদালতে কোন জবানবদ্ধী নেয়া ব্যাতিত কথিত ভিডিও জবানবন্দীর কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছন বিশেষ বাহিনী সিটি প্রধান উপ-পুলিশ প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান । মাদারিপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের গনিতের শিক্ষক ও পুরোহিত রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলা চালিয়ে পালানোর সময় ছয় জন হামলাকারীর মূল অভিযুক্ত হিসেবে আদালতে চার্জশীট প্রদান ও সম্ভবপর নয় । এ সমস্ত ঘটনা প্রচুর সন্দেহের জন্ম দেয় । এখানে বাকী পাঁচ জংগীকে বাঁচানোর জন্য জবানবদ্ধী না নেয়া হয়েছে বললে আইনগতভাবে অভিযোগটি গ্রহনযোগ্য এবং তদন্তযোগ্য । আদালতে ১৬৪ এ জবানবদ্ধী আদালতে গ্রহনযোগ্য্য নয় । মধ্যে শুধু ফাহিম স্থানীয় জনতা ধরে ফেলে । মামলায় আসামী ও ছয়জনকে করা হয় । প্রচলিত আইনী প্রক্রীয়া হচ্ছে যে অভিযোগে গ্রেফতার হয় তা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবদ্ধী নেয়া, তারপর অন্য কোন বিষয়ে অগ্রসর হওয়া । কিন্তু তা করা হয়নি । যার ফলে বাকী পাঁচজন শুধু সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা যাবে কিন্তু তাদেরকে আরো আছে আজ পুলিশের আইজিপি মহোদয় জানালেন নিহত ছয় জংগীর মধ্যে পাঁচ জংগীই তালিকাভুক্ত ও খুছছিলেন, আপনাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করি কি বিশেষ কারনে জংগী বিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে ১৪ হাজার জনকে গ্রেফতার করতে পারলে ও এই পাঁচজনকে পাওয়া যায়নি (সমগ্র আটকর মধ্যে তালিকাভুক্ত ১৫৪ জন জংগী) । এদের কাছ থেকে কোন তথ্য কি নেওয়া হয়নি? ঘটনার দশ ঘন্টা আগে এ ধরনের ঘটনা সংগঠনের হুমকি ও আসে আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে । আমাদের আইন শৃংখলা বাহিনী কি দেশের শান্তি নিরাপত্তা রক্ষার বদলে অপরাধ সংগঠনের অপরাধীদর গ্রেফতারের কাজে নিয়োজিত? তানাহলে গুরুত্বপূর্ন তথ্য পেয়েছেন বলে পুলিশের ৪/ জংগী দমনে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জনকারী এসপি বাবুল ও তার পরিবার জংগীদের হিট লিস্টে ছিলেন বহুদিন ধরে । এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সিএমপিকে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহনের কথা বলা হলে ও বর্তমানে ডিএমপি ডিবিতে চাকুরীর এক বিশের কর্মকর্তা তখন সিএমপিতে থকার কারনে নিরাপত্তা দেয়া হয়নি । তার সাথে এসপি বাবুলের সাথে বৈরি সমর্পক ছিল , যার কারন তিনি জংগী বিরোধী অভিযান পরিচালনা না করতে বেশ কয়েকবার বলেছিলেন। এমনকি এসপি বাবুল এর পোষ্টিং অর্ডার ঢাকায় হলে জংগী দমনে তিনি সিএমপি ডিবিতে থকার আগ্রহ প্রকাশ করলে ও তা শোনা হয়নি। আর এসব কারনে ঢাকার ডিবিতে কর্মরত ঐ ব্যাক্তি বাবুল আহামেদকে অপদস্থ করতে তার শ্বশুরের বাসা মধ্যরাতে ডিবি অফিসে নিয়ে যান । কি এমন ঘটনা, কোন পলাতক আসামী ও নন বরং সারাদেশে জংগীবিরোধী অভিযান পরিচালনায় সব্বোচ সাফল্য পাওয়া তাকে একনামে সারাদেশের সকল পুলিশ চিনতেন একজন দক্ষ কর্মকতা হিসেবে । তাহলে তাকে কেন নেয়া হলো? তাকে অপদস্থ করার জন্য, যেহেতু তার অপরাধ তিনি জংগী দমনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এবং ভবিষৎ এ রাখবেন । আর এ সমস্ত আলামত প্রমানকরে আইন শৃংখলা বাহিনীর ভেতর জংগীদর পৃষ্ঠপোষকতাকারী ও সহায়তাকারী লোক আছে, তারা কারা? যদি না থাকে তাহলে এতবড় ঘটনা কিভাবে করা সম্ভব । ৫ /সকল গোয়েন্দা সংস্থা ব্যার্থ, সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মর্কতা ব্যার্থ, মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি সহ সবাই কেন এখনো নিজ দায়িত্বে বহাল থাকবেন ?? নিজের বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে এখনি সরে দাঁড়ান । আপনাদের সফলতা আর ব্যার্থতা সব কিছুই কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন । মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সরকার তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চেতনা সত্যিই বুকে ধারন করেন তাহলে এখনি পদত্যাগ করুণ । দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া আপনাকে দলের ও দেশর ইতিহাসে সন্মানের আসনে বসাবে। নাহলে সবার কাছে সকল প্রাননাশের ঘটনার দায়বদ্ধতা নিয়ে নিজের বিবেকের কাছে আসামী বাকি সময়টা কটাতে হবে । একজন স্বজন মানুষ হিসবে আপনি স্বীকৃত, সামান্য ক্ষমতার লোভে জীবনের ত বড় অর্জনটা কি বিসর্জন দেবেন?? আপনার এই গুনের কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ স্বল্প সময়ের মন্ত্রী পরিষদে আপনাকে পদ্দোনতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী । অন্তত নেত্রীর আস্থার কথা ভেবে দায়িত্ব থকে সরে যান ৬/ এবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একজন ব্যাক্তি দলে এবং সরকারে যাকে জাতীয় চার নেতার সন্তান ও উভয় ক্ষেত্রে তার পদবীর প্রতি সন্মান জানিয়ে ও তার থেকে যোগ্যতার সকল ক্ষেত্রে ক্রুদ্র হওয়ায় বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে প্রশ্ন করতে চাই- দেশের বিশেষ পরিস্থিতে ছাত্রলীগের সভায় তিনি যে মন্তব্য করেছেন তার একটি অংশ মেনে নেয়া যায়, যদি মেনে নেয়া হয়, কারন ১৪ দলীয় জোট গঠন ও সরকারে অংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত সাধারন সম্পাদক হিসেবে তার অসসম্মতি কখনোই হওয়া সম্ভব নয় (যদি তার পদবীর কারনে বলা শ্রেয় ছিলনা), জাসদ সংক্রান্ত,যদি ও উক্ত বক্তব্যের পর দলের কার্যনির্বাহী সভায় তিনি বিষয়টি হালকা করতে যার ব্যাখা দিয়েছেন নুতন প্রজন্মকে ইতিহাস জানিয়েছেন । মেনে ও নিলাম মাননীয়, কিন্তু জাসদকে মন্ত্রীত্ব কিবাং সরকারে অংশগ্রহনের সুযোগ দেবার খেসারত সরকারকে দিতে হবে, এ জাতীয় বক্তব্য দিয়ে তিনি কি ভবিষৎ বানী করেছেন? তিনি কি রাজনীতিবিদ নন, দলের সাধারন সম্পাদক নন এবং মন্ত্রীপরিষদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রনালয় জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী নন । জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অধীনে সকল মন্ত্রনালয় কারনে কল সরকারী কর্মকর্তা – কর্মচারী, সকলের চাকুরী আচরন বিধি, সকল বিষয়ে অবহিত ও অনুমোদনর পরই অনান্য মন্ত্রনালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয় । এমনকি প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিশেষ কিছু বিষয় এই মন্ত্রনালয়র অধীনস্থ । শুধূ তাই অন্য মন্ত্রনালয়ে চকুরীরত যে কাউকে চাকুরী বিধি অনুযায়ী নিজ মন্ত্রনালয়ের অধীনে নিয়ে আসার মত ক্ষমতা রয়েছে এ মন্ত্রনালয়ের । মোদ্দ কথা সরকার পরিচালনার (সরকারের প্রশাসন ও প্রজাতন্ত্রভুক্ত সকল কর্মচারী কর্মকর্তা)। আর দল ও সরকারের দ্বিতীয় ব্যক্তি হয়ে সেই জায়গার কোন বিপর্যয় হবে, তা কিভাবে অনুমোদন করলেন বং নিজমুখে সবীকারোক্তি ও দিলেন। ক্ষতি তা আপনার বক্তব্যের মাধ্যমে কি অশনী সংকেত করেছেন তা জাতির কাছে ও দলের কাছে পরিষ্কার হববার আগেই ঘটে গেল গুলশান ট্যাজেটি । আর সবকিছু জানার পর পারিবারিক অবকাশে বিদেশে বসে নিজের ফেইসবুকে নাশকতার বিরুদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারনই কি আপনার দায়িত্ব সম্পাদন। নিজের বাবাকে আর ছোট করবেন না । যিনি জাতীয় চার নেতার অন্যতম এবং দায়িত্ব সম্পাদনে নিজের জীবন স্বেচ্ছায় দিয়ে গেছেন, মন্ত্রীত্বের বদলে মৃত্যকে বেছে নিয়েছেন। যোগ্যতার সকল ক্ষেত্রে আপনার কাছে আমি অতি ক্ষুদ্র আগেই বলেছি কিন্তু একজন বিবেকবান সাধারন মানুষ হিসেবে কারোই দায়িত্ব পালন না করতে পারলে বিশেষ কুটনৈতিক সুপারিশে প্রাপ্ত দায়িত্ব আঁকড়ে থাকতো না । যেখানে দল কিবাং সরকার যেন প্রতিকূল অবস্থায় না যায় তা ঠেকানো দায়িত্বভার আপনারই সবচেয়ে বেশী, সেখানে আপনার মত সৎ ও সদালাপী মানুষের আচরনে আমরা দলের ক্ষুদ্র নেতা-কর্মীরা অত্যন্ত হতাশ হয়ে আপনার প্রতি প্রতি অনাস্থা জানাচ্ছি এবং আপনি সৎ মানুষ কিনা সেটা ও আপনাকেই রায় দিতে অনুরোধ করছি। তারপরও বক্তব্যের শেষ অংশটির মুজেজা পরিষ্কার করুন, আত্নপক্ষ সর্মথন গ্লানী মুক্ত হোন । নাহলে ইতিহাসে অপরাধীর খাতায় আপনার শেষ ঠিকানা হবে, নিশ্চিত জানুন। সবকিছুর শেষে দলের ত্যাগী অবহেলিতদের নেতা-কর্মীদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে এবং করুন সাংগঠনিক ও বেহাল সংগঠনকে শক্তিশালী ও সংগঠিত করুন মাননীয় নেত্রী । আপনাকে ভুল তথ্য , সঠিক অবস্থা জানানো হচ্ছে না । দ্রুত সুবিধাবাদী এই চক্রকে নির্মূল করে সত্যিকার থাবা এই বহুরুপী প্রশাসন কিবাং দলীয় কাঠামো দিয়ে উৎপাটন মোটে ও সম্ভব নয়। সম্ভব শক্তিশালী সংগঠনের ত্যাগী পরিক্ষিত নেতা-কর্মীদের সন্মিলিত প্রচেষ্ঠায়। প্রিয় নেত্রী নিজেদের দূর্ভাগে জাতির পিতাকে হারিয়ৈছি, তার সুযোগ্য কন্যা আমাদের আশ্রয়স্থল আপনাকে আমরা হারাতে চাইনা। জাতির পিতার নেতৃত্বে যে স্বাধীন জাতিসত্তার পরিচয় আমরা অর্জন করেছি সুদীর্ঘ সংগ্রাম ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মাবোনের সভ্রমের বিনিময়ে জাতি হিসেবে সেটা আবার ও কারো অধীনস্থ রাষ্ট্রের এস্টেট হিসেবে আবার পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ হবে ।

Read the rest of this entry »

 
Leave a comment

Posted by on September 4, 2016 in the 75 tragedy

 

বাংলাদেশ ছিলো, আছে এবং থাকবে যতোদিন না বিধাতার হুকুমে মহা প্রলয় না ঘটবে।

বাংলাদেশ ছিলো, আছে এবং থাকবে যতোদিন না বিধাতার হুকুমে মহা প্রলয় না ঘটবে। যতোদিন বাংলার মাটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সর্বশেষ একজন আদর্শ সৈনিকও বেঁচে থাকবে, যতোদিন নৌকার একটি ভোটারো বাংলার কোন একটি নিভৃত পল্লীতে জয় বাংলার আদর্শ নিয়ে জীবিত থাকবে, ততোদিন বাংলাদেশ থাকবে। থাকবে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মান। দুনিয়ার কোন হায়েনা পেশী শক্তি এই পবিত্র মাটির একটি কনাও ছুতে পারবে না। যেমন পারেনি ৭১এর ঘনকাল মুমুরষ দিনগুলিতেও। আজ যারা ভারতের দালাল বলে আওয়ামী লীগকে ধিক্কার দেয়, ধর্মের নামে জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ, মানুষে মানুষে হিংসা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামার দিকে দেশকে ঢেলে দিতে চাইছে,  ভাইয়ে ভাইয়ে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টানের লেবাস পড়িয়ে বাঙ্গালী জাতির আজীবনের ঐক্যবন্ধনে বিভাজনের বিষ বৃক্ষ রোপণের পায়তারা করছে। ওরাই আসলে দেশদ্রোহী পশ্চিমা প্রভূদের পা’চাটা কুকুরের দল। যেয়ে দেখুন,ওদের ঘরে ২৪ ঘন্টা হিন্দি সিরিয়াল চলে, হিন্দি সিনেমা না দেখলে ওদের ঘুম হয়না। ওদের বউ ঝি’রাই ভারতের থ্রি পীচ আর শাড়ী না পড়লে কোন অনুষ্ঠানে যেতে পারে না। অন্যদিকে ওরাই আবার গোপনে ভারতের কাছে বিশেষ চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব দিয়ে আগামী নির্বাচনে সমর্থন আদায়ের জন্য তেল মালিশ করে।

বুঝে দেখুন, বুকে হাত দিয়ে বলুন, পাকিস্তানের হায়েনা পশুর দল ৭১ এ ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা এবং ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠনকারী কিভাবে আমাদের বন্ধু হয়? ভারতের সাথে আমাদের পারস্পরিক শিল্প বানিজ্য ও ভউগলিক দেনা পাওনা/ দ্বন্দ বিভেদ থাকতেই পারে। ভাইয়ে ভাইয়ে যদি সম্পদ বন্টন সংক্রান্ত বিভেদ থাকতে পারে, তাহলে ভারতের সাথেও থাকাটা অতি সাভাবিক। উভয় দেশের সার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার সরকার একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে যার আশু বাস্তবায়ন ও অতি শীঘ্রই সম্পন্ন করা হবে। শেখ হাসিনা বরাবরই বলে থাকেন যে আমাদের কোন প্রভূ নেই, রয়েছে বন্ধু এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। যার প্রমান তিস্তা নদীর পানির হিস্যার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা ঠিক জাতির জনকের মতোই কঠোর ভাষায় আজকের ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তখনকার হোম মিনিষ্টার শ্রী প্রণব মূখারজীকে ষ্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন” নো তিস্তা, নো ট্রানজিট”। সর্বোপরি, কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই জননেত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন করেছেন।

কই? বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা বিবিও তো দুই দুই বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? তিনি কেনো তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়টির সমাধান করলেন না? মাঝে মাঝে খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনলে হাসি পায় আবার দুঃখও লাগে। তিনি কখনোই বাংলাদেশের সমূদ্র সীমানা নিয়ে মাথা ঘামাননি এবং মায়ানমারের কাছে বাংলাদেশের ন্যায্য হিসসার দাবী তোলেন নি। তিনি মূখ খুললেন যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা মায়ানমারের নিকট থেকে বাংলাদেশের ন্যায্য হিসসা বুঝে নিলেন। বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া সমুদ্র ভুখন্ড যেদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনা উদ্ধার করে বিশ্বের কাছে, জাতি সংঘের কাছে এক আপোষহীন রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে সন্মানিত হলেন। খালেদা জিয়া বললেন “শেখ হাসিনা সরকার মায়ানমারের কাছ থেকে বাংলাদেশের আসল পাওনা বুঝে আনতে পারেনিআমরা আরো পাবো। বি এন পি সরকার হলে পুরো পুরি বুঝে নিতো।

আজ দেশবাসীর কাছে আমার একটি প্রশ্নঃ তিনি কোথায় ছিলেন ১৯৯১-১৯৯৫ এবং ২০২০১-২০০৬ সালে? কি সারাদিন ফালু আর রাজাকারদের সাথে চক্রান্তের জাল বুনোনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন? নাকি শেখ হাসিনাকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র আর পাকিস্তানের দেয়া অর্থের হিসাব করতে করতে ভুলেই গিয়েছিলেন যে আমাদের সমুদ্রের অনেক খানি ভুখন্ড মায়ান্মার সরকার দখল করে রেখেছে?  ধিক খালেদা জিয়া ধিক! আপনার মূর্খ অর্বাচীন রাজনৈতিক অদূরদর্শিতাকে। আপনি বাংলার নিরীহ সহজ সরল দুখি মানুষকে আর কতো বোকা বানাবার চেষ্টা করবেন?

মোকতেল হোসেন মুক্তি, সভাপতি, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ।

 www.awamileaguemaldives.com/

 

সাবধানে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিঃস্বার্থ নেতা কর্মী ভক্ত এবং জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী দেশ প্রেমিক বন্ধুদের একটি একান্ত অনুরোধ “আপনারা দেশ ও জাতির জন্য অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকা সত্বেও অনেক সময় অনেক কাজই সমাধান করতে পারেন না অথবা অনেক সময়ই দলের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা না পেয়েও দলের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আপনারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে যারা আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করার জন্যে ক্ষমতা ও স্বার্থের উরদ্ধে থেকে সেচ্ছায় দলের জন্য কাজ করছেন । জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আপনাদের এই স্বেচ্ছায় সেবা প্রদানের জন্য আন্তরিকভাবেই কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আমাদের মনে রাখতে হবে” জামাত শিবির বি এন পি ও যুবদলের কুচক্রি ঘাতক দালালের উত্তরসূরি মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে পাকিস্তানের প্রভুর হাতে সপে দিয়ে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানের একটি অংগ রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। এরা সীমাহীন দুর্নীতি ও দেশের জনগণের সম্পদ লুটপাটের মাধ্যমে বিশ্বের সেরা ধনিকের সারিতে দাড়াতে সক্ষম হয়েছে। এই স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ইন্টারনেট জগতের এমন কোন শাখা প্রশাখা নেই, যেখানে ওদের কোন ডোমাইন ইউ আর এল নেই। এরা হ্যাকার । অনায়াসে আপনার আই ডি এবং পাসওয়ার্ড চুরি করতে পারে। এদের সাথে বন্ধুত্বের আগে যাচাই করে নিন, তাকে আপনি চিনেন কিনা? বা তিনি আদৌ স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির সদস্য বা সমর্থক কিনা? এরা আওয়ামী লীগের সকল নেটওয়ার্ক গুলোতে ঢুকে পাকিস্তান, জিয়াউর রহমান, তারেক জিয়া, গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদী, সাকাদের মুক্তির দাবী তুলছে এবং প্রচার করছে ইসলামিক রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়। কাজেই এদের রুখতে হলে সাবধানে কাজ করতে হবে।

 
Leave a comment

Posted by on May 20, 2012 in the 75 tragedy

 

BANGABANDHU SHEIKH MUJIBUR RAHMAN

BANGABANDHU SHEIKH MUJIBUR RAHMAN

The life of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman is the saga of a great leader turning peoplepower into an armed struggle that liberated a nation and created the world’s ninth most populous state. The birth of the sovereign state of Bangladesh in December 1971, after a heroic war of nine months against the Pakistani colonial rule, was the triumph of his faith in the destiny of his people. Sheikh Mujib, endearingly called Bangabandhu or friend of Bangladesh, rose from the people, molded their hopes and aspirations into a dream and staked his life in the long battle for making it real. He was a true democrat, and he employed in his struggle for securing justice and fairplay for the Bengalees only democratic and constitutional weapons until the last moment. It is no accident of history that in an age of military coup d’etat and ‘strong men’, Sheikh Mujib attained power through elections and mass movement and that in an age of decline of democracy he firmly established democracy in one of the least developed countries of Asia.

Sheikh Mujib was born on 17 March 1920 in a middle class family at Tungipara in Gopalganj district. Standing 5 feet 11 inches, he was taller than the average Bengalee. Nothing pleased him more than being close to the masses, knowing their joys and sorrows and being part of their travails and triumphs. He spoke their soft language but in articulating their sentiments his voice was powerful and resonant. He had not been educated abroad, nor did he learn the art of hiding feelings behind sophistry; yet he was loved as much by the urban educated as the common masses of the villages. He inspired the intelligentsia and the working class alike. He did not, however, climb to leadership overnight.

Early Political Life: His political life began as an humble worker while he was still a student. He was fortunate to come in early contact with such towering personalities as Hussain Shaheed Suhrawardy and A K Fazlul Huq, both charismatic Chief Ministers of undivided Bengal. Adolescent Mujib grew up under the gathering gloom of stormy politics as the aging British raj in India was falling apart and the Second World War was violently rocking the continents. He witnessed the ravages of the war and the stark realities of the great famine of 1943 in which about five million people lost their lives. The tragic plight of the people under colonial rule turned young Mujib into a rebel.

This was also the time when he saw the legendary revolutionary Netaji Subhas Chandra Bose challenging the British raj. Also about this time he came to know the works of Bernard Shaw, Karl Marx, Rabindranath Tagore and rebel poet Kazi Nazrul Islam. Soon after the partition of India in 1947 it was felt that the creation of Pakistan with its two wings separated by a physical distance of about 1,200 miles was a geographical monstrosity. The economic, political, cultural and linguistic characters of the two wings were also different. Keeping the two wings together under the forced bonds of a single state structure in the name of religious nationalism would merely result in a rigid political control and economic exploitation of the eastern wing by the all-powerful western wing which controlled the country’s capital and its economic and military might.

Early Movement: In 1948 a movement was initiated to make Bengali one of the state languages of Pakistan. This can be termed the first stirrings of the movement for an independent Bangladesh. The demand for cultural freedom gradually led to the demand for national independence. During that language movement Sheikh Mujib was arrested and sent to jail. During the blood-drenched language movement in 1952 he was again arrested and this time he provided inspiring leadership of the movement from inside the jail.

In 1954 Sheikh Mujib was elected a member of the then East Pakistan Assembly. He joined A K Fazlul Huq’s United Front government as the youngest minister. The ruling clique of Pakistan soon dissolved this government and Shiekh Mujib was once again thrown into prison. In 1955 he was elected a member of the Pakistan Constituent Assembly and was again made a minister when the Awami League formed the provincial government in 1956. Soon after General Ayub Khan staged a military coup in Pakistan in 1958, Sheikh Mujib was arrested once again and a number of cases were instituted against him. He was released after 14 months in prison but was re-arrested in February 1962. In fact, he spent the best part of his youth behind the prison bars.

Supreme Test: March 7, 1971 was a day of supreme test in his life. Nearly two million freedom loving people assembled at the Ramna Race Course Maidan, later renamed Suhrawardy Uddyan, on that day to hear their leader’s command for the battle for liberation. The Pakistani military junta was also waiting to trap him and to shoot down the people on the plea of suppressing a revolt against the state. Sheikh Mujib spoke in a thundering voice but in a masterly well-calculated restrained language. His historic declaration in the meeting was: “Our struggle this time is for freedom. Our struggle this time is for independence.” To deny the Pakistani military an excuse for a crackdown, he took care to put forward proposals for a solution of the crisis in a constitutional way and kept the door open for negotiations.

The crackdown, however, did come on March 25 when the junta arrested Sheikh Mujib for the last time and whisked him away to West Pakistan for confinement for the entire duration of the liberation war. In the name of suppressing a rebellion the Pakistani military let loose hell on the unarmed civilians throughout Bangladesh and perpetrated a genocide killing no less than three million men, women and children, raping women in hundreds of thousands and destroying property worth billions of taka. Before their ignominious defeat and surrender they, with the help of their local collaborators, killed a large number of intellectuals, university professors, writers, doctors, journalists, engineers and eminent persons of other professions. In pursuing a scorch-earth policy they virtually destroyed the whole of the country’s infrastructure. But they could not destroy the indomitable spirit of the freedom fighters nor could they silence the thundering voice of the leader. Tape recordings of Bangabandhu Sheikh Mujib’s 7th March speech kept on inspiring his followers throughout the war.

Return and Reconstruction: Forced by international pressure and the imperatives of its own domestic predicament, Pakistan was obliged to release Sheikh Mujib from its jail soon after the liberation of Bangladesh and on 10 January 1972 the great leader returned to his beloved land and his admiring nation.

But as he saw the plight of the country his heart bled and he knew that there would be no moment of rest for him. Almost the entire nation including about ten million people returning from their refuge in India had to be rehabilitated, the shattered economy needed to be put back on the rail, the infrastructure had to be rebuilt, millions had to be saved from starvation and law and order had to be restored. Simultaneously, a new constitution had to be framed, a new parliament had to be elected and democratic institutions had to be put in place. Any ordinary mortal would break down under the pressure of such formidable tasks that needed to be addressed on top priority basis. Although simple at heart, Sheikh Mujib was a man of cool nerves and of great strength of mind. Under his charismatic leadership the country soon began moving on to the road to progress and the people found their long-cherished hopes and aspirations being gradually realized.

Assassination: But at this critical juncture, his life was cut short by a group of anti-liberation reactionary forces who in a pre-dawn move on 15 August 1975 not only assassinated him but 23 of his family members and close associates. Even his 10 year old son Russel’s life was not spared by the assassins. The only survivors were his two daughters, Sheikh Hasina – now the country’s Prime Minister – and her younger sister Sheikh Rehana, who were then away on a visit to Germany. In killing the father of the Nation, the conspirators ended a most glorious chapter in the history of Bangladesh but they could not end the great leader’s finest legacy- the rejuvenated Bengali nation. In a fitting tribute to his revered memory, the present government has declared August 15 as the national mourning day. On this day every year the people would be paying homage to the memory of a man who became a legend in his won lifetime. Bangabandhu lives in the heart of his people. Bangladesh and Bangabandhu are one and inseparable. Bangladesh was Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman’s vision and he fought and died for it.

 

My practical experience, some of new leaders of BNP (retired amla) wants to be leader. They want to show something to Khaleda Zia in strike period. Want to be talk of the day as like Sadek Hossain Khoka. Khoka hold liquid tomato pack with him and blasted in due time while police caught him on the streets. Remember people? Shamsher Mobin Choudhury Beer Bikram Freedom fighter, I salute for his contribution, but I enjoyed his acting on strike period with police SI. He want to be arrested then news will be like this “Beer Bikram Shamsher Mobin Choudhury didn’t relief from the police tortured.

Good attitude but no need to do this simple acting for growing the attraction of Khaleda. Next time he will be foreign Minister if BNP comes to the power.

Bangabandhu Slideshow for website

<script src=”http://picturepush.com/external.js.php?module=slide&amp;mode=album&amp;clid=28698&amp;alid=87770&amp;tagname=&amp;q=&amp;repeats=-1&amp;time=2000&#8243; type=”text/javascript”></script>

 
Leave a comment

Posted by on May 20, 2012 in the 75 tragedy

 

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের দুই বছরের সাফল্য (২০১০-২০১১)

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের দুই বছরের সাফল্য (২০১০-২০১১)

http://abdullahharun.net/?p=345Image

বিশ্বের অর্থনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক বিষয়াবলী বিবেচনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের সাফল্য অন্য যে কোন সরকারের তুলনায় প্রশংসনীয় এবং অগ্রগামী। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের দিকে সাফল্যের সাথে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে মায়ানমারের সাথে অমীমাংসিত সমুদ্র বিজয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের লক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ, শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন, দুর্নীতি ও লালফিতার দৌরাত্ম্যকমাতে টেন্ডারসহ সরকারী বিভাগসমূহের ডিজিটালাইজেশন, ২৪ ঘণ্টা প্রসূতি সেবা কেন্দ্র স্থাপন, জেলা শহরে বার্ন ইউনিট গঠন, রেলমন্ত্রনালয় পৃথকীকরণ, আইটি পার্ক, দেশকে পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন স্থাপন, বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস, কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য ৬শ ৮২ একর ভূমি বরাদ্দ ইত্যাদি পদক্ষেপ বাংলাদেশকে মাঝারি আয়ের দেশে পরিণত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ২০১০-১১ এ দুই বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার বাস্তব ও গণমুখী নেতৃত্বে সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সব সাফল্য অর্জন করেছে তা এখানে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

এটুআই (এ২আই) প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ই-সেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৮৫ হাজার লোককে সরাসরি সেবা দেওয়া হয়েছে। দেশের সকল নাগরিককে ই-সেবা দেয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় ও মাঠ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে কৃষিখাত, ব্যবসা-বাণিজ্য, রেলওয়ে টিকেট বিক্রয়, পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা, বিভিন্ন ধরনের বিল প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে। বেপজার অধীনস্থ বিভিন্ন জোনের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ব্যবসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডে আমদানি-রপ্তানি অনুমোদনের ক্ষেত্রে অটোমেশন পদ্ধতি চালু হয়েছে। ইপিজেড এলাকায় ৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে এবং আরো ২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইপিজেডস্থ শিল্প-প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে যা দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। আশ্রায়ণ প্রকল্প (ফেইজ-২) এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারের জন্যে গৃহীত কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে ইতোমধ্যে পুনর্বাসিত করা হয়েছে এবং আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরো ৫০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনে জন্য উপকূলীয় অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকায় ব্যারাক ও গৃহনির্মাণের কাজ জুলাই-২০১০ থেকে শুরু হয়েছে যা জুন ২০১৪ সালে সম্পন্ন হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রণীত পলিসি এন্ড স্ট্র্যাটেজি ফর পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ, ২০১০-এর আওতায় তিনটি গাইড লাইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ

তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিকদের দ্রুত সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৫০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও ৭টি অধিদফতর ইউনিকোড বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগ সমূহের মধ্যে ইলেকট্রনিক যোগাযোগ স্থাপন কার্যক্রমের আওতায় ২৩টি মন্ত্রণালয়/ বিভাগকে সচিবালয় নেটওয়ার্ক ব্যাকবোনের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। মাঠ প্রশাসনসহ সকল পর্যায়ে ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান, ডিজিটাল নথি ব্যবস্থাপনা চালু হয়েছে। রংপুরকে প্রশাসনিক বিভাগ করা হয়েছে।Image

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়

জনপ্রশাসনে অধিকতর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রচলিত বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন পদ্ধতির পরিবর্তে কর্মসম্পাদন ভিত্তিতে মূল্যায়ন পদ্ধতি ব্যবস্থা প্রবর্তনের কার্যক্রম চলছে । মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও নথি নিষ্পত্তি দ্রুততর করার লক্ষ্যে ডিজিটাল নথি প্রণয়ন, নথি ট্র্যাকিং ও নোটিং বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মকর্তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর করার জন্যে ৬৬৫টি ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়

তিনসালা মধ্যমেয়াদী বাজেট কাঠামোকে পাঁচশালা কাঠামোতে প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বাজেট প্রণয়ন ও বাংলাদেশ অর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে এবং এ তহবিলকে কোম্পানিতে রূপান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সহজ উপায়ে কৃষিঋণ এবং সরকারি ভর্তুকির অর্থ পেতে ন্যূনতম ১০(দশ)টাকা সঞ্চয়ের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। করদাতাদের কর প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে আয়কর মেলা এবং অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা গ্রহণসহ কর ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ অটোমেশন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী রূপকল্প হিসেবে বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা রূপরেখা (২০১০-২১) প্রণয়ন করা হয়েছে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১১-১৫) প্রণয়নের কাজ চলছে। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানব সম্পদ উন্নয়ন, পশ্চাৎপদ এলাকার অধিকতর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করে ৩৮,৫০০ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (২০১০-১১) গৃহীত হয়েছে। এতে মোট ৯১৬টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত বিডিআর সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যারা গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধসমূহ সংঘটন করেছে উল্লেখিত অপরাধসমূহ বিচারের জন্য বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধনী) আইন, ২০০৯ পাশ করেছে। আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাসমূহের দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা ০৭ থেকে ১১ এ উন্নীত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি ওয়েব সাইট স্থাপন করা হয়েছে এবং সকল শাখায় ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। গ্রামীণ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সেবা প্রদান ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে গ্রামীণ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে। ২০১৫ সালের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশের মোট ১০ লক্ষ হত-দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাসে ডিএফআইডি’র ৮৮৪কোটি টাকা (৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড) অনুদান সহায়তাসহ মোট ৮৮৬.৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেব্রুয়ারি ২০০৮ থেকে ডিসেম্বর২০১৫ মেয়াদে ইকনোমিক এমপাওয়ারমেন্ট অব দি পুওরেস্ট ইন বাংলাদেশ (ইইপি) শীর্ষক একটি প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ চলছে। জুলাই ২০০৯ থেকে পল্লী এলাকায় উন্নত সেবা ই-পরিষদ শীর্ষক একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়

সকল প্রকার নন-ইউরিয়া সারের দাম কয়েক দফায় কমিয়ে চার ভাগের এক ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের প্রচলন করে কৃষকেরা ১০ (দশ) টাকার ব্যাংক একাউন্ট খুলে সে একাউন্টের মাধ্যমে সরকারের দেয়া ভর্তুকিসহ বিভিন্ন কৃষি সহায়তা গ্রহণ করছেন। সরকারের সহায়তায় পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার দেশের কৃষি খাতে বিশাল অর্জন। কৃষকদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান ২৫% ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান, রিবন রেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে পাটের আঁশ ছাড়ানোর জন্য বিনামূল্যে ১৫ হাজার রিবনার প্রদান করা হয়েছে।

খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়

স্বল্প-আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্যে ফেয়ার প্রাইস কার্ড চালু করা হয়েছে। কার্ডধারী প্রতিটি পরিবার সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাসে ২০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। বর্তমানে সারা দেশে এক লাখ ৩৫ হাজার মে. টন ধারণ ক্ষমতার খাদ্য-গুদামের নির্মাণ কাজ চলছে। আরো প্রায় সাড়ে আট লাখ মে. টন ধারণ ক্ষমতার খাদ্য-গুদাম সাইলো নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। আইলা ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ হিসেবে ১৩,৪০২ মে. টন চাল এবং গৃহ নির্মাণের জন্য ৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

জাতীয় শিক্ষানীতি জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে। প্রাথমিকের শতভাগসহ এবতেদায়ী, মাধ্যমিক, দাখিল, কারিগরিসহ মাধ্যমিকের সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ২০১০ সালের প্রথম দিনেই বই তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে ঝরে পড়ার হার হ্রাস পাওয়ায় এবছর গত বছরের ১৯ কোটি বইয়ের স্থলে ২৩ কোটি ২০ লক্ষ বই ছাপিয়ে পয়লা জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণ ও নতুন শিক্ষানীতিতে মাদ্রাসা শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

বর্তমান সরকার দু’বছরে প্রায় ৫৩ হাজার ১৪১জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগদান করেছে। প্রায় ৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকের চাকুরী দেয়া হয়েছে এবং আরও প্রায় ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে চাকুরী দেয়ার কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১১ সালের মধ্যে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ৫৫টি পিটিআই-এ আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে এক হাজার ১০০ অফিসে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন হতে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য “বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১০” চালু করা হয়েছে ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও অন্যান্য সেবা ও পরামর্শ কেন্দ্র হিসেবে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৭ শত ২২টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। ২৮তম বিসিএস-এর মাধ্যমে ৭৮০ ও অ্যাডহক ভিত্তিতে ৩৫৫১ জন চিকিৎসক নিয়োগ এবং ১৭২২ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স ৬ হাজার ৩ শত ৯১জন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে । মানসম্মত ঔষধ উৎপাদন ও বিপুল সম্ভাবনাময় ঔষধ রপ্তানি সুবিধার উন্নয়ন জোরদার করতে ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তর করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থিদের দমন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা-বিরোধী অপরাধের বিচার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার নিশ্চিত করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটি গঠন করা হয়েছে। গার্মেন্টস শিল্প এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য শিল্পাঞ্চল পুলিশ গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-কে পুনর্গঠন করে ’বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিকমানের ও স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। বাংলাদেশ পাসপোর্টকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) প্রবর্তন করা হয়েছে। জনগণের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রদান শুরু হয়েছে। ইভ-টিজিং রোধে (মেয়েদের উত্ত্যক্ত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মেয়েদের উত্ত্যক্তকারী ব্যক্তিকে তাৎক্ষনিকভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিচার করার জন্য মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ সংশোধন করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সিএফএল ব্যবহারে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে এই প্রথমবারের মতো দেশে বিনামূল্যে ৪৫ লাখ গ্রাহককে ১ কোটি ৫ লক্ষ এনার্জি সাশ্রয়ী সিএফএল বাল্ব বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৮০-১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। গ্যাসের যথার্থ ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ জারী করা হয়েছে। গ্যাস সেক্টরের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠন করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী আমদানি নীতি ও রপ্তানি নীতি ২০০৯-২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় রাখতে টিসিবি’কে সক্রিয় এবং বাজার নিয়ন্ত্রণমূলক সমতা সৃষ্টি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যথাঃ চিনি, সয়াবিন তেল, পামঅয়েল, মশুর ডাল ও ছোলার আপতকালীন মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে এবং টিসিবি’র নিয়োগকৃত ডিলারদের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যে খোলাবাজারে বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

রাজউক এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ হাজার প্লট উন্নয়ন ও সাড়ে ৪ হাজার ফ্লাট নির্মাণের কাজ ৩২টি অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় চলমান রয়েছে। ঢাকার চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট শহরে ১১৫০০ প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়

গার্মেন্টস সেক্টরসহ মোট ১৪টি বেসরকারি শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরী পুনঃনির্ধারণসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণের জন্য জাতীয় মজুরী ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১০ গঠন করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার ও কর্তব্য সচেতনতামূলক ৬৬টি শ্রমিক শিক্ষা কোর্স আয়োজনের মাধ্যমে ১,৫৫৬ জন শ্রমিককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয়

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্য প্রবাহের অবাধ চলাচল সুনিশ্চিত করার জন্য তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ পাশ করা হয়েছে এবং তথ্য কমিশন গঠন, বেসরকারি মালিকানায় এফএম বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম (৩য় পর্যায়ে) শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়

দেশে উন্নত প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক শিল্প প্রসারের জন্য কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক এবং কাওরান বাজারের বিসিএসআরএস ভবনে আশিটি ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া ফেডারেশন সরকারের সাথে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। দেশে নবীন বিজ্ঞানী ও গবেষক সৃষ্টির জন্য বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রবর্তন করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

রূপকল্প ২০২১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের আলোকে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার যে অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে। ফলত: বিশ্বপরিমন্ডলে বাংলাদেশ একটি প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ এবং কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং উদ্যোগ বিশ্বে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছে। গত দুই বছরে সকল আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনে বাংলাদেশ বিপুল সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, ইউএনইপি, ইউনেস্কো, ডব্লিউএইচও, আইটিইউ ইত্যাদি।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

শিক্ষিত আগ্রহী বেকার যুবক/যুবমহিলাদের জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় ক্রিকেট দল ওয়েষ্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়লাভ করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

৩৫০০টি পাড়া কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬৮,০০০ শিশুকে প্রি-স্কুল শিক্ষাদান করা হয়েছে। প্রায় ১,১৮,০০০ পরিবারের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিমান উন্নয়ন, ৪টি আবাসিক বিদ্যালয়ের ৭০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদান করা হয়েছে। ৯৯৮ জন পাড়া কর্মীর মৌলিক ও ১৫০০ জন পাড়াকর্মীর সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ, ৫০ জন কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ, ১১৮০টি পাড়াকেন্দ্রের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে ।

শিল্প মন্ত্রণালয়

২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের শিল্পসমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় শিল্পনীতি ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। সারের মূল্য তিন দফায় কমিয়ে কৃষকদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা হয়েছে। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে ২০০৯-২০১০ উৎপাদন মৌসুমে ১৭ লাখ ৭ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। জাতীয় লবণনীতি প্রণয়নের কাজ চলছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়

দেশের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার করার জন্য দেশজ সংস্কৃতির বিকাশ শীর্ষক কার্যক্রম গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগ কর্তৃক ২০১০-১১ অর্থ বছরের বাজেটে সংস্কৃতি খাতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত স্থান নিয়ে সোনার বাংলা সাংস্কৃতিক বলয় গড়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়

ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমানার বাংলাদেশ সীমানার সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা সেক্টরের সর্বমোট ১১২৯টি স্ট্রিপ ম্যাপের স্ক্যানিং ও ডিজিটাইজিং এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১০-১১ অর্থ বছরে উপজেলা প্রতি ৪৬টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ৫ হাজার একর কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়

প্রধানমন্ত্রীর ও ৬৪টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মোট ৭২টি পয়েন্ট ভিডিও কনফারেনসিং নেটওয়ার্ক চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করা হয়েছে। প্রবাসীগণ স্বল্প ব্যয়ে যাতে কথা বলতে পারেন সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল রেট ৪ মার্কিন সেন্ট থেকে কমিয়ে ৩ মার্কিন সেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩টি পার্বত্য জেলায় টেলিটক মোবাইল চালু করা হয়েছে। টেলিযোগাযোগ ও টেরিস্টেরিয়াল নীতিমালা ২০১০ প্রণীত হয়েছে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্প হিসেবে কক্সবাজার জেলার সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন কার্যক্রম দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন করার জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোল স্থল বন্দরের আধুনিকীকরণ কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ১টি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৬টি নতুন মেরিন একাডেমী স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সরকার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। দেশের বৃহত্তর ২১টি জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস ও পরিবেশ আদালত স্থাপনের জন্য পরিবেশ আদালত আইন ২০০০ সংশোধন করা হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ পদক চালু করা হয়েছে। চিত্রল হরিণ লালন-পালন সংক্রান্ত নীতিমালা ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। জাহাজ ভাঙ্গা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়

অভিবাসী কর্মীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত স্মার্ট-কার্ড চালু করা হয়েছে। অভিবাসীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, রেমিট্যান্স গ্রহণ ও তাদের প্রেরিত অর্থ দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং একই সাথে শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও কল্যাণে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ৩০টি জেলায় ৩০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ও ৫টি মেরিন টেকনোলজি ইন্সটিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মৎস্য ও পানিসম্পদ অধিদপ্তর

রূপকল্প ২০২১ এর আওতায় গৃহীত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বিবেচনায় রেখে ইতোমধ্যেই মৎস্য উন্নয়ন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০০৯-২০২১) প্রণয়ন করা হয়েছে। পানিসম্পদ অধিদপ্তর ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বৃদ্ধির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

হজ্জ ব্যবস্থাপনাকে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি আদান-প্রদান ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী আমানত ১৬ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী আমানত বৃদ্ধি করা হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এবারই প্রথম খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

পর্যটন নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন, পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা, বিশেষ পর্যটন আইন ২০১০ প্রণয়ন, টুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। এডিপির অর্থায়নে ১০৯৭.২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘কুয়াকাটা মোটেলে ও ইয়ুথ ইন’ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

বৈশ্বিক উষ্ণতাজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং সমুদ্র হতে ভূমি উদ্ধার প্রকল্পসহ গঙ্গায় বাঁধ নির্মাণের মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি স্বল্পতার প্রেক্ষিতে ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে যৌথ নদী কমিশন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়

দেশে পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার পণ্যের মোড়কী করনে পাটজাত পণ্যের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ প্রণয়ন করেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প প্রসারের প্রয়াসে খুলনা টেক্সটাইল পল্লী স্থাপনের কাজ দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

১৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভের গ্লাস টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১০ থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানার্থে ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের সকল জেলায় এবং ৮০৬.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সকল উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়

বয়স্ক ভাতা ২০০৮-০৯ অর্থ বছর থেকে ২০১০-১১ অর্থ বছরে ৪.৭৫ লক্ষ ভাতাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের জন্য ৪২.৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাদের জন্য ভাতা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়

পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থ সংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। নভেম্বরে শুরু করে নয় মাসে কার্যকরের পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। মহানগরীর যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান চুড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়েকে আলাদা বিভাগে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে ও অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে যানবাহন কর দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাশিয়ানি হতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি স্থল পর্যন্ত এবং ঈশ্বরদী হতে পাবনা হয়ে ঢালার চর পর্যন্ত নতুন ব্রড গেজ রেললাইন নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

খসড়া জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি অনুমোদনের কার্যক্রম চলমান আছে। বিমান বাহিনীতে এ.আর-১৫ রাডার এর কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এফ-৭ জঙ্গী বিমানের সার্বিক সুবিধা স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দেশের প্রতিটি ক্যাডেট কলেজে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন ও এমআইএসটিতে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০ মহান জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পূর্বের ৬টি বিভাগীয় শহরের সাথে রংপুর বিভাগে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ইভটিজিং প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র‌্যালী, মানব বন্ধন ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সরকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত এক বছরে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫% যা একটি রেকর্ড। আশা করা যায় সরকারী সহযোগিতায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য স্থান অর্জন করবে। সম্প্রতি ব্রাজিলে মিশন খোলার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে কূটনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘ শিশুদের অপুষ্টির বিরুদ্ধে পদক্ষেপে নেতৃত্ব দিতে শেখ হাসিনাকে মনোনীত করেছে। নির্বাচনী ইশতিহারে যে সকল প্রত্যয় ও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছিল তাকে সামনে রেখে সরকার জাতি গঠনের কাজে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে বাংলাদেশ পরিণত হবে একটি মধ্যম আয়ের দেশে।

 
Leave a comment

Posted by on May 19, 2012 in the 75 tragedy

 

আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত প্রচেষ্টা : অপশক্তির কেন এই অপকৌশল?

Imageআওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত প্রচেষ্টা : অপশক্তির কেন এই অপকৌশল?

 মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের নামে ষড়যন্ত্র, সেনা অভ্যূথান প্রচেষ্টা এবং সর্বশেষ মহাসমাবেশের নামে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আরব বসন্তের ঘটিয়ে ৭১-এ পরাজিত একই অপশক্তি ৭৫-এর ন্যায় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচূত করার রঙীন স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু কেন? একমাত্র সহজ উদ্দেশ্য ৭৫-এর ন্যায় আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষমতায় এসে ৭৫-এর ন্যায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে রেহাই দিয়ে তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করা।কৃষি, শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সফলতা বাদ দিলেও বিদ্যুত সমস্যার সমাধান এবং জ্বালানী তেলে ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় তথা ধাপে ধাপে ভর্তুকি তুলে নিয়ে সরকার এমন সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে যার সুফল অন্ততঃ আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত জনগণ ও পরবর্তী সরকার ভোগ করবে। আগামী ২ বছরের মধ্যে বিদ্যুত সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে জনগণ দীর্ঘ বছরের ভোগান্তি (অতীত এবং ভবিষ্যত) থেকে মুক্তি পাবে। আবার ভর্তুকি তুলে নেয়ার ফলে দেশী-বিদেশী ব্যাংক থেকে জ্বালানী তেল কেনার জন্য সরকারকে বিপুল পরিমান অর্থ ধার নিয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাওয়া বা কঠিন চ্যালেন্জের সন্মুখিন হওয়া লাগবে না। সবচেয়ে বড় সমস্যার সমাধান হওয়ায় পরবর্তী সরকারের জন্য রাস্তা পরিষ্কার। বিদ্যুত ও জ্বালানীর দাম বাড়ানোসহ অন্যান্য অজুহাতে জনগণকে ক্ষেপিয়ে যে কোন মূল্যে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে এবং আওয়ামী লীগকে ঠেকিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারলে বড় সমস্যা না থাকার জন্য হেস-খেলে দেশ চালানো যাবে।দাম বাড়ানোর অজুহাতে আওয়ামী লীগকে জনগণের নিকট দোষী বানানোর চেষ্টা করলেও ক্ষমতায় যেয়ে বিদ্যুত ও জ্বালানীর দাম কমানো হবে না। আবার দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগের ন্যায় দাম বাড়িয়ে জনগণের নিকট অপ্রিয় হওয়ারও আপাততঃ প্রয়োজন নেই। কী শান্তি। এভাবে অনেক বছর শান্তিতে ক্ষমতায় থাকতে পারলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে রেহাই দিয়ে তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করা যাবে যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মাধ্যমেও করা হয়েছিল।বর্তমানের ন্যায ১৯৭৫ সালেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান ছিল্। কিন্তু ১৯৭৫ সালে দেশে তেমন কোন মহাসংকট ছিল না। অপশক্তির ষড়যন্ত্র সত্বেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সফলতার সঙ্গে ১৯৭৪-এর দূর্ভিক্ষ মোকাবেলা করেছিলেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পূণর্বাসনের দ্বারপ্রান্তে এনেছিলেন। ঠিক তখনই জাতিকে ষড়যন্ত্রের জালে বন্দি এবং বিভ্রান্ত করে বঙ্গবন্ধু এবং ৪ নেতা হত্যাকান্ডের মাধ্যমে অপশক্তির এজেন্ট প্রয়াত জিয়াকে ক্ষমতায় বসানো হয়। মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ডায়েরী অনুসারে জিয়া উর্দু এবং ইংরেজীর ন্যায় বাংলা ভাল বলতে পারতো না কিন্তু মাইলের পর মাইল হাটতে পারতো। বাংলা ভাল না পারার জন্য ভাষণ কম দেয়া এবং মাইলের পর মাইল হাটতে পারার জন্য জিয়াকে দিয়ে খাল কাটিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। পৃর্থিবীর সবচেয়ে দামী সানগ্লাস চোখে অথচ গেন্জী ছেড়া; জনগণের সঙ্গে মশকরা কাকে বলে।

 বতর্মান সরকার যদি সুন্দরভাবে দেশ চালিয়ে স্বাথর্ক হয় তবে আগামী নির্বাচনেও জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ জয়ী হবে। জামাত-বিএনপি কোনভাবেই জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ ২০০১-০৬ টার্মে তারা দেশের মঙ্গলের জন্য দৃষ্টান্তমূলক এমন কিছুই করে নাই যা জনগণ স্মরণ করে আবারও তাদের ভোট দিবে। একারণেই ক্ষমতায় আসতে হলে আওয়ামী লীগকেও ২০০১-০৬-এর ন্যায বা তারচেয়েও বেশী ব্যর্থ করতে হবে। তখন তারা জনমত সৃষ্টি করবে, আওয়ামী লীগ আমাদের চেয়েও ব্যর্থ, অতএব আমাদের ভোট দাও। অলরেডি তারা বিভিন্ন খবরের কাগজের অনলাইন এডিশন এবং ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতাই তাদের সফলতাএমন মন্তব্যের মাধ্যমে ২০০১-০৬ -এ নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল করে আওয়ামী লীগের নামে ব্যর্থতার অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ তাতে জামাত-বিএনপির কিছুই যায়-আসে না; কারণ সরকার ব্যর্থ না হলে ক্ষমতায় আসার জন্য ভোটের সময় জনগণের নিকট তদের বলার কিছু থাকে না।পাকিস্তানপন্থী তাদের গোপন নীতি হচ্ছে দেশ পরে, দল আগে। একারণে দেশকে রসাতলে নামিয়ে এবং রসাতলে নামানোর দোষ আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে য়েকোন মূল্যে ক্ষমতায় আসতে হবে। এই হচ্ছে জামাত-বিএনপি জোটের দেশপ্রেম! 

১৯৭২-৭৫ সালেও বঙ্গবন্ধু সরকারকে বেকায়দায় ফেলা এবং ৭৫-এর ট্রাজেডি ঘটানোর পিছনে একই অপশক্তি জড়িত ছিল।কিন্তু তখন অপশক্তির প্রধান রাজনৈতিক গ্রুপ ছিল জামাত এবং বর্তমানে বিএনপি।আমরা অনেকেই একটি বিষয় বুঝিনা যে বিএনপি জামাতেরই সৃষ্টি।প্রয়াত জিয়ার সুবিধাবাদী মুক্তিযুদ্ধে সংশ্লিষ্ঠতা এবং ২৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণার সাইনবোর্ড কাজে লাগিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে মুক্তিযুদ্ধারাই ক্ষমতায় আছে (বাস্তবে পাকিস্তানপন্থী) ১৯৭৫ সালে জামাত জিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। জামাতই পরবর্তীতে আইএসআই-এর সঙ্গে পরামর্শক্রমে জিয়াকে দিয়ে বিএনপি (বাংলাদেশ নয় পাকিস্তান = বিএনপি ; Bangladesh Not Pakistan) প্রতিষ্ঠা করে। ক্ষমতা গ্রহণের পর জিয়ার পাকিস্তান এবং জামাত প্রীতি থেকেই বিষয়টি পরিষ্কার। বর্তমানেও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচূত করার ক্ষেত্র তৈরী তথা সরকারকে বেকায়দায় ফেলা, ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা বা ব্যর্থ করার গোপন মিশনের মূল পরিকল্পনাকারী জামাত, সঙ্গে আছে বিএনপির পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা।

 এমনকি এই অপশক্তি ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ন্যায় বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যাকান্ডের স্বপ্ন দেখতেছে। বিডিআর ট্রাজেডি, ব্যর্থ সেনা অভ্যূথান এবং ফেসবুক-টুইটার বা অনলাইন খবরের কাগজে তাদের মিডিয়া গ্রুপের মন্তব্য সেই আলামতই বহন করে। 

সরকার ব্যর্থ অর্থ আওয়ামী লীগ ব্যর্থ। আওয়ামী লীগকে ব্যর্থ করার গোপন মিশন বাস্তবায়নের জন্য এই অপশক্তি মনে হয় ৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করছে ; ১। প্লানিং গ্রুপ , ২। পলিটিক্যাল গ্রুপ , ৩। অপারেশন্স গ্রুপ , এবং ৪। মিডিয়া গ্রুপ।

 প্লানিং গ্রুপ:

অন্য ৩ গ্রুপের প্রতিনিধিসহ, অপশক্তিপন্থী বুদ্ধিজীবি এমনকি আওয়ামী লীগ বিরোধী বিদেশী গোপন এজেন্টও এই গ্রুপ সংশ্লিষ্ঠ। সরকার এবং আওয়ামী লীগকে ব্যার্থ করার জন্য অন্য ৩ গ্রুপের কাজ কি হবে তা এখান থেকে নির্ধারিত এবং পরিচালিত হয়। সরকারকে ব্যর্থ করার বিভিন্ন ক্ষেত্র তৈরীর পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং অন্য ৩ গ্রুপ দ্বারা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নই হচ্ছে প্লানিং গ্রুপের প্রধান কাজ। তাদের গঠিত প্রকাশ্যে গ্রুপ নাইন বা জি-নাইন কিন্তু সরকার এবং আওয়ামী লীগকে ব্যর্থ করার জন্য এটাই গোপনীয় প্লানিং গ্রুপ হওয়া অসম্ভব নয়।

 পলিটিক্যাল গ্রুপ:

 প্লানিং গ্রুপের পরামর্শক্রমে কখন এবং কোন বিষয়ে কি রাজনৈতিক বক্তৃতা/বিবৃতি দিতে হবে তা বাস্তবায়ন করাই পলিটিক্যাল গ্রুপের কাজ। অপারেশন্ন গ্রুপের কাজ শেষ হওয়া (বক্তৃতা/বিবৃতির ক্ষেত্র তৈরী )-র পরপরই এই গ্রুপের কাজ শুরু হয়। সঙ্গেসঙ্গেই মিডিযা গ্রুপও রাজনৈতিক গ্রুপের বক্তৃতা/বিবৃতির সুত্র ধরে আওয়ামী লীগ বিরোধি জনমত সৃষ্টির জন্য অব্যহত অপপ্রচার শুরু করে।

 অপারেশন্স গ্রুপ:

 প্লানিং গ্রুপের পরামর্শক্রমে সরকার তথা আওয়ামী লীগকে প্রশাসনিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সাংগঠনিকভাবে বেকায়দায় ফেলা, ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা বা ব্যর্থ করার মূল কাজ অপারেশন্স গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত হয়। সরকারের ভেতরে সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগ বিরোধি ঊধর্তন/নিম্নতম কমর্চারী, আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য এবং সরকারের বাইরে আওয়ামী লীগ বিরোধি এনজিও, বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঊধ্বর্তন ব্যক্তিবর্গ, ছাত্র-যুব নেতা, সন্ত্রাসী, খূনী, ডাকাত, ছিনতাইকারী প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয় ও সেক্টর সংশ্লিষ্ঠ উপগ্রুপের সমন্বয়ে এই গ্রুপ গঠিত। অপারেশন্স গ্রুপ সংশ্লিষ্ঠ অপশক্তিপন্থী সন্ত্রাসী, খূনী, ডাকাত, ছিনতাইকারীদের কাজ হচ্ছে সন্ত্রাস, খূন, ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি কিভাবে ২০০১-০৬-এর চেয়ে বেশী ঘটিয়ে সরকার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থএই দোষে দোষী করা যায়। তদ্রুপ, অপারেশন্স গ্রুপ সংশ্লিষ্ঠ যে যেখানেই আছে সেই অবস্থান থেকে কলম বা হাত দিয়ে চেষ্টা করে কি ভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা যায়। 

বিডিআর বিদ্রোহে ইন্ধন দেয়াকে ভিত্তি ধরে অপারেশন্স গ্রুপ গঠিত হয়। বিডিআর বিদ্রোহের সময় এই অপারেশন্স গ্রুপ গঠিত না হলেও বিডিআরে লুক্কায়িত জামাত-হিযবুত জঙ্গীদের ইন্ধনে বিদ্রোহ সংগঠিত হয় যা বিএনপি হাই কমান্ড অবগত ছিল। বিএনপি হাই কমান্ড অবগত থাকার স্বপক্ষে যুক্তি হ, বিদ্রোহ সংগঠনের অনেক আগেই বেগম জিয়া ক্যান্টনমেন্ট বাসার বাইরে লুকিয়ে থেকে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন, কখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচূত হবে। বিদ্রোহে অপশক্তির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হলেও অন্য জায়গায় তারা সফল হয়েছে। তাদের মিডিয়া গ্রুপের সহযোগিতায় বিদ্রোহের সঙ্গে আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালিয়ে দেশবাসীকে বিভক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এই সফলতাকেই পূঁজি করেই পরবর্তীতে অপারেশন্স গ্রুপ গঠিত হয়। 

অপারেশন্স গ্রুপ দ্বারা পরবর্তীতে তারা অনেকগুলো সফলতা ঘরে তুলে নেয়। অপারেশন্স গ্রুপের ১ম সফলতা আসে আর্মি হাউজিং এষ্টেট প্রকল্প ব্যর্থ করার মাধ্যমে। পরবর্তীতে তারা আড়িয়াল বিলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর প্রকল্প ব্যর্থ করে আর এক সফলতা পায়।

 ডঃ ইউনুস বিষয়ে বিতর্ক সর্ষ্টি করে কূটনৈতিক সফলতা ঘরে তোলার জন্যও এই গ্রুপ কাজ করেছিল্। একটু লক্ষ্য করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। বিদেশী ওয়েবসাইটে বিষয়টি প্রকাশ করা এবং বাংলাদেশী মিডিয়াকে ফোকাস করানোর পিছনে অপারেশন্স গ্রুপের ইন্ধন ছিল। প্লানিং গ্রুপের উদ্দেশ্য ছিল অপারেশন্স গ্রুপের কাজ শেষ হলেই আওয়ামী লীগ তথা সরকার ডঃ ইউনুসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার পরপরই রাজনৈতিক গ্রুপ খুশি হয়ে সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার বিরুদ্ধে বক্তৃতা/বিবৃতি শুরু করবে এবং মিডিয়া গ্রুপ ডঃ ইউনুসের পক্ষে ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করবে। সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত বেগম জিয়ার মুখ থেকে ডঃ ইউনুসের পক্ষে দেশবাসী কোন বিবৃতি দেখে নাই। কারণ তিনি খুশি মনে অপেক্ষা করছিলেন কথন সরকার ব্যবস্থা নেবে এবং এই ইস্যুতে ডঃ ইউনুস ও হিলারী ক্লিন্টনের বন্ধুত্বের সুযোগে আমেরিকাকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে আমেরিকার সম্পূর্ণ সমর্থন বিএনপি-জামাত-হিযবুতের পক্ষে নেবে। 

আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও স্টক মার্কেট সংশ্লিষ্ট সরকারের ভেতরে এবং বাইরে লুক্কায়িত এই অপারেশন্স গ্রুপ শেযার বাজারকে টার্গেট করে এবং ৯৬ সালের তুলনায় শেয়ার বাজারকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ করে তাদের মিডিয়া গ্রুপের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আর এক সফলতা দেখায়। সকলেই জানে, শেয়ার বাজার থেকে সম্মিলিত ব্যাংক-ব্রোকারেজের বিনিয়োগকৃত হিউজ টাকা উত্তোলনের জন্যই বাজারে ধস নামে। ব্যক্তি সালমান এফ রহমান বা মোসাদ্দক আলী ফালু র বিনিয়োগকৃত টাকা সম্মিলিত ব্যাংক-ব্রোকারেজের টাকার নিকট নস্যি মাত্র।সম্মিলিত ব্যাংক-ব্রোকারেজের মালিকগণ অধিকাংশই বিএনপি-জামাতপন্থী।আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্য অপশক্তি দ্বারা শেযার বাজারকে টার্গেট করে নিজেদের প্রয়োজনে উঠানো এবং নামানোর জন্য পিছন থেকে ইন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করানো হতে পারে।  

পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ ফেরত নেয়ার ঘোষণায় যে এই অপশক্তির কারসাজি আছে তা বিএনপি নেতা জনাব মির্জা ফকরুলের পদ্মা সেতু বিষয়ক সবর্শেষ বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়েছে।মির্জা ফকরুল সাহেব মালয়েশিয়ান সরকারকে জড়িয়ে প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিনিয়োগকৃত অর্থের উৎস জানতে চেয়েছেন যে এই অর্থ এ দেশের শেয়ার বাজারের কি-না। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি চতুরতার সঙ্গে মালয়েশিয়ান বিনিয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছেন যাতে মালয়েশিয়াও বিশ্ব ব্যাংকের ন্যায় বিতর্ক এড়ানোর জন্য পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে পিছু হটে যায়। অপশক্তি জানে,পদ্মা সেতু প্রকল্প সাকসেস হলে দক্ষিণবঙ্গের জনগণের নিকট আওয়ামী লীগের গ্রহলযোগ্যতা আকাশচুম্বি হবে ; যা কোন ভাবেই তারা মেনে নিতে পারে না। বড় বড় ঠিকাদারি প্রকল্পে দূর্নীতি এদেশে নতূন নয় এবং বিশ্ব ব্যাংক কোনদিনই ধোয়া তুলসি পাতা ছিল না। এটা দক্ষিণবঙ্গের জনগণ তথা সমগ্র দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা। হায় রে জামাত-বিএনপির দেশপ্রেম! 

সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য ধারাবাহিকভাবে কিছু ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রামে ছেলে ধরাআতংক দেখা দেয়। ইভটিজিং’, অতি মাত্রায় বেড়ে যায়, কোহেকাপ শহর থেকে ভূয়া জ্বিনের বাদশাহর মোবাইল ফোন, ১ টাকার গোল্ডেন কয়েন নিয়ে জালিয়াতি ইত্যাদি অনেক অনাকাংক্ষিত ঘটনা সমাজে পরিলক্ষিত হয়। লিমনকে পঙ্গু করে মিডিয়া ফোকাস করানো, জনতার বুকের উপর পুলিশের বুটসহ পা,পুলিশ কতৃর্ক জনতার কাপড় খুলে নেয়া,পুলিশ কতৃর্ক কাদেরকে অমানবিক নির্যাতন, গূম করা এবং গূম আতংক সৃষ্টি ইত্যাদি সরকার তথা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অপারেশন্স গ্রুপ সংশ্লিষ্ঠ উপগ্রুপের কারসাজি হওয়া অসম্ভব নয়। এমন কৌশলে খূন করা হচ্ছে যেন খূনিরা ধরা না পড়ে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রূনি হত্যাকান্ড এমন সূক্ষভাবে হয়েছে যে খূনীদে ধরতে আইন-শৃংখলা বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের কোন কুল-কিনারা হয়নি। অপশক্তির মিডিয়া গ্রুপ আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে এ বিষযে অপপ্রচার চালিয়ে যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি পূনরূদ্ধ্বারে খূনীদের সনাক্তকরণ ও বিচার হওয়া জরূরী। এই হত্যাকান্ড সংশ্লিষ্ঠ বেডরুম বিষয়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কাউন্টার দিয়ে বেগম জিয়ার বক্তব্যের ক্ষেত্র তৈরীর জন্য অপারেশন্স গ্রুপ সংশ্লিষ্ঠ খূনিরা সৌদী কূটনীতিককে হত্যা করে দেখালো যে শুধু বেডরুম নয়,রাস্তাঘাটেও সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।মহাসমাবেশ বেগম জিয়া সেরকম বক্তব্যই রেখেছেন। সেইসঙ্গে ৭২-৭৫-এর ন্যায় সৌদী সরকারকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্ষ্যাপানো এবং সৈদি প্রবাসীদেরকে সৌদী নাগরিকদের টার্গেটে পরিনত করা।প্রবাসীদের নিকট আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি করানো ও মধ্যপ্রাচ্যে কর্মসংস্থানকে ঝূঁকিতে ফেলানোর জন্যও এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। সরকারের সঠিক সময়ে সঠিক তৎপরতার কারণে বিডিআর বিদ্রোহের পর নবগঠিত অপারেশন্স গ্রুপ এ পর্যন্ত মাত্র ৩ বার ব্যর্থ হয়েছে : মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের নামে নাশকতা, সেনা অভ্যূথান এবং মহাসমাবেশের নামে ৫ দিন অবস্থান করে আরব বসন্ত ঘটানো।

মিডিয়া গ্রুপ:

প্লানিং গ্রুপের প্লান মোতাবেক সরকারকে বেকায়দায় ফেলা, ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা বা ব্যর্থ করা সংশ্লিষ্ঠ টার্গেটে অপারেশন্স গ্রুপের অপারেশন্স শেষ হওয়ার পরপরই মিডিয়া গ্রুপ বিষয়টির সঙ্গে আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে অব্যহত অপপ্রচারণা শুরু করে।অপশক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে মিডিয়া গ্রুপ দ্বারা অপপ্রচার চালিয়ে অধিকাংশ জনগণকে বিভ্রান্ত করে আওয়ামী লীগ বিরোধি জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে ভোটের রাজনীতিতে লাভবান হওয়া। অপশক্তিপন্থী বিভিন্ন খবরের কাগজ ( প্রিন্টিং ও অনলাইনে লেখা ও নেতিবাচক মন্তব্য),স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ( রিপোর্টিং ও টকশো), গুজব (পরিকল্পিত) এবং ইন্টারনেটে ফেসবুক-টুইটার ইত্যাদি হচ্ছে মিডিয়া গ্রুপের অপপ্রচারের প্রধান হাতিয়ার।

মিডিয়া গ্রুপের অপপ্রচার এবং রাজনৈতিক গ্রুপের মিথ্যা বক্তৃতা/বিবৃতির কৌশল প্লানিং গ্রুপ থেকে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ প্লানিং গ্রুপ নির্ধারণ করে কোন একটি বিষয়ে রাজনৈতিক গ্রুপ কতটুকু বক্তৃতা/বিবৃতি দেবে এবং মিডিয়া গ্রুপ কতটুকু অপপ্রচার চালাবে। উদাহরণ দেখিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা যায়, মহাসমাবেশ স্থলে চিড়া,মুড়ি,গুড় সঙ্গে এনে ৫ দিন থেকে আরব বসন্ত ঘটানোর আহ্বান কোন নেতা-নেত্রীর বক্তৃতা/বিবৃতির মধ্যে নেই কিন্তু প্লানিং গ্রুপের পরিকল্পনা মোতাবেক মিডিয়া গ্রুপ দ্বারা ফেসবুক, টুইটার,খবরের কাগজের অনলাইন এডিশনে মন্তব্যের মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। মহাসমাবেশের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা ব্যর্থ হলেও জনগণের জান-মালের অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে আইন-শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক কড়াকড়ি আরোপের বিষয়টিকে মিডিয়া গ্রুপ টার্গেট করে নেতীবাচক ব্যাখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধি অপপ্রচার চালিয়েছে। তদ্রুপ, “আওয়ামী লীগের ব্যর্থাতাই বিএনপির সফলতা”- এই অপপ্রচারটি অপশক্তিপন্থী কোন নেতা-নেত্রীর বক্তৃতা/বিবৃতিতে নেই কিন্তু তাদের মিডিয়া গ্রুপ অব্যহতভাবে অপপ্রচারটি চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন সফলতা দেখিয়েছে যা আগামী অনেক বছর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে কিন্তু ২০০১-০৬ টার্মে বিএনপি-জামাত সফলতার একটা দৃষ্টান্তও দেখাতে সক্ষম হয়নি।সমুদ্র বিজয়ে ঐতিহাসিক সফলতা নিয়েও তারা ঘৃণ্য রাজনীতির মাধ্যমে কার অবদান বেশী কার কম বিষয়ে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। সমুদ্র মামলায় পরাজয় হলেই তারা খুশি হয়ে কাছা মেরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করতো।

অপকৌশলের বিপরীতে করণীয়: 

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপশক্তি দ্বারা নেতীবাচক ঘটনা ঘটিয়ে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে অপপ্রচারেও অগ্রগামী হওয়া তথা অপশক্তির মেরেও জেতা কেঁদেও জেতা মনোভাবের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। অপশক্তির নেতীবাচক তৎপরতার কারণে বিগত ৩ বছরে দেশের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা পূরণের চেষ্টাসহ ভবিষ্যতে এ ধরণের অপতৎপরতা রূখে দেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি ও প্রগতিশীলদের সঙ্গে নিয়ে সদা সতর্ক থাকতে হবে। অপতৎপরতা রূখে দেয়ার জন্য প্রয়োজনে তাদের ন্যায বিভিন্ন কাউন্টার গ্রুপ সৃষ্টি করতে হবে। অন্ততঃ প্লানিং গ্রুপ এবং মিডিয়া গ্রুপ গঠন অতি জরূরী। যদিও তাদের মিডিয়া গ্রুপের অপতৎপরতার বিপরীতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির মিডিয়া গ্রুপ দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। ফেসবুক-টুইটারে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্ত প্লানিং গ্রুপের অভাব বড়ই প্রকট। পরিকল্পনা এবং কৌশলের অভাবে প্রায়ই মন্ত্রী বা নেতা-নেত্রীদের বক্তব্যে সমন্বয়হীনতা দেখা যায়। অনেক সময় পাল্টা বক্তব্য কী হতে পারে ভেবে না দেখে অদূরদর্শী বক্তব্যের কারণে অর্জিত সাফল্য ম্লান হওয়ার উপক্রম হয়।বর্তমানে আওয়ামী লীগ থেকে ঢালাওভাবে সংবাদ মাধ্যম তথা মিডিয়াকে দোষ দেয়া হয়।যদিও অপশক্তিপন্থী মিডিয়ার একটা অংশ সবসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেগে আছে। কিন্তু মিডিয়ার প্রগতিশীল অংশ সবসময় আওয়ামী লীগের বন্ধু। একারণে ঢালাওভাবে মিডিয়াকে দোষারোপ না করে বক্তৃতা-বিবৃতিতে মিডিয়ার একটা অংশ”- কথাটির মাধ্যমে ঐ অংশকে দোষারোপ করাই যুক্তিসঙ্গত। অপশক্তি তাদের ন্যায় ( ফেব্রুয়ারী,১৯৯৬ এবং জানুয়ারি,২০০৭-এ প্রস্তাবিত) বিতর্কিত নির্বাচন করানোর জন্য আওয়ামী লীগকে ফাঁদে ফেলতে পারে যেন আওয়ামী লীগও ভোটারবিহীন নির্বাচন করে। আগামীতে ঐ রকম পরিস্থিতি সৃস্টি হলে সেটাই হবে আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন পরীক্ষা। ঐ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আওয়ামী লীগের মিডিয়া গ্রুপসহ সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন বর্জন করে উল্টা আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপাতে না পারে। অপশক্তির অপকৌশল স্বার্থকভাবে মোকাবেলা করতে পারলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অপশক্তি বিভিন্ন কৌশলে আওয়ামী লীগ পন্থীদের মনে ভয় ধরানোর চেষ্টা করছে ; যেমন আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই, বুঝতে পারছে যে আর ক্ষমতায় যেতে পারবে না ইত্যাদি অপপ্রচার। এটা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক মনোবল ভেঙে দেয়ার অপকৌশল ছাড়া আর কিছু নয়। বাস্তবে দুটি রাজনৈতিক উপনির্বাচনে হবিগন্জ এবং ব্রাধ্মনবাড়িয়ায় ভোটের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিএনপি-জামাত ২০০৮ -এ যে ভোট পেয়েছিল তাইই পেয়েছে। অর্থাৎ বিএনপি-জামাতের ভোট একটিও বাড়েনি, কারণ ২০০১-০৬ এ তাদের দুঃশাসন মানুষ ভুলেনি। হবিগন্জে প্রার্থী নির্বাচনে ভুলের কারণে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা রাগ করে ভোট দেয়নি এবং মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টিও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট পেয়েছে। কিন্তু ব্রাধ্মনবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থী পাশ করেছে। তবে আবারও একই কথা,রাজনৈতিক উপনির্বাচনে ২০০৮-এর তুলনায় বিএনপি-জামাতের ভোট একটিও বাড়েনি। তাহলে জামাত-বিএনপির এত লাফালাফি শুধু নিজেরা নিজেরাই। ২০০১-০৬ -এর দুঃশাসনের জন্য তাদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ নেই। অতএব, আওয়ামী লীগের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। ২০০১-০৬-এর সঙ্গে ২০০৯-১৩-এর ভাল-মন্দ তুলনা করে যদি ভোট চাওযা হয় তবে অবশ্যই সাধারণ জনগণ আবারও আওয়ামী লীগের ডাকে সাড়া দেবে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা খুব সহজেই সাধারণ জনগণকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে বিএনপি-জামাতের ২০০১-০৬ টার্মে দেশের মঙ্গলের জন্য দুএকটা দৃষ্টান্তমুলক ভাল কাজ খুঁজে বের করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাতে হবে। নিশ্চয়ই তারা ব্যর্থ হবে। তখন বর্তমান সরকারের আমলে দেশের মঙ্গলের জন্য দৃষ্টান্তমুলক ভাল কাজগুলো জনগণকে অবহিত করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বা ব্যর্থতাও জনগণের নিকট স্বীকার করতে হবে। প্রথম সারির নেতা-নেত্রীদের দ্বারা না হলেও মধ্যম বা স্থানীয় নেতা- নেত্রীদের দ্বারা প্রতিবন্ধকতা বা ব্যর্থতার কারণ ( অপশক্তির গোপন বাধা বা অন্যান্য) জনগণের নিকট ব্যাখ্যা দিতে হবে।সফলতা বা ব্যর্থতা যাই হোক না কেন, যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য আওয়ামী লীগ আন্তরিকতা সহকারে ঝাপিয়ে পড়ে কিন্তু সমস্যা দেখলে বিএনপি-জামাত কানে তুলা দিয়ে না শুনার ভান করতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে সাধারণ জনগণ কিছু পায় কিন্তু বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসলে তাদের নেতা-কর্মীরাই শুধু পায়;সাধারণ জনগণ কিছুই নয়; যার প্রমাণ বিগত বিএনপির আমল এবং বতর্মান আওয়ামী লীগ আমল।

এ পযর্ন্ত অর্জিত সাফল্যকে ধরে রাখা বা আরও বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে। কারণ অপশক্তি সাফল্যকে ব্যর্থ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে। এরকম একটা নিউজ দৈনিক সংবাদ (২০-০৩-১২ ইং)-এ প্রকাশিত হয়েছে যে, কূচক্রীরা বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ বিষয়ক টেন্ডারে বাধা দিচ্ছে যেন সরকার সময়মত পাঠ্যবই বিতরণে ব্যর্থ হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের সফলতা অতূলনীয় এবং অপশক্তির নিকট ঈর্ষণীয়। একারণে এটা মনে হয় অপশক্তির অপারেশন্স গ্রুপ দ্বারা পিছন থেকে ইন্ধন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে সময়মত পাঠ্যবই বিতরণে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা। 

বিএনপি-জামাতের ধ্বংসাত্মক মন-মানসিকতা বিষয়ক আরও দুটি উদাহরণ সাধারণ জনগণের নিকট উপস্থাপন করতে হবে। বিএনপি-জামাত পন্থীরা সবসময় স্বপ্ন দেখছে যে কখন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা হবে।অথচ আওয়ামী লীগ পন্থীরা ভুলেও কল্পনা করে না যে বেগম জিয়াকে হত্যা করতে হবে। রাজনীতির প্রতিযোগিতা রাজনীতির মাধ্যমে। না পেরে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে প্রতিশোধ নেয়া কোন সুস্থ মানুষের চিন্তা-চেতনা হতে পারে না। 

ফেসবুক, টুইটার এবং খবরের কাগজের অনলাইনে বিএনপি-জামাত পন্থীরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে যে, ২ বছর পর দেখবো, আসিতেছে শুভদিন.., শুধিতে হবে ঋণ, ২ বছর পর পালানোর রাস্তা পাবে না ইত্যাদি। অর্থাৎ বিএনপি-জামাত আবারও ক্ষমতায় আসলে আবারও ২০০১-০৬ এর ন্যায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে। আবারও আওয়ামী লীগ সমথর্ক এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করবে। আবারও আওয়ামী লীগ সমথর্কদের ধরে ধরে হত্যা করবে।এবিষয়ে জনগণের নিকট প্রশ্ন রাখতে হবে; বিএনপি-জামাতের মনোবাসনা মোতাবেক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে সাধারণ জনগণ আবারও কি তাদের ভোট দেবে?

সৌদি কূটনীতিক হত্যাকান্ডের পর অপশক্তির পরবর্তী টার্গেট হতে পারে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী। উদ্দেশ্য হবে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে বেকাযদায় ফেলা। এক্ষেত্রে অপশক্তির পরবর্তী টার্গেট হতে পারে জনাব এইচ এম এরশাদ। জনাব এরশাদকে হত্যা করতে পারলে ( আল্লাহ যেন তাদের সে আশা পূরণ না করে) সহজেই আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপানো যাবে। কারণ এরশাদ সাহেব বর্তমানে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের বিরুদ্ধে অনেক বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন। এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে এরশাদের অনুপস্থিতিতে জাতীয় পার্টিকে চিরতরে ধ্বংস করে এবং আওয়ামী লীগের ঘাড়ে হত্যাকান্ডের দোষ চাপিয়ে জাতীয় পার্টির সকল ভোট অপশক্তির পক্ষে নিয়ে মহাজোটকে দূর্বল করা সহজ হবে। অতএব, আওয়ামী লীগ এবং মহাজোটের পক্ষ থেকে জনাব এরশাদকে সতর্ক করা জরুরী।

 আওয়ামী লীগের সামনে দিনগুলোকে অপশক্তি আরও কঠিনতম করার চেষ্টা করবে। তবে, নেতা-কর্মী, মন্ত্রী-এমপি সকলে মিলে এবং সব ভেদাভেদ ভুলে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংগঠিতভাবে অগ্রসর হলে অপশক্তি কিছুই করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মন্ত্রী-এমপিদের দূরত্ব ঘোচানোর এখনই উপযুক্ত সময়। মন্ত্রী-এমপিদের ( কারও কারও স্ত্রীর) নামে অনৈতিক লেন-দেন ও স্বজনপ্রীতির কথা বাতাসে ভাসে। এগুলো অপশক্তির মিডিয়া গ্রুপের অপপ্রচার হওয়া অসম্ভভ নয়। কিন্তু যাদের নামে বাতাস বয় তাদেরই উচিৎ বাতাস থেকে তথ্য সঙগ্রহ করে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করা। তা না হলে কানকথাই মানুষ বেশী বিশ্বাস করে। এ দিক দিয়ে, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় সঠিক অবস্থানে আছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর নাম ভাঙিয়ে কেউ কোন অনৈতিক কাজ করলে যেন পুলিশে খবর দেয়া হয়। বাবু সুরন্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের গাড়ীতে ৭০ লাখ টাকার ঘটনাটি তাঁকে ফাঁসানোর জন্য পিছন থেকে অপশক্তির অপারেশন্স গ্রুপের খেলা হওয়া অসম্ভব নয়। অপারেশন্স গ্রুপ নিশ্চয়ই এই টাকার মুভমেন্ট অর্থাৎ কখন কোথায় যাবে তা অবগত ছিল এবং সেভাবেই মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে ফাঁসানোর জন্য ছক করা ছিল। গাড়ীর ড্রাইভার পুলিশের সাহায্য না নিয়ে বিজিবিদের নিকট যাওয়ার অর্থ দাড়ায় পুলিশ এপিএসকে রক্ষা করতে পারে কিন্তু বিজিবি নয়। একারণে অপারেশন্স গ্রুপের পরিকল্পনা অনুসারে বিজিবিদের সাহায্য নেয়া হতে পারে এবং ড্রাইভার অপারেশন্স গ্রুপের সদস্য হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাছাড়া বিএনপি নেতা জনাব এম কে আনোয়ার (সাবেক আমলা) এই ঘটনার আগের দিনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবারে সম্পদের হিসাব চেয়েছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে জনাব মির্জা ফকরুলসহ বিভিন্ন বিএনপি নেতা মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে এ ধরণের বক্তব্য রাখছেন। বিষয়টি এরকম হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে এই ঘটনা দ্বারা অপারেশন্স গ্রুপের মাধ্যমে তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে ক্ষেত্র তৈরি করা হল। জনাব এম কে আনোয়ার সাবেক আমলা এবং বিষয়টি রেল আমলাদের সংশ্লিষ্ঠ। তিনি প্লানিং গ্রুপের আমলা সদস্য এবং নিশ্চয়ই অবগত ছিলেন অপারেশন্স গ্রুপ সংশ্লিষ্ঠ আমলা উপগ্রুপ দ্বারা এই ঘটনা ঘটানো হবে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে টিভি ক্যামেরা এসে হাজির হওয়ার অর্থ দাড়ায় মিডিয়া গ্রুপও অবগত এবং প্রস্তুত ছিল। বিষয়টিকে আওয়ামী লীগের জন্য একটা শিক্ষা হিসেব গ্রহণ করে সবাইকে এখনই সতর্ক হওয়া দরকার যেন সরকারের মধ্যে লুক্কায়িত অপশক্তির এজেন্টদের পাতা ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ এভাবে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি এবং নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস না করে।

 সবশেষে বলা যায়, ১৯৭১-এ পরাজিত ৭৫-এর অপশক্তি যে সাপকে ছোবল মারার পূর্বে তখন সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সে সাপকে বর্তমানে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং আবারও ছোবল মারার জন্য গর্তের ভেতর শক্তি সন্চয় করছে। সাপকে বাড়তে দিতে নেই। দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ঐ সাপকে গর্তের মধ্যেই ধ্বংস করতে হবে এবং এখনই উপযুক্ত সময়।


 
Leave a comment

Posted by on May 19, 2012 in the 75 tragedy

 

Bangladesh Constitution & the Dustbin

“”””””””””শুনানির দিন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সোফার ফোম উঠিয়ে ফেলে। তাঁর বিচারপতির উদ্দেশে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়। একপর্যায়ে ভাঙ্গা প্রিন্টার্সের অংশ ছুড়ে মারে। সরকার ও রিরোধীদলীয় আইনজীবীদের হাতাহাতি হট্টগোলের মধ্যেই বিচারপতি আদেশ প্রদান ক…রেন। আদালত আদেশে বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী সংবিধান ছুড়ে ফেলার যে বক্তব্য দিয়েছেন তাঁর সঙ্গে ফজলুল হক আমিনীর সংবিধান ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলার বক্তব্যের মধ্যে বড় ধর…নের পার্থক্য নেই। সংবিধান ছুড়ে ফেলার এই বক্তব্য একজন দেশপ্রেমিক কখনও দিতে পারে না। যেহেতু বিরোধীদলীয় নেত্রী একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর ওপর সম্মান প্রদর্শনের জন্যই তাঁকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়নি। কিন্তু তাঁর ওই বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যারা সংবিধান সম্পর্কে এ ধরনের কথা বলে তারা দেশের সার্বভৌমের শত্রম্ন। তারা রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে অপরাধী। খালেদা জিয়া এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে দেশপ্রেম প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এ ধরনের বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন।”””””””””সংবিধানের যে এত বড় অবমাননা হলো তা কি কারো চক্ষে পড়লনা?এ দেশে কি কোনো রাজনৈতিক দল নেই? কোনো রাজনীতিবিদ নেই?কোনো আইন জিবি নেই? কোনো সহকারী আমলা নেই? কোনো সাংসদ নেই? না কারো মাথা বেথা ছিলনা |মাথা বেথা ছিল শুধু একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ,তাই শারিয়ার কবিরকে ই মামলা তা করতে হয়েছিল |তাই শারিয়ার কবির আজ মুরতাদ ,ইসলামের সবচাইতে বড় শত্রু আরো কত কি? আমাকে আমার এক আওয়ামীলীগের বন্ধু বলেছে ,যে ,শারিয়ার ভাই কেন শুধু আমিনীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন ?কেন খালেদা জিয়া র বিরুদ্ধে মামলা করলেন না ?আমি শুধুই হেসে বন্ধুকে জিজ্ঞাস করলাম ,তুই কি কখনো পার্লামেন্ট মেম্বার হবার চিন্তা করিস অথবা মন্ত্রী ?সে বলল সময় আসলে অবশই হব |আমি বললাম ঠিক! তুই যে রাজনীতি করিস তার ফাইনাল গোল হলো এমপি ,মন্ত্রী ,প্রধান মন্ত্রী,অথবা প্রেসিডেন্ট মোটকথা ক্ষমতার রাজনীতি |কিন্তু আমরা যা করি তাহলো একটা নির্দিষ্ট আদর্শ বহন করে একটা চেতনা লালন করি ,সেই চেতনাটাকে বাস্তবায়ন করে একটা শান্তির অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলার ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমানো |আমরা তোদের ভোট দেই যাতে তোরা এই কাজ তা সুষ্ঠভাবে করবি |এখন তুই বল এই মামলাটা কার করার কথা ছিল ?তোর নাকি শারিয়ার কবিরের? আওয়ামীলীগের নাকি নির্মূল কমিটির? ঘটনাটা নিয়ে আমার বন্ধুর সাথে আরো কিছুখন আলোচনা করার পর আমি সারমর্মে তাকে বললাম যে , সবকিছুই যদি ,নেত্রীকে দেখতে হবে, সব কিছুই যদি নেত্রীকে বলতে হবে, সবকিছুই যদি নেত্রীকে করতে হবে,তবে এতবড় দল ,এত মানুষ, এত নেতা নেত্রী র কি প্রয়োজন? আওয়ামিলিগ কি কোনো আদর্শর উপর দাড়ানো কোনো দল না?যার জন্য ৩০ লক্ষ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে, যার জন্য বঙ্গ বন্ধু সপরিবারে প্রাণ দিয়েছে ,তাজউদ্দিন সহ ৪ নেতা জেল এর ভিতর হত্যা হয়েছে ,২১ এ আগস্ট আইভি রহমান সহ শত শত মানুষ হতাহত হলো ,কত রক্ত ঝরেছে এখন ও ঝরছে ,যে কারণে আমরা তোদের ভোট দেই | সেই তোরা এখন আমিনীর বিরুদ্ধে ,খালেদা জিয়া র বিরুদ্ধে মামলা করতে কচু মাচু করিস যখন চোখের সামনে বঙ্গবন্ধুর সংবিধান কে কটুক্তি করা হয় চরম অবমাননা করা হয় |আর যখন কোনো এক দেশ প্রেমিক এর সর্বোচ্চ প্রতিবাদ করলো তখন তোরা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলিস |এর পর আমার বন্ধুর মুখে কোনো কথা ছিলনা |এখানেই শেষ নয় , এই কথোপকথনের পর আমরা দুজনে পাশের একটা বাঙালি রেস্টুরান্ট এ গেলাম চা খেতে |আমার পাশের টেবিলে কজন জামাত আর বিনপি র লোকজন চা খাচ্ছিল , তারা আমাদের দেখেই বিশেষ করে আমাকে দেখে যা বলল তার কিছুটা নমুনা দেয়া যাক |””” বাইসাব,আন্নেরা যা করতেছেন তাতে তো দেশে আর কোনো মুসলমান থাকতে ফরতনা,আমি জিজ্ঞাস করলাম আমরা কি করলাম? উনি বললেন আফনারা ওলেমা আলেমদের সব জেলে ধুকায়ছেন ,তাদের নামে মিথ্যা কুত্সা করতেছেন |অসুবিধা নাই আর বেশিদিন অএট করতে হইতো না আমরাও আইরাম ক্ষমতায়|ঠিক তখন তার মুখের কথা টা কেড়ে নিয়ে দারিয়ালা ভদ্রলোক বলেউঠলেন, বিএনপি কি করব আরা নজানি ,আরা ঘাদানির বিরুদ্ধে ইসলামী জিহাদ করিফালাম |আমি বললাম ক্ষমতায় আছে তো জোট সরকার ,আমরা তো ক্ষমতাশীল কোনো দল না তবে আমাদের উপর এত রাগ কেন? উনি বললেন,আরা জানি করা ক্ষমতা চালায় ,গাছের গড়া ত্তি কাটি ফলন ফরিব্ব |আমি বললাম মোস্ট ওএল কাম,আমরা আগেও মাঠে ছিলাম তখন ও মাঠেই থাকব |আর আপনাদের এ চেহারা আমরা ১৯৭১ ই দেখে নিয়ছি ,আপনারা কতটুকু নির্মম জানওয়ার তাও আমরা জানি,আবার আপনাদের কিভাবে মোকাবেলা করতে হই তাও আমরা জানি সুতারং বেশিদূর চিন্তা কইরেন না ,বাংলাদেশ কে পাকিস্তান বানানোর স্বপ্ন আর দেইখেন না ,আপনার পাকিস্তান নিজেই যাই যাই করতাছে |জানওয়ার শব্দটা লোকটিকে মর্মাহত করেছে বোঝা গেল , পারলে আমাকে ওখানেই খেয়ে ফেলে, উনি আমাকে খুব ভালো করে দেখে নিলেন, মানে ক্ষমতায় গেলে উনি যে আমাকে সত্তি সত্তি খেয়ে ফেলবেন না তার গেরান্টি পাওয়া গেল না |আমি একটু এগিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করলাম ,আমার বন্ধুটি তো আপনাদের বিরোধী দলের অথচ আপনারা তাকে বাক্য আক্রমন না করে আমাকে করছেন ,বিষই টা কি এই ? যে, ওনারা ১৯৭২ এর সংবিধান এ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রেখেছে ,বিসমিল্লা রেখেছে, তার উত্তর টা ছিল এই রকম ,,,,,,,আর বাইসাব খিজে খন , হাচিনা রে হাচিনা তোর কতায় নাচিনা ,,,,,,,,,,,,তার সব ভুয়া ;;;;;;;;|
আমি রেস্টুরান্ট থেকে বের হয়ে বন্ধু কে জিজ্ঞাস করলাম , দেখ কাদের খুশি করতে গিয়ে কাদের আঘাত দিলি ?ওরা তোদের চাইতেও আমাদের কে বেশি শত্রু ভাবে কারণ আমরা বঙ্গবন্ধু র সেই আদর্শকে লালন করি যা ওদের বিরুদ্ধে পারমানবিক বোমার মতো |তাই ওরা আদর্শিক সৈনিক কেই ভয় পাবে এটাই স্বাভাবিক |তাই ওরাও জানে আওয়ামিলিগ কে আদর্শ চুত করা যাবে না যতক্ষণ ঘাদানি থাকবে এর সেফ গার্ড এর মতো |তাই এদের তোদের নিয়ে জতটানা মাথা বেথা তার চাইতে বেশি মাথা বেথা আমাদের নিয়ে |তাই বলছি, শারিয়ার কবির কিন্তু নিরাপত্তা চেয়াছিলেন, সরকার কি তা দিয়েছে?আর ওরা ক্ষমতায় গেলে আমাদের কি করবে তা তো নিজের কানেই শুনলি |এখন বল বন্ধু শারিয়ার কবিরের প্রতি আর কোনো কমপ্লেন আছে? পরিশেষে বন্ধুটি আমাকে কিছু উপদেশ দিল যা এ রকম , তুই শিল্পী মানুষ কত সুন্দর মানুষের মাঝে শিল্প ছড়িয়ে দিবি ,তোর কি দরকার এই রাজনীতির আমিও বললাম ঠিক ই বলেছিস আজ রাজনীতিটা শুধুই শিল্প পতিদের জন্য |||

বাবু খন্দকার
নিউ ইর্ক
৮/১১/২০১১

 
Leave a comment

Posted by on August 11, 2011 in news upgrade, razakars

 

World Bank Supports Digital Bangladesh through National Identification System

World Bank Supports Digital Bangladesh through National Identification System WASHINGTON, May 10, 2011 – The World Bank today approved a US$195 million concessional credit for the Identification for Enhanced Access to Services (IDEAS) Project to a

World Bank Supports Digital Bangladesh through National Identification System

 
Leave a comment

Posted by on June 6, 2011 in the 75 tragedy

 

ধর্ম নিয়ে রাজনৈতিক বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। হাসানূল হক ইনু

ধর্ম নিয়ে রাজনৈতিক বাণিজ্য বন্ধ করতে হবেঃ সাক্ষাৎকারে হাসানুল হক ইনু

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ ও ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ অন্তর্ভুক্তি ছিল জিয়া-এরশাদের রাজনৈতিক প্রতারণা ও মোনাফেকি; যা সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতির সঙ্গেও অসঙ্গতিপূর্ণ। সংবিধানকে এ রাজনৈতিক প্রতারণা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা প্রয়োজন। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে ‘রাজনৈতিক বাণিজ্য’ বন্ধ করতে হবে। হাসানুল হক ইনু সমকালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে ‘রাজনৈতিক বাণিজ্য’ করতে গিয়েই জিয়া-এরশাদ সংবিধানে ওই দুটি বিষয় সংযুক্ত করেন। তবে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের প্রায়োগিক পদ্ধতি কী হবে, তা সংবিধানের কোথাও কোনো শব্দ কিংবা অনুচ্ছেদ দিয়ে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। ফলে এটি প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্মের চূড়ান্ত অপমান ও অবজ্ঞারই শামিল।

তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে এ ‘রাজনৈতিক বাণিজ্য’ এখনই বন্ধ না করলে তা রাজনৈতিক বাণিজ্যের উস্কানিদাতাদের আরও ইন্ধন জোগাবে। মূল কথা, পঁচাত্তরের পর যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ সংবিধানে ঢোকানো হয়েছে, সে বিষ থেকে সংবিধানকে মুক্ত করতে হবে।
সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ সংসদীয় কমিটির অন্যতম এ সদস্য আরও বলেন, বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রেখে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনা হলে তিনি সংসদ ও সংসদের বাইরে তার দ্বিমতের কথা জানাবেন।

হাসানুল হক ইনু অবশ্য ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। তার মতে, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল থাকতে পারে। তবে চার মূলনীতির আলোকে কেউ যাতে ধর্মের অপব্যবহার করতে না পারে, তার বিধিবিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনেই ধর্মের অপব্যবহার তথা মানুষে-মানুষে বিভেদ ও ঘৃণা সৃষ্টিকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দল এ গণপ্রতিনিধিত্ব আইন মেনেই দলীয় গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নিয়েছে।

‘কোনো সংসদ সদস্য একাধিক্রমে ৯০ কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ শূন্য হবে’_ সংবিধানে এ বিধান বহাল রাখার পক্ষেও মত দিয়েছেন তিনি। তার মতে, বিধান করে কিংবা সংসদে উপস্থিতির সময়সীমা বাড়িয়ে-কমিয়ে সংসদ কার্যকর করা সম্ভব নয়। বিএনপি-জামায়াত যেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদের বাইরে থাকার পরিকল্পনা নিয়েছে, সেখানে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কাজ করার কথাও নয়। কাজেই এক্ষেত্রে বিধান যা আছে, তা-ই থাকুক। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী সাম্প্রদায়িক ও সামরিক শক্তির আবর্জনা থেকে সংবিধানকে মুক্ত করার বিষয়ে খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে রাজি করানো যায় কি-না তা নিয়ে তদবির করে দেখা যেতে পারে।

জাসদ সভাপতি বলেন, বিএনপি সংসদের বাইরে সংবিধান থেকে শুরু করে মাছের বাজার পর্যন্ত সব বিষয়েই প্রতিনিয়ত সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে গলাবাজি করছে। অথচ সংবিধান সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কমিটিতে হাজির হচ্ছে না। তাদের এ ‘উদ্দেশ্যমূলক অনুপস্থিতি’ ও ‘রহস্যজনক আচরণ’ প্রকারান্তরে সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে অস্বীকার ও অবমাননার শামিল।
সংবিধান সংশোধন বিষয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে ‘সমঝোতা’র সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি। তার মতে, কমিটি সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত তাদের প্রস্তাবনা তৈরির পর সংসদে উপস্থাপন করবে। সেখানে বিরোধী দলের প্রত্যেক সদস্যের এ নিয়ে আলোচনা কিংবা বিকল্প প্রস্তাব উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কমপক্ষে আরও দু’মেয়াদ বহাল রাখার পক্ষে হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থেই ২০১৪ ও ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন এ ব্যবস্থা বহাল রাখা হোক। এরপর থেকে যে নির্বাচন হবে তা সাধারণভাবেই হওয়া উচিত।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কিছুটা সংশোধনও চাইছেন তিনি। তার মতে, খালেদা জিয়ার একতরফা সংসদের মাধ্যমে সংবিধানে এ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো সংশোধন করে একে আরও কার্যকর ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে।
তার প্রস্তাব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিচার বিভাগ থেকে বের করে আনতে সব শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধি মিলিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করে উচ্চকক্ষের প্রধানকে এ সরকারের প্রধান করা যেতে পারে। সংবিধানে বর্ণিত একাধিক ন্যায়পালকে এ সরকারের উপদেষ্টা করে সবার সম্মিলিত উদ্যোগে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে এর কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া, সরকারের দৈনন্দিন কাজের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেওয়া এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ও জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা থাকবে কী থাকবে না, থাকলেও কতটুকু থাকবে_ সেগুলোও সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন।

তিনি জানান, সংবিধান সংশোধন কমিটির সদস্যরা বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাষ্ট্রপতির জরুরি অবস্থা ও অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতার বিষয়টি গভীরভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছেন। এগুলো বন্ধের বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নির্ধারণে কাজ করছেন তারা।
তিনি বলেন, ১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই ছিল বাহাত্তরের সংবিধান রচনা ও গণপরিষদ গঠনের মূল উৎস। এ ঘোষণাপত্রে স্বাধীনতা দিবস, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ও জাতির জনক_ এসব বিষয়ের পরিষ্কার উল্লেখ আছে। তবে বাহাত্তরের মূল সংবিধান থেকে ঘোষণাপত্রটি দুঃখজনকভাবে বাদ পড়ে যায়। এটি বাহাত্তরের সংবিধানে সংযুক্ত না করাও ছিল একটি ঐতিহাসিক ভুল। এখন সংবিধান সংশোধনের সময় ঘোষণাপত্রটি সংবিধানে সংযুক্ত করে দেওয়া হলেই সব প্রশ্নের জবাব মিলবে।

বিরোধী দলের আপত্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অবকাশ কিংবা সুযোগ কোনোটাই নেই। কেননা ৪০ বছর ধরে আমরা ২৬ মার্চই স্বাধীনতা দিবস পালন করে আসছি; ২৭, ২৮ কিংবা ২৯ মার্চ নয়। তাছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মেনেই বিএনপি-জামায়াত জোট রাজনীতি করছে।
তিনি বলে, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ ঘোষণা করার বিধান সংবিধানে যুক্ত করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে গণতন্ত্র কিছুটা হলেও নিরাপদ থাকবে। এর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখল হয়তো বন্ধ করা যাবে না, তবে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের পরে বিচার করা সম্ভব হবে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেবল জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থবিল ও অনাস্থা প্রস্তাব ছাড়া বাকি সব আইন তৈরির ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের দলীয় অনুশাসনে না রেখে বিবেক অনুযায়ী ভূমিকা রাখার অধিকার দেওয়া উচিত।

বিচার বিভাগকে সংসদের কাছে জবাবদিহি করা সংক্রান্ত বিধান সংবিধানে পুনঃপ্রবর্তন নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সবকিছু বিচার-বিবেচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। তবে দেশে সাংবিধানিক প্রাধান্য বিদ্যমান। সংবিধানের নির্দেশেই সবকিছু পরিচালিত হয়। এ সংবিধানেই সংসদ, আইন ও বিচার বিভাগের এখতিয়ার সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। এখানে কে বড়, কে ছোট_ সেটা নিয়ে বিতর্ক ও বিরোধ সৃষ্টির অবকাশ নেই।

 
Leave a comment

Posted by on April 13, 2011 in the 75 tragedy

 

Vote for Sundarban : Sheikh Hasina, Honorable Prime Minister

Vote for Sundarban : Sheikh Hasina, Honorable Prime Minister
A fasicinating beauty of Sundorbon The beautiful sundorbon forest is the located in the khulna region of Bangladesh. It is famous for it’s natural beauty, Royal bengal, deer, mangrove forest and claimity.Now it is running towards the apex position of world wonder’s among the several world beauty place,area,natural and arificial creature.Sundarban has the world largest mangrove forest and natural habitat of Royal Bangal Tiger. Most populer tourist place in Bangladesh. Natural beauty, wildlife, river cruise are attractions for the tourist. Hi every body, I like to say you with cheerfulness that Mangrove Sundorbon is selected one of 7wonder place in world. It is situated in country of Bangladesh at Bagerhat area and fortunately, I live in that district. So I am very happy for it. Sundorbon is the biggest Mangrove forest in the whole world. The Royal Bengel Tiger lives in this Jangle. And many other animals, birds and trees are available in there. Nobody can enter in this jangle without gun. This is very very danger place for human. A lot of wild animals move there. world largest mangrove forest “Sundorbon” | New7Wonders. world largest mangrove forest “Sundorbon” all friends you are invited to visit sundorbon in bangladesh. The beautiful sundorbon forest is the located in the khulna region of Bangladesh. It is famous for it’s natural beauty, Royal bengal, deer, mangrove forest. The government of Bangladesh has recently provided an updated Ramsar Information Sheet on its Sundarbans Ramsar site, first designated for the Ramsar List in May 1992, enlarging its area from 596,000 to 601,700 hectares. Now to be called “Sundarbans Reserved Forest”, this Ramsar and World Heritage site is one of the most important mangrove forests in the world and has been significantly threatened from a number of directions for many years. The nearby Sundarbans mangrove forest across the border in India is not yet a Ramsar site but it is hoped that it will be soon. Ramsar’s Liazzat Rabbiosi has distilled from the new RIS a brief summary of the site’s main ecological and cultural features, and that’s available, with photographs, right here. The Sundarbans Reserved Forest (‘the Beautiful Forest’) is located between 21°27′ and 22°30’N, 89°02′ and 90°00’E at the confluence of the Ganges, Brahmaputra and Meghna rivers, which together with the innumerable small channels and creeks flowing into the Bay of Bengal dissect the whole area creating the largest contiguous mangrove forest in the world. The site is a hotspot of rich flora and fauna, home to a number of unique and globally or nationally endangered species of plants like rare Sundri (Heritiera fomes), Gewa (Excoecaria agallocha), Passur (Xylocarpus mekongensis), animals like endangered Royal Bengal . Tiger (Panthera tigris tigris), vulnerable Pallas Fishing Eagle (Haliaeetus leucoryphus) and Masked Finfoot (Heliopais personata), and critically endangered River Terrapin (Batagur baska), all listed in the IUCN Red Book, rare species of shark (Glephys gangeticus) and very rich avifauna with 315 species of which 84 are migratory. At this transitional zone between freshwater supplied by rivers and saline water pushed by high tides from open sea, many fish species such as Penaeus monodon, Macrobrachium rosenbergii, Lates calcarif, Metapeneaus monoceros and Pangaisus pangaisus depend for spawning and juvenile feeding on the Sundarbans aquatic habitat. The wetland is remarkable for protection from the tidal surge generated from the cyclonic depression in the Bay of Bengal. About one third of the total area is used as protected area for the conservation of biological diversity. In addition, the abundant fish and biomass resources (namely timber, fuelwood, pulpwood, leaves, shells, crabs, honey and fish) are harvested by local communities. There is a shipping route through the Sundarbans. The area’s religious and cultural importance is reflected in a religious festival once a year which attracts local Hindu devotees and in the venerable ruined Hindu temple of Sheikh at Shekher Tek. The reduction in fresh water flow due to water diversion, the construction of dykes combined with the pollution of the industries and the ports of Khulna and Mongla have tremendously affected the plant and fish population of Sundarbans. The site is notable for the long history of scientific management with protected areas established along the southern periphery of this mangrove wetland. There are eight field stations that provide data for a number of ongoing studies and researches. Recently an information and education center was established at Khulna and a new Integrated Sundarbans management plan is under preparation under the Sundarbans Biodiversity Conservation Project funded by Asian Development Bank. world largest mangrove forest “Sundorbon” all friends you are invited to visit sundorbon in bangladesh. The beautiful sundorbon forest is the located in the khulna region of Bangladesh. It is famous for it’s natural beauty, Royal bengal, deer, mangrove forest. Sundorbon: Largest Mangrove Forest in The World. Sundorbon is the largest mangrove forest in the world. It lies across areas of Bangladesh and West Bengal, India. Its a cluster of islands with an approximate area of 6000 sq. km. forming the largest block of littoral forests.It is estimated that there are now 400+ Bengal tigers and about 30,000+ spotted deer in the forest!UNESCO has decleared the Sundorbon a world heritage site that it offers splendid opportunities for tourism. About Sundorbon Forest It’s beauty lies in its unique natural surrounding. The Sundorbon is intersected by a complex network of tidal waterways, mudflats and small islands of salt-tolerant mangrove forests, and presents an excellent example of ongoing ecological processes. Thousands of meandering streams, creeks, rivers and estuaries have enhanced its charm. Sundarbans meaning beautiful forest is the natural habital of the world famous Royal Bengal Tiger, spotted deer, crocodiles, jungle fowl, wild boar, lizards, theses monkey and numerous species of birds. Migratory flock of Siberian ducks flying over thousands of sail boats loaded with timber, golpatta (round-leaf), fuel wood, honey, shell and fish further add to the serene natural beauty of the Sundarbans. It is estimated that there are now 400+ Bengal tigers and about 30,000+ spotted deer in the forest!AREANearly 2400 sq. miles or 6000 sq. km.FOREST LIMITSNorth-Bagerhat, Khulna and Sathkira districts : South-Bay of Bengal; East-Baleswar (or Haringhata) river, Perojpur, Barisal district and West-Raimangal and Hariabhanga rivers which partially form Bangladesh boundary with West Bengal in India. MAIN ATTRACTIONS Wildlife photography including photography of the famous Royal Bengal Tiger, wildlife viewing, boating inside the forest will call recordings, nature study, meeting fishermen, wood-cutters and honey-collectors, peace and tranquility in the wilderness, seeing the world’s largest mangrove forest and the riverine beauty. Sundorbon selected as one of the new seven wonders of the world!
 
Leave a comment

Posted by on March 22, 2011 in Information

 

About Mukthi

In the year of 1953 I came to this beautiful world while violent storm was shivering mother earth. In the month of April on the 13th which happened to be a Tuesday, I cried for the first time on my mothers’ lap and all my relatives rejoiced. It was an occasion of double happiness because my birth brought the long happy New Year along with it.This is Mukthi, Mukthishena71, somebody called me Mokter, some one mothul, but in 1971 I have changed my name when I have joined the Liberation war as a freedom fighter. The freedom fighter of Bangladesh liberation war called Mukthi bahini / Mukthifouze / Mukthishena, just I have found the new name so no one can call me others name which is not perfect and didn’t like. I became Mukthi, Moktel Hossain Mukthi. I’m from South Akal Barish Village, Banshgadi Union under Kalkini UpaZila of Madaripur district.

Basically I have sang tagore songs in the media. Sometimes composing the music and lyricist I couldn’t anything in my life. Neither had I done anything for the people nor for my family due to my abnormality in 1975 august. Whereas, I got so many opportunity/ chances in my life that I couldn’t proper used for the people whom I loved so much. I loved father of nation Bangabandhu we couldn’t safe him & his family in 1975 being a freedom fighter that was one kind of burning fire on my heartiest chest.

I have cried a lot on the streets in 1975 for Bangabandhu even I was on the streets until midnight as a mad (I was in then PG Hospital under treatment of Dr. Hazera Mahtab (daughter of Late Dr. Ibrahim & wife of Dr. Fashiuddin Mahtab ) three months. the Ministry of Land allowed my job without pay of there months salary due to my abnormality.

After liberation father of nation Bangabandhu & first Prime Minister of Bangladesh Late tajuddin Ahmed had given me a job in the ministry of land in 1972.  I have worked with 11 Ministers & 9 full secretary including Abu Taher (Bangabandhu was selected him for Governor of Dhaka Division) M. Mokammel Huq, M. Keramat ALi, Golam Mostofa, jamsher Uddin Dr. Kamal Uddin Siddiqui, Md, Shahidul Alam and other so many.

It is my great pleasure that I have worked with late abdur rob serniabat, Mollah Jalal, Sri Fonibhushon Majumdar, demoted Minister Mohamed Ullah (few days President of Bangladesh)

I have beaten the police officer at Tejgaon Rail line in 1976 in absence of mind than finally central jail. The police beaten me whole night’s even put hot water to my face. Do you know why I have beaten that police officer?  Yes, which I want to tell you that police sub inspector used slang and foul language to father of nation Shahid Bangabandhu Sheikh Mujib, sheikh kamal, sheikh jamal and sheikh fazlul haque moni at that midnight while I was coming from FDC Studio. After 14 days my elder brother took out me from the custody and finally PG Hospital for mental treatment. Dr. said its not mental case, just keep him as he as wants to do.

Second thing: I was in Japan in 1992. On e day I have participated 21 February program which was arranged by Bangladesh Embassy of Tokyo, Japan. The program will be inaugurated by the Deputy High Commissioner Bangabandhu murderer Lt. Col. Rashed Choudhury instead of the High Commissioner. The ex student leader Md. Kofiluddin, Akbor, Prince, mezbah, Apu sarwar will not allow Rashed Choudhury to touch the national and black mourn flags. They made rally to protect him from the inauguration program and I was one of them to protest & postpone entire program and if killer Rashed Choudhury inaugurate the program we will not perform at the same program. High Commission called police nearby 5 hundreds of police surround us. Police commissioner came and spokes all of us, than he realized the real situation.  That was an ideals decision by all of us.

The empty ground of Bengali nation will never be fulfilling without Shahid Bangabandhu &amp; Late 4 National Leaders. I am writing the song of remembrances those heroes given the independence of Bengali nation & singing on occasionally. It is my great pleasure that I was closed to them all in 1972-1975 august 15.

More interesting some of story I’d like to tell you. Later on I was PS to Md. Noor Ali, Chairmen & Managing Director, Unique Group (1997-2001). Noor Ali was nominated by Awami League in 2001 for Nawabganj constituency. Late Agricultural Economist Shankar Goswami, President Bangladesh Student League (former APS to HPM AFM Bahauddin Nasim was the Secretary General of NASIM GOSWAMI COUNCIL) was political secretary. Shankar and I lead the entire election campaign at Nawabganj in 2001. I have written 10 songs for that election and published an album in favor of BOATS & NOOR ALI. You know 2001 National Assembly Election was engineering by the army and CIA PISI so Awami league failure to get the power.

Thereafter, it was very sad heart paining story.  Some of miscreants suddenly had attacked to Unique Group to heats NOOR ALI but he was in out only they found some of staffs and me. They hits me, kicks me as the human people some times beating the animals. They took my hair from my foreheads’. I apologized for my campaign, album & supporting Awami league. I said forgive me, I beg pardon as a freedom fighter to them. Leave me the country, I will never come and never sing any songs of Bangabandhu & Awami league.

No more dear friends ……………

 

 
Leave a comment

Posted by on January 19, 2011 in Information

 

7th march, 1971 the historical Speech of Bangabandhu


বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ

আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মননিয়ে আপনাদের সামনেহাজির হয়েছি। আপনারাসবই জানেন এবং বুঝেন।আমরা আমাদের জীবনদিয়ে চেষ্টা করেছি- আজঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর ওযশোরের রাজপথ আমারভাইয়ের রক্তে রঞ্জিতহয়েছে। 

Swadhinata Stambha

আজ বাংলার মানুষ মুক্তিচায়-তারা বাঁচতে চায়।তারা অধিকার পেতে চায়।নির্বাচনে আপনারাসম্পূর্ণভাবে আমাকে এবংআওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েজয়যুক্ত করেছেন শাসনতন্ত্ররচনার জন্য। আশা ছিলজাতীয় পরিষদ বসবে,আমরা শাসনতন্ত্র তৈরীকরবো এবং এই শাসনতন্ত্রেমানুষ তাদের অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকমুক্তি লাভ করবে। কিন্তু ২৩ বছরের ইতিহাসবাংলার মানুষের রক্ত দিয়েরাজপথ রঞ্জিত করারইতিহাস। ২৩ বছরেরইতিহাস বাংলার মানুষেরমুমুর্ষু আর্তনাদের ইতিহাস,রক্ত দানের করুণ ইতিহাস।নির্যাতিত মানুষের কান্নারইতিহাস।

১৯৫২ সালে আমরা রক্তদিয়েছি। ১৯৫৪ সালেনির্বাচনে জয় লাভ করেওক্ষমতায় বসতে পারিনি।১৯৫৮ সালে দেশে সামরিকশাসন জারি করে আইয়ুবখান দশ বছর আমাদেরগোলাম করে রাখলো।১৯৬৬ সালে ৬-দফা দেয়াহলো এবং এর পর এঅপরাধে আমার বহুভাইকে হত্যা করা হলো।১৯৬৯ সালেগণ-আন্দোলনের মুখেআইয়ুবের পতনের পরইয়াহিয়া খান এলেন। তিনিবলেলেন, তিনি জনগণেরহাতে ক্ষমতা ফিরিয়েদেবেন, শাসনতন্ত্র দেবেন,আমরা মেনে নিলাম।
তার পরের ঘটনা সকলেইজানেন। ইয়াহিয়া খানেরসংগে আলোচনাহলো-আমরা তাকে ১৫ ইংফেব্রুয়ারী জাতীয় পরিষদেরঅধিবেশন ডাকার অনুরোধকরলাম। কিন্তু ‘মেজরিটি’পার্টির নেতা হওয়া সত্ত্বেওতিনি আমার কথা শুনলেননা। শুনলেন সংখ্যালঘুদলের ভুট্টো সাহেবের কথা।আমি শুধু বাংলার মেজরিটিপার্টির নেতা নই, সমগ্রপাকিস্তানের মেজরিটি পার্টিরনেতা। ভুট্টো সাহেববললেন, মার্চের প্রথমসপ্তাহে অধিবেশন ডাকতে,তিনি মার্চের ৩ তারিখেঅধিবেশন ডাকলেন।
আমি বললাম, তবুও আমরাজাতীয় পরিষদেরঅধিবেশনে যাব এবংসংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়াসত্বেও কেউ যদি ন্যায্য কথাবলে আমরা তা মেনে নেব,এমনকি তিনি যদি একজনওহন।
জনাব ভুট্টো ঢাকাএসেছিলেন। তাঁর সঙ্গেআলোচনা হলো। ভুট্টোসাহেব বলে গেছেনআলোচনার দরজা বন্ধ নয়;আরো আলোচনা হবে।মওলানা নুরানী ও মুফতিমাহুমুদ সহ পশ্চিমপাকিস্তানের অন্যান্যপার্লামেন্টারী নেতা এলেন,তাদের সঙ্গে আলোচনাহলো- উদ্দেশ্য ছিলোআলাপ-আলোচনা করেশাসনতন্ত্র রচনা করবো।তবে তাদের আমি জানিয়েদিয়েছি ৬-দফা পরিবর্তনেরকোন অধিকার আমার নেই,এটা জনগণের সম্পদ।
কিন্তু ভুট্টো হুমকি দিলেন।তিনি বললেন, এখানে এসে’ডবল জিম্মী’ হতে পারবেননা। পরিষদ কসাই খানায়পরিণত হবে। তিনি পশ্চিমপাকিস্তানী সদস্যদের প্রতিহুমকি দিলেন যে, পরিষদেরঅধিবেশনে যোগ দিলেরক্তপাত করা হবে, তাদেরমাথা ভেঙে দেয়া হবে।হত্যা করা হবে। আন্দোলনশুরু হবে পেশোয়ার থেকেকরাচী পর্যন্ত। একটিদোকানও খুলতে দেয়া হবেনা।
তা সত্বেও পয়ত্রিশ জনপশ্চিম পাকিস্তানী সদস্যএলেন। কিন্ত পয়লা মার্চইয়াহিয়া খান পরিষদেরঅধিবেশন বন্ধ করেদিলেন। দোষ দেয়া হলো,বাংলার মানুষকে, দোষদেয়া হলো আমাকে, বলাহলো আমার অনমনীয়মনোভাবের জন্যই কিছুহয়নি।
এরপর বাংলার মানুষপ্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলো।আমি শান্তিপূর্ণ সংগ্রামচালিয়ে যাবার জন্য হরতালডাকলাম। জনগণ আপনইচ্ছায় পথে নেমে এলো।
কিন্তু কি পেলাম আমরা?বাংলার নিরস্ত্র জনগণেরউপর অস্ত্র ব্যবহার করাহলো। আমাদের হাতে অস্ত্রনেই। কিন্তু আমরা পয়সাদিয়ে যে অস্ত্র কিনে দিয়েছিবহিঃশত্রুর হাত থেকেদেশকে রক্ষা করার জন্যে,আজ সে অস্ত্র ব্যবহার করাহচ্ছে আমার নিরীহমানুষদের হত্যা করারজন্য। আমার দুঃখীজনতার উপর চলছে গুলী।
আমরা বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠমানুষ যখনই দেশেরশাসনভার গ্রহণ করতেচেয়েছি, তখনই ষড়যন্ত্রচলেছে-আমাদের উপরঝাঁপিয়ে পড়েছে।
ইয়াহিয়া খান বলেছেন,আমি নাকি ১০ই মার্চতারিখে গোলটেবিল বৈঠকেযোগদান করতে চেয়েছি,তাঁর সাথে টেলিফোন আমারআলাপ হয়েছে। আমি তাঁকেবলেছি আপনি দেশেরপ্রেসিডেণ্ট, ঢাকায় আসুনদেখুন আমার গরীবজনসাধারণকে কি ভাবেহত্যা করা হয়েছে, আমারমায়ের কোল খালি করাহয়েছে ।
আমি আগেই বলে দিয়েছিকোন গোলটেবিল বৈঠক হবেনা। কিসের গোলটেবিলবৈঠক? কার গোলটেবিলবৈঠক? যারা আমার মাবোনের কোল শূন্য করেছেতাদের সাথে বসবো আমিগোলটেবিল বৈঠকে ?
তেসরা তারিখে পল্টনে আমিঅসহযোগের আহবানজানালাম। বললাম,অফিস-আদালত,খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করুন।আপনারা মেনে নিলেন।
হঠাৎ আমার সঙ্গে বাআমাদের সঙ্গে আলোচনা নাকরে একজনের সঙ্গে পাঁচঘণ্টা বৈঠকের পর ইয়াহিয়াখান যে বক্তৃতা করেছেন,তাতে সমস্ত দোষ আমার ওবাংলার মানুষের উপরচাপিয়ে দিয়েছেন। দোষকরলেন ভুট্টো- কিন্তু গুলীকরে মারা হলো আমারবাংলার মানুষকে। আমরাগুলী খাই, দোষ আমাদের-আমরা বুলেট খাই, দোষআমাদের।
ইয়াহিয়া সাহেব অধিবেশনডেকেছেন। কিন্ত আমারদাবী সামরিক আইনপ্রত্যাহার করতে হবে,সেনাবাহিনীকে ব্যারাকেফিরিয়ে নিতে হবে, হত্যারতদন্ত করতে হবে। তারপরবিবেচনা করে দেখবোপরিষদে বসবো কি বসনোনা। এ দাবী মানার আগেপরিষদে বসার কোন প্রশ্নইওঠে না, জনগণ আমাকে সেঅধিকার দেয়নি। রক্তেরদাগ এখনো শুকায়নি,শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে ২৫তারিখে পরিষদে যোগ দিতেযাব না।
ভাইয়েরা, আমার উপরবিশ্বাস আছে? আমিপ্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা, মানুষেরঅধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়েআমাকে নিতে পারেনি,ফাঁসীর কাষ্ঠে ঝুলিয়ে নিতেপারেনি। আপনারা রক্তদিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্রমামলা থেকে মুক্ত করেএনেছিলেন। সেদিন এইরেসকোর্সে আমি বলেছিলাম,রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়েশোধ করবো; মনে আছে?আজো আমি রক্ত দিয়েইরক্তের ঋণ শোধ করতেপ্রস্তুত।
আমি বলে দিতে চাই, আজথেকে কোর্ট-কাচারী,হাইকোর্ট, সুপ্রীম কোর্ট,অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমুহঅনির্দিষ্ট-কালের জন্য বন্ধথাকবে। কোন কর্মচারীঅফিস যাবেন না। এআমার নির্দেশ।
গরীবের যাতে কষ্ট না হয়তার জন্য রিক্সা চলবে, ট্রেনচলবে আর সব চলবে।
ট্রেন চলবে- তবেসেনাবাহিনী আনা-নেয়াকরা যাবে না। করলে যদিকোন দূর্ঘটনা ঘটে তারজন্য আমি দায়ী থাকবোনা।
সেক্রেটারীয়েট, সুপ্রীম কোর্ট,হাইকোর্ট জজকোর্ট সহসরকারী, আধা-সরকারীএবং স্বায়ত্তশাসিতসংস্থাগুলো বন্ধ থাকবে।শুধু পূর্ব বাংলারআদান-প্রদানের ব্যাঙ্কগুলোদু-ঘন্টার জন্য খোলাথাকবে। পূর্ব বাংলা থেকেপশ্চিম পাকিস্তানে টাকাযেতে পারবেন না।টেলিগ্রাফ, টেলিফোনবাংলাদেশের মধ্যে চালুথাকবে। তবে, সাংবাদিকরাবহির্বিশ্বে সংবাদ পাঠাতেপারবেন।
এদেশের মানুষকে খতমকরা হচ্ছে, বুঝে শুনেচলবেন। দরকার হলে সমস্তচাকা বন্ধ করে দেয়া হবে।
আপনারা নির্ধারিত সময়েবেতন নিয়ে আসবেন। যদিএকটিও গুলী চলে তাহলেবাংলার ঘরে ঘরে দূর্গ গড়েতুলবেন। যার যা আছেতাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলাকরতে হবে। রাস্তা ঘাট বন্ধকরে দিতে হবে। আমরাতাদের ভাতেমারবো-পানিতে মারবো।হুকুম দিবার জন্য আমি যদিনা থাকি, আমার সহকর্মীরাযদি না থাকেন, আপনারাআন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
তোমরা আমার ভাই,তোমরা ব্যারাকে থাকো,কেউ কিছু বলবেনা। গুলীচালালে আর ভাল হবে না।সাত কোটি মানুষকে আরদাবীয়ে রাখতে পারবা না।বাঙ্গালী মরতেশিখেছে,তাদের কেউ দাবাতে পারবেনা।
শহীদদের ও আহতদেরপরিবারের জন্য আওয়ামীলীগ সাহায্যে কমিটিকরেছে। আমরা সাহায্যেরচেষ্টা করবো। আপনারা যেযা পারেন দিয়ে যাবেন।
সাত দিনের হরতালে যে সবশ্রমিক অংশ গ্রহণ করেছেন,কারফিউর জন্য কাজকরতে পারেননি-শিল্পমালিকরা তাদের পুরোবেতন দিয়ে দেবেন।
সরকারী কর্মচারীদের বলি,আমি যা বলি তা মানতেহবে। কাউকে যেন অফিসেদেখা না যায়। এ দেশেরমুক্তি না হওয়া পর্যন্তখাজনা-ট্যাক্স বন্ধ থাকবে।আপনারা আমার উপরছেড়ে দেন, আন্দোলনকিভাবে করতে হয় আমিজানি।
কিন্তু হুঁশিয়ার, একটা কথামনে রাখবেন, আমাদেরমধ্যে শত্রু ঢুকেছে, ছদ্মবেশেতারা আত্মকহলের সৃষ্টিকরতে চায়।বাঙ্গালী-অবাঙ্গালী,হিন্দু-মুসলমান সবাইআমাদের ভাই, তাদেররক্ষা করার দায়িত্বআমাদের।
রেডিও, টেলিভিশন ওসংবাদপত্র যদি আমাদেরআন্দোলনের খবর প্রচার নাকরে তবে কোন বাঙ্গালীরেডিও এবং টেলিভিশনেযাবেন না।
শান্তিপূর্ণভাবে ফয়সালাকরতে পারলে ভাই ভাইহিসাবে বাস করার সম্ভাবনাআছে, তা না হলে নেই।বাড়াবাড়ি করবেন না, মুখদেখাদেখিও বন্ধ হয়ে যেতেপারে।
প্রস্তুত থাকবেন, ঠাণ্ডা হলেচলবে না। আন্দোলন ওবিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়লেতারা আমাদের উপরঝাঁপিয়ে পড়বে। শৃংখলাবজায় রাখুন। শৃংখলা ছাড়াকোন জাতি সংগ্রামেজয়লাভ করতে পারে না।
আমার অনুরোধ প্রত্যেকগ্রামে, মহল্লায়, ইউনিয়নে,আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেসংগ্রাম কমিটি গড়ে তুলুন।হাতে যা আছে তাই নিয়েপ্রস্তুত থাকুন। রক্ত যখনদিয়েছি, রক্ত আরও দেবো।এদেশের মানুষকে মুক্ত করেছাড়বো ইনশাল্লাহ।
এবারের সংগ্রাম, মুক্তিরসংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম,স্বাধীনতার সংগ্রাম।
জয় বাংলা

DECLARATION OF INDEPENDENCE BY BANGABANDHU AND THE FALSEHOOD OF BNP-JAMAT ALLIANCE
BNP-Jamat Alliance has recently come up with an unbelievable and baseless claim that the then Major Zia proclaimed Independence of Bangladesh from Chittagong on 25th March 1971. This is a new invention after 33 years of independence which Zia himself did never claim in his lifetime. This is a blatant lie and concocted story coming out of fertile brains of BNP-Jamat leaders.
2. It is an universally accepted fact that the father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman declared independence on 26th March 1971 before his arrest. In his speech broadcast in Radio & TV the Chief of Military Junta General Yahya Khan accused Bangabandhu for this declaration. All contemporary historical records, facts, documents, writings, statements and sayings, both at home and abroad proved it beyond all doubts. For this declaration Bangabandhu had not only to face farcical trial in jail but even a grave was dug for him. Not only this, the diplomats & journalists of USA, UK and other western countries based in Dhaka at that time have all mentioned this declaration by Sheikh Mujib on 26th March 1971. Recently published CIA (USA) report has clearly stated that Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman declared independence. Even the Pakistani army officers had heard this declaration through BDR wireless (Ref. “Witness to Surrender” by Pakistani Army officer Major Siddik Salek). To this effect he gave witness to Hamudur Rahman commission constituted by Bhutto and this has been published in books and reports. Besides some members of Certifying Committee of “Documents on the war of Independence” published in 1982 by refuting the BNP-Jamat claim have again unequivocally stated that the declaration of the Independence by Sheikh Mujib was a proved document beyond any doubt. Most importantly after independence of the country Ziaur Rahman himself in his article published in the Weekly Bichitra mentioned that he joined the war of independence at the call of Bangabandhu.
3. The undisputed truth of Declaration of war of Independence by Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman in the early hours of 26th March (i.e., 25th March night- just before his arrest), 1971 was duly incorporated as historic documentation at the beginning of the 3rd volume of the 15 volumes of “Documents on the war of Independence.” These were published through a project in 1982 under the editorship of the famous Poet-cum-Journalist Late Mr. Hasan Hafizur Rahman and under the supervision of a “Certifying Committee” appointed during the Govt. of late Ziaur Rahman. On the basis of this declaration, the People’s Representatives formally adopted “The Proclamation of Independence Order of Bangladesh” on 10th April, 1971. But, to the utter surprise of the nation, the ministry of Freedom Fighter’s Affairs of the Alliance Govt. of Khaleda-Nizami has desperately and derogatorily deleted this historic declaration from the new edition of the same volume in the name of re-print. Not only this, they have inserted an imaginary and concocted document “First Declaration of Independence” on 25th March night of 1971 by Major Ziaur Rahman instead of the Declaration of Independence by Bangabandhu. Absolutely dominated by anti-liberation forces, the Govt. of Alliance committed this sort of mischief with the ulterior motive to distort the true history of the emergence of Bangladesh. Their such acts amount to violation of the constitution. As such, storms of protests are coming-up from amongst the living political leaders, bureaucrats, intellectuals, writers, journalists and teachers including the military commanders who actively participated in the war of liberation.
4. The following few historical facts will speak for itself :
(A). The declaration of independence of Bangladesh is not a sudden emotional announcement. It is the outcome of or an important stage of the continuous 23 year’s of our historic struggle for national liberation. Starting from the language movements (1948-52) through various movements and struggle such as, the Jukta Front (United Front) of 1958, 6-point movement of 1966, Agartala Conspiracy case up to mass upsurge in 1969 on 11-point programme, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman made Bangalee’s autonomy demand into an irresistible and formidable one. Ayub Khan resigned and Yahya Khan took over Power and declared election.
(B). The Parliamentary election was held in 1970. Unprecedented and overwhelming victory of Awami League under the leadership of Bangabandhu in this election and administering Oath of the newly elected M.P’s openly in the Race course Maidan was a step forward towards our Independence.
(C). When the nation had been awaiting for a central Govt. headed by Sheikh Mujib and the Parliament Session on 3rd March, 1971, President Yahya Khan unilaterally postponed the session sine die even without consulting Sheikh Mujib. The above unilateral act of Yahya Khan ignited fire in the 75 million Bangalees. In order to embrace with the situation, Bangabandhu called for peaceful and non-violent non-cooperation movement. During the entire period of non-cooperation movement, the civil administration of erstwhile East Pakistan was virtually under the command and control of Bangbandhu. This was another step forward for independence.
(D). At the backdrop of this situation, the historic 7th March came. On that day Bangabandhu in a public meeting attended by millions held at Race Course Maidan called upon the people,
“The fight, this time, is for freedom !
The struggle, this time, is for independence.”
This famous speech of Bangabandhu is almost a declaration of Independence. But the wordings of his poetic speech were so thoughtfully and skillfully structured that the Pakistani’s as well as the outside world could not term it as an act of cessation or Separatist movement. The opportune moment for declaration of independence in unequivocal terms was not far away.
(E) Bangabandhu Knew that the Pak army would crack down on the Bangalees any time. So, he made-up his mind and decided to declare full Independence at an opportune moment. That would be the moment the Pak army would crack down on our Bangali population. Therefore, Bangabandhu got his Declaration of Independence recorded very confidentially with necessary instructions to those who would be pronouncing it at his behest. He also gave necessary directives to his trusted political colleagues about the next course of actions.
(F) On 25th March 1971, after a series of drama in the name of dialogues & discussions by the Pak Military Junta and Mr. Bhutoo with Sheikh Mujib and armed forces including Police & students, the Pak army cracked down after midnight on the civilian population with all their sophisticated arms & ammunitions and the moment came for Bangabandhu to declare independence.
(G) At that stage, Bangabandhu in the early hours of 26th March, 1971 (before his arrest) declared Independence of Bangladesh which reads as under :
“I appeal and order you all in the name of Almighty Allah to fight to the last drop of blood to liberate the country. Ask police, the E.P.R., the Bengal Regiment and the Ansars to stand by you and to fight. No compromise. Victory is ours.”
5. The above Declaration of Independence by Bangabandhu started transmitting immediately in the form of a message through a portable Transmitter by Subeder Major Md. Showkat Ali of E.P.R. signals installed at his Pilkhana residence. As soon as the message of declaration of Indepen- dence started transmitting, Bangabandhu was arrested by the Pak army at 1-10 A. M. of 26th March and flown to Karachi as a prisoner. Meanwhile, Subeder Major Shoukat Ali and his fellow comrades were caught red-handed by the Pak army exactly in the position of transmitting the Declaration of Independence. After arrest, these heroes of E.P.R. Signals were continuously and brutally tortured to martyrdom These facts were clearly narrated by the only daughter of Subeder Major Md. Showkat Ali Professor Dr. Selina Parveen, Department of Zoology, University of Rajshahi through her writings published in the Daily Janakhanta on 24th July, 2004 and in the Daily Sangbad on 31st March, 1997 including many other Journals at home and abroad.
6. According to the plan, the Declaration of Independence by Bangabandhu had started being announced through miking and leaflets as soon as this was received in Chittagong and in other places of the country including adjacent districts of Dhaka. On 26th March, Mr. M. A. Hannan, an Awami League leader of Chittagong received the message and he was the first person to read out Bangabandhu’s Declaration of Independence from Radio, Chittagong.
7. On the following day i.e., on 27th March evening, the then Major Zia the senior most officer available at that time while fleeing for life was forced by local Awami League Leaders to read out the Declaration of independence in the name of Bangabandhu in the following way :
“On behalf of our great leader, the Supreme Commander of Bangladesh Sheikh Mjibur Rahman, we hereby proclaim the Independence of Bangladesh.”
8. Major Zia also reiterated the same in one of his own writings published in the erstwhile Dainik Bangla on 26th March, 1972 which was re-published in the Independence Day edition of the Daily Janakhanta in 2002. The writings of Major Zia also has been supported by his co-fighters like Captain Shamser Mobin Chowdhury (now Foreign secretary), Captain Nasim B.B. (later on General and Chief of the Army Staff) and Captain S. A. Bhuiya (later on General). All these lead to one conclusion that the Father of the Nation Bangabandhu Proclaimed independence on 26th March 1971 and the war of liberation went on in his name and finally Bangladesh won its liberations after great sacrifice. Zia was not more than one of the sector Commanders.
9. Now let us examine the of BNP-Jamat claim for declaration of independence by Zia on 25th March :
(A) It is quite noteworthy that no other political or war colleague of Zia had ever claimed that Zia declared independence on 25th March 1971. Even before this Alliance Govt. came to power BNP did not also raise such baseless claim earlier. Rather the historical truth is that Zia as a loyal officer of Pakistani army was actively and zealously engaged on 25th & 26th March for unloading arms and ammunitions for Pakistani army from the ship ‘SWAT’ anchored at Chittagong port.
(B) In this connection it is also important to note that Ziaur Rahman had not to face any accusation from Pakistan for his so-called declaration of independence. Rather Pakistani rulers congratulated him for his appointment as chief of Army just after 8 days of the murder of Bangabandhu on 15th August 1975.
(C) Further during Bangabandhu’s lifetime when Zia was Dy. Chief of Army knowing fully well about 15th August conspiracy did not take any measure to protect the elected Govt. and did not do anything to save the life of the President (Bangabandhu) of the country. This was a treachery and failure on the part of Zia which could have called for his court-martial, which did not happen. The self proclaimed murderers of Bangabandhu had told that the murders of 15th August and the revolt happened with the full consent of Ziaur Rahman. And as a reward the murderer Khondoker Mustaq Ahmed appointed him Chief of Army within 8 days of the murder of Sheikh Mujib. This goes to prove that Zia himself was associated with the murder of Bangabandhu. He betrayed his president and his oath of allegiance.
(D) His disloyalty to nation and lust for power are quite evident from the following:
If, indeed, Zia had truly accepted war of freedom and remained faithful to the Principles and vows for freedom, he would not give indulgence to the murderers of Bangabandhu and would not reward them. Had he been a real freedom fighter, he would not have declared himself the President of Bangladesh illegally betraying the ideals and perception of freedom fight. He would not also change the constitution by military orders, appoint anti-liberation politicians in power, pardon Razakars by abolishing Collaborator’s Act, allow communal parties and give them opportunity to take part in politics and would not bring back war criminal Ghulam Azam and allow reorganize fundamentalist party the Jamate Islami.
(E) Last, but not the least, how can one imagine that the sudden call of an unknown Major in a radio can inspire a nation to rise and fight for freedom unless the ground was prepared for this. Here comes the name of Bangabandhu who worked for long 23 years to prepare the ground and united the nation for the great struggle and at his clarion call on 26th March 1971, the nation woke up and fought for independence till it was achieved.
10. The Declaration of Independence by Bangabandhu is the genesis of the Proclamation of Independence Order of Bangladesh on 10th March 1971. Since our constitution is framed on the basis and spirit of this proclamation, the declaration of Independence has become an integral part of the constitution. It basically became an interim Constitution and gave legitimacy to Revolutionary Mujib Nagar Govt. formed with Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman as the President, and Supreme Commander of all Forces, Syed Nazrul Islam as Acting President, Taj Uddin Ahmed as the Prime Minister. Major Zia acted as a sector Commander only. The Fourth Schedule is very important. This Schedule is related to “Transitional and temporary Provisions” of the constitution which includes the Proclamation of Independence. As regards this Schedule, Article 150 of the Constitution states “the Transitional and temporary Provision, set out in the fourth Schedule shall have effect notwithstanding any other Provisions of this constitution.” On the otherhand, the proclamation of Independence has been included as Appendix I of the constitution.
11. So, it is an established and recognized fact that nobody, but Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman declared the Independence of Bangladesh which has been duly incorporated in the constitution. Moreover nobody other than Bangabandhu had the legitimate right to and he did declare the Independence of Bangladesh. Therefore, the attempt of the Govt. of Alliance by incorporating the fake & false declaration by Major Zia is a violation of the constitution.
12. Now it is clear that the claim of the BNP-Jamat Govt. regarding Declaration of Independence by Major Zia is a sheer lie and an attempt to distort the true history. Such a lie is undoubtedly a great sin & these would be made accountable to the people who has already rejected their false, fabricated and concocted claim.
13. From the above discussion it is clear that the Khelada-Nizami’s Govt. aim is not only to establish Zia as the proclaimer of Independence. Their real object is to show the independence as disputed, illegal and unlawful by proving Bangaldesh’s independence war as a mere mutiny or revolt of armies. If it can be proved that Bangbandhu did not proclaim independence on 26th March then the Declaration of Independence on 10th April 1971 becomes illegal and Mujib Nagar Govt. does not have any constitutional basis. By the false claim that Zia declared independence on 26th March, they want to mislead the people and according to the demand of the defeated foes of Bangladesh and collaboraters of Pakistani forces the Khaleda-Nizami Govt. by amending Constitution, changing national flag and anthem wish to make Bangladesh a theocratic and communal state. With this far-reaching aim they have taken move to change history and resorted to distortion With the same object in mind their conspiracy to deface the name of Banganbdhu from the history of nation and destroy the Awami League, have been continuing. The introduction of distorted history of independence and war of Independence in the text books is not an isolated issue. It is a part of a big game.

 

We fought for freedom of the nation

>

 

KM Shahidul Alam, freedom fighter

 
Leave a comment

Posted by on August 30, 2010 in rememberance

 

>Biography of Bangabandu Sheikh Mujibur Rahman

>


Sheikh Mujibur Rahman By SSajjad Khan



Some of the biographers of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman have said that he was the most astonishing and much talked about leader in South East Asia. In an age of military coup d’etat he attained power through elections and mass upsurge; in an age of decline of democracy he firmly established democracy in one of the countries of Asia and in an age of “Strong Men” he spurned the opportunity of becoming a dictator and instead chose to become the elected Prime Minister. The way he turned a nonviolent non-cooperation movement of unarmed masses into an armed struggle that successfully brought into reality the liberation of a new nation and the creation of a new state in barely ten months will remain a wonder of history.

March 7, 1971 was a day of supreme test in his life. The leaders of the military junta of Pakistan were on that day eagerly waiting to trap him. A contingent of heavily armed Pakistani troops was poised near the Suhrawardy Uddyan to wait for an order to start massacre the people on the plea of suppressing a revolt that Bangabandhu was about to declare against Pakistan at the meeting he was going to address there.
In fact, the entire Bangladesh was then in a state of revolt. The sudden postponement of the scheduled session of the newly elected National Assembly and the reluctance of the military leaders to transfer power to the elected representatives of the people had driven the people to desperation and they were seeking the opportunity to break away from the Pakistani colonial rule. Nearly two million freedom-loving people who assembled at the Suhrawardy Uddyan that day had but one wish, only one demand : “Bangabandhu, declare independence; give us the command for the battle for national liberation.”
The Father of the Nation spoke in a calm and restrained language. It was more like a sacred hymn than a speech spellbinding two million people. His historic declaration in the meeting on that day was : “Our struggle this time is for freedom. Our struggle this time is for independence”. This was the declaration of independence for Bangladeshis, for their liberation struggle. But he did not give the Pakistani military rulers the opportunity to use their arms. He foiled their carefully laid scheme. In the same speech he took care to put forward four proposals for the solution of the problem in a constitutional way and kept the door open for negotiations.
He was taller than the average Bangalee, had the same dark complexion and spoke in a vibrant voice. But what special power gave him the magnetic qualities of drawing a mass of seventy-five million people to him? This question stirred the minds of many people at home and abroad. He was not educated abroad nor was he born with a silver spoon in his mouth. Yet he was as dear to the educated Bangladeshi compatriots as to the illiterate and half-educated masses. He inspired the intelligentsia and the working classes alike. He did not climb to leadership overnight. It has been a slow and steady process. He attained his enviable eminence the hard way. He began as an humble worker at the bottom rung. He arduously climbed to the position of a national leader and rose to the very pinnacle as the Father of the Nation.
He was born in a middle class Bangalee family and his political leadership arose out of the aims and aspirations of the ordinary Bangalee. He was inseparably linked with the hopes and aspirations, the joys and sorrows, the travails and triumphs of these ordinary people. He spoke their language. He gave voice to their hopes and aspirations. Year after year he spent the best days of his youth behind the prison bars. That is why his power was the power of the people.
Whoever has once come in contact with him has admitted that his personality, a mingling of gentle and stern qualities, had an uncanny magical attraction. He is as simple as a child yet unbending in courage; as strong as steel when necessary. Coupled with this was his incomparable strength of mind and steadfast devotion to his own ideals. He was a nationalist in character, a democrat in behavior, a socialist in belief and a secularist by conviction.
Bangabandbu had to move forward step by step in his struggle. He had to change the tactics and the slogans of the movement several times. It can thus be said that though the period of direct struggle for freedom was only nine months, the indirect period of this struggle spread over 25 years. This 25-year period can be divided into several stages. These are : (a) organizational stage of the democratic movement; (b) movement against BPC or Basic Principles Committee’s report; (c) language movement; (d) forging of electoral unity and the victory of the democratic United Front; (e) military rule; (f) movement against the military rule; (g) movement for autonomy; (h) the historic Six-Point movement; (i) electoral victory and the non-cooperation movement; and j) armed liberation struggle.
Bangabandhu has been closely associated with every phase of this 25-year long struggle for freedom and independence. Bangladesh and Bangabandhu have, therefore, become inseparable. We cannot speak of one without the other.


While still adolescent, he took his first political lesson from Hussain Shaheed Suhrawardy, a leading political personality of the then Bangladesh. It was in Faridpur that Young Suhrawardy and adolescent Sheikh Mujib came to know each other. Both of them were attracted to each other from that first acquaintance. Adolescent Mujib grew up under the gathering gloom of the storm-tossed politics of the sub-continent and the Second World War. He witnessed the ravages of war and the stark realities of the 1943 famine and the epidemics in which about five million people lost their lives. The miserable plight of the people under colonial rule turned him into a rebel.
He passed his matriculation examination in 1942. His studies had been interrupted for about four years due to an attack of beriberi. He got acquainted with the revolutionary activities of Netaji Subhash Chandra Bose during the Hallwell Monument movement in Calcutta. Suhrawardy’s staunchly logical approach and Subhash Bose’s spirit of dedication influenced him immensely. He was influenced by another great leader, “Sher-e-Bangla” A.K. Fazlul Huq and his political philosophy of the plain fare (“dal-bhat”) for all. At that very early stage he realised that in a poor exploited country political programmes must be complimentary to economic programmes.
He completed his college education in Calcutta. His sojourn to the prisons began in his teens. He first spent six days in a prison for participating in a political movement. While he was a student in Calcutta, he moved the natural eddies of the political movements of the subcontinent and got himself associated with the Muslim League and the Pakistan movement. But soon after the creation of Pakistan and the partition of Bengal in 1947, he realised that his people had not attained real independence. What had happened was a change of masters. Bangladesh would have to make preparations for independence movement a second time.
He graduated in the same year and came to develop a deep acquaintance with the works of Bernard Shaw. Karl Marx and Rabindranath Tagore. The horizon of his thought process began to expand from that time. He realised that Bangladesh was a geographical unit and its geographical nationalism was separate; its economic, political and cultural characters were also completely different from those of the western part of Pakistan. Over and above, linguistic differences and a physical distance of about 1,500 miles between them made the two parts of Pakistan totally separate from each other.
He could, therefore, realize that by keeping the two areas under the forced bonds of one state structure in the name of religious nationalism, rigid political control and economic exploitation would be perpetrated on the eastern part. This would come as a matter of course because the central capital and the economic and military headquarters of Pakistan had all been set up in the western part.
The new realization and political thinking took roots in his mind as early as 1948. He was then a student in the Law faculty of Dhaka University. A movement was launched that very year on the demand to make Bengali one of the state languages of Pakistan. In fact, this movement can be termed as the first stirrings of the movement of an independent Bangladesh. This demand for cultural freedom gradually led to the demand for national independence. During that language movement, Bangabandhu was arrested on March 11, 1948. During the blood-drenched language movement of 1952 also he was pushed behind the bars and took up leadership of the movement from inside the jail.
Bangabandhu was also in the forefront of the movement against the killing of policemen by the army in Dhaka in 1948. He was imprisoned for lending his support to the strike movement of the lower grade employees of Dhaka University. He was expelled from the University even before he came out of the prison.
In 1950, Prime Minister Liaquat Ali Khan of Pakistan announced the Basic Principles Committee’s report for framing a constitution. This report manipulated to turn the majority of Bangladesh into a minority through subterfuges, and to make Urdu the state language. There was a spontaneous countrywide upsurge in Bangladesh against this report and the Bangabandhu was at its forefront.
Bangabandhu was elected Joint Secretary of the newly formed political organization, the Awami League. Previously he had been the leader of the progressive students’ organization, the Chhatra League. In 1953 he was elected General Secretary of the Awami League.
Elections to the then Provincial Assembly of Bangladesh was held in 1954. A democratic electoral alliance-the United Front-against the ruling Muslim League was forged during that election. The 21 -point demand of the United Front included full regional autonomy for Bangladesh and making of Bengali one of the state languages.
The United Front won the elections on the basis of the 21 -point programme and Bangabandhu was elected member of the Provincial Assembly. He joined the Huq Cabinet of the United Front as its youngest Minister. The anti-people ruling clique of Pakistan dissolved this Cabinet soon and the Bangabandhu was thrown into prison.
In 1955 he was elected member of the second Constituent Assembly of Pakistan. He was again appointed a Minister when the Awami League formed the Provincial Cabinet in 1956. But he voluntarily left the Cabinet in July 1957 in order to devote himself fully to the task of reorganizing the party.
General Ayub Khan staged a military coup in Pakistan in 1958 and the Bangabandhu was arrested on various charges and innumerable cases were framed against him. He got back his freedom after 14 months of solitary confinement but was re-arrested in February 1962.
THE AWAMI LEAGUE




The Bangabandhu revived the Awami League after the death of Mr. H.S. Suhrawardy in 1963. By that time the military Junta had lifted the ban on political parties. Thus the Awami League began its constitutional struggle under the leadership of the Bangabandhu to realize the demand for self-determination of the Bangalees.

 

The Bangabandhu placed his historic Six-Point programme at a political conference in Lahore in 1966. This programme called for a federal state structure for Pakistan and full autonomy for Bangladesh with a parliamentary democratic system. The Six- Point programme became so popular in a short while that it was turned into the Charter of Freedom for the Bangladeshis or their Magna Carta. The Army Junta of Pakistan threatened to use the language of weapons against the Six-Point movement and the Bangabandhu was arrested under the Defence Rules on May 8, 1966. The powerful mass upsurge that burst forth throughout Bangladesh in protest against this arrest of the Bangabandhu came to be known as June Movement.
On June 17, 1968 he was removed from Dhaka Central Jail to Kurmitola Cantonment and was charged with conspiring to make Bangladesh independent with the help of India. This case is known as the Agartala Conspiracy case. He was the No. 1 accused in the case. While the trial was in progress in the court of a military tribunal the administration of the military junta collapsed as a consequence of a great mass upsurge in Bangladesh at the beginning of 1969.
As a result, he was released together with all the other co-accused. The case was withdrawn and the Bangabandhu was invited to a Round Table Conference at the capital of Pakistan. At this conference President Ayub Khan requested Bangabandhu to accept the Prime Ministership of Pakistan. Bangabandhu rejected the offer and remained firm in his demand for the acceptance of his Six-Point programme.
President Ayub Khan stepped down from power on March 25, 1969 and General Yahya Khan took over the leadership of the army junta, Apprehending a new movement in Bangladesh he promised to re-establish democratic rule in Pakistan and made arrangements for holding the first general elections in December, 1970. Under the leadership of the Bangabandhu. the Awami League won an absolute majority in the elections. The military junta was unnerved by the results of the elections. The conspiracy then started to prevent the transfer of power. The session of the newly elected National Assembly was scheduled for March 3, 1971. By an order on March 1, General Yahya postponed this session.
It acted like a spark to the powder keg; entire Bangladesh burst into flames of political upheaval. The historic non-cooperation movement began. For all practical purposes Bangabandhu took over the civil -administration of Bangladesh. The military junta however began to increase the strength of its armed forces in Bangladesh secretly and to kill innocent Bangalees at different places.
Yahya Khan came to Dhaka by the middle of March to have talks with Bangabandhu. Mr. Zulflqar Ali Bhutto and other leaders also came a few days later. When everybody was feeling that the talks were going to be successful Yahya Khan stealthily left Dhaka in the evening of March 25. The barbarous genocide throughout Bangladesh began from that midnight.
Bangabandhu was arrested at midnight of March 25 and was flown to the western wing. But before he was arrested, he formally declared independence of Bangladesh and issued instructions to all Bangladeshis, including those in the armed forces and in the police to take up arms to drive out the Pakistani occupation forces.
For ten long months from March 1971 to January 1972 Bangabandhu was confined in a death-cell in the Pakistani prison. His countrymen did not even know if he was dead or alive. Still, stirred by his inspiration, the nation threw itself heart and soul into the hick of the liberation war and by the middle of December the whole of Bangladesh was cleared of the occupation forces.
Freed from the Pakistani prison, the Bangabandhu came back home on January 10, 1972 and stepped down from the Presidentship and took up the responsibility as the Prime Minister of independent Bangladesh on 12 January 1972. Immediately he took steps for the formulation of the Constitution of the country and to place it before the Constituent Assembly. After the passage of the Constitution on 4 November 1972, his party won an overwhelming majority in the elections held on 7 March 1973 and took up the responsibility of running the administration of the country for another five-year term. After the fourth amendment of the constitution on 25 January 1975 (changing the form of Government from the Parliamentary to the Presidential system), the Bangabandhu entered upon the office of the President of Bangladesh. Within three years of independence he put the war-ravaged country along the path of political stability and economic reconstruction. On 15 August 1975, he along with all the members (excluding two daughters, Sheikh Hasina and Sheikh Rehana who were abroad) of his family were brutally assassinated by a splinter group of armed forces.
The Bangabandhu is the Father of the Nation. His state philosophy has four pillars: Nationalism, Democracy, Socialism and Secularism. His foreign policy opened up new horizons of peace, cooperation and non-alignment throughout Asia. He visited many countries of Asia and Europe including China and the Soviet Union. Statesmen of many countries of Asia countries were his personal friends. He was awarded Julio Curie Peace Prize for his being a symbol of world peace and cooperation. In the eyes of the people in the third world, he is the harbinger of peace and development in Asia.
 
 

15 August, the month of mourning

15th August is the National Mourning Day. At the fateful night of August 15 in 1975, the cruelest assassination of history took place.
The founding architect of Bangladesh, Father of the Nation, the Glorious Leader of Liberation War, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman was assassinated along with all the members of his family then in Dhaka and other leaders. Anti-Liberation and reactionary international forces with the help of their local henchmen staged this most brutal murder of all times. The anti-liberation reactionary and counter-revolutionary forces usurped the state-power through the assassination of Bangabandhu on August 15, 1975.
The killers brutally murdered not only Bangabandhu, but also his wife Bangamata Fazilatunnesa Mujib, sons Sheikh Kamal, Sheikh Jamal and Sheikh Russell, daughters-in-Law Sultana Kamal and Parvin Jamal. Seventeen more dear and near ones of Bangabandhu, including his brother Sheikh Abu Naser, brother-in-law Abdur Rab Serniabat, nephew Sheikh Fazlul Haq Moni, Moni’s wife Arju Moni, Shahid Serniabat, Baby Serniabat, Arif Serniabat, Sukanto Abdullah Babu, security officerColonel Jamil Uddin Ahmed and Abdul Noim Khan Rinto were also killed during the world’s most heinous terrorism. Bangabandhu’s daughters, incumbent Prime Minister Sheikh Hasina and Sheikh Rehana, survived the carnage as they were in Germany at that time.
The hyenas did not even spare the life of Bangabandhu’s nine- year-old minor son Sheikh Russel who was awarded a swarm of bullets on his soft chest when he cried out in fear of the horror and requested the killers to take him to his mother.

After 15th August 1975, there came another cataclysmic event that struck Awami League very seriously and led to a temporary vacuum in the leadership: four national leaders, Syed Nazrul Islam, Tajuddin Ahmed, M. Mansur Ali and A.H.M. Kamaruzzaman were killed in Dhaka Central Jail by the same conspirators who had killed Bangabandhu.
From that day, the Bangalees have been holding the shock in their hearts as a source of strength to take revenge of this barbaric assassination by fulfilling the dream of Bangabandhu who wanted to turn Bangladesh into Sonar Bangla, a peaceful abode of teeming millions in this part of the world. The nation this year is observing the day in a different atmosphere as the five death row convicts of the murder trial of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman were hanged in the early hours of January 28 putting an end to the darkest chapter of the nation’s history.

 
Leave a comment

Posted by on March 27, 2010 in rememberance

 

>Next Generation Leader Sajeeb Wajed Joy

>

The cute baby is our honorable prime minister

 
Leave a comment

Posted by on March 25, 2010 in the 75 tragedy

 

>MY 3RD ALBUM

>

 
Leave a comment

Posted by on February 8, 2010 in the 75 tragedy

 

>MUKTISHENA IN 1971 SECTORWISE

>

Pakistani Army surrendering
Mukti Bahini (Bengali: মুক্তি বাহিনী “Liberation Ar my”), also termed as the “Freedom Fighters”, collectively refers to the armed organizations who fought alongside the Indian Armed Forces against the Pakistan Army during the Bangladesh Liberation War. It was dynamically formed by (mostly) Bengali regulars and civilians after the proclamation of Bangladesh‘s independence on March 26, 1971. Subsequently by mid-April 1971 the former members of East Pakistan Armed Forces formed the “Bangladesh Armed Forces” and M. A. G. Osmani assumed its command. The civilian groups continued to assist the armed forces during the war. After the war “Mukti Bahini” became the general term to refer to all forces (military and civilian) of former East Pakistani origin fighting against the Pakistani armed forces during the Bangladesh Liberation War. Often Mukti Bahini operated as an effectiveguerrilla force to keep their enemies on the run. Inspired in part by revolutionary Che Guevara,[1] they have been compared to the French Maquis, Viet Cong, and the guerrillas of Josip Broz Tito in their tactics and effectiveness.
Origins
Although Mukti Bahini was formed to fight off the military crackdown by the Pakistan army on March 25, 1971 during the climax of Bangladesh freedom movement,The crisis had already started taking shape with anti-Ayub uprising in 1969 and precipitated into a political crisis at the height of Sheikh Mujibur Rahman‘s Six-point movement beginning in the 1970s. In March 1971, rising political discontent and cultural nationalism in what was then East Pakistan (later, Bangladesh) was met by harsh suppressive force from the ruling elite of the West Pakistan establishment[4] in what came to be termed Operation Searchlight.
The massive crackdown by West Pakistan forces became an important factor in precipitating the civil war as a sea of refugees (estimated at the time to be about 10million) came flooding to the eastern provinces of India. Facing a mounting humanitarian crisis, India started actively aiding and re-organising what was by this time already the nucleus of the Mukti Bahini.
The immediate precursor of the Mukti Bahini was Mukti Fauj (“Fauj” is the Urdu originally from Persian borrowed from Arabic for “Brigade” exported into several languages in South Asia including Bengali), which was preceded denominationally by the sangram parishads formed in the cities and villages by the student and youth leaderships in early March 1971. When and how the Mukti Fauj was created is not clear nor is the later adoption of the name Mukti Bahini. It is, however, certain that the names originated generically refer to the people who fought in the Bangladesh liberation war.
Since the anti-Ayub uprising in 1969 and during the height of Mujib’s six points movement, there was a growing movement among the Bengalis in East Pakistan to become independent driven by the nationalists, radicals and leftists. After the election of 1970, the subsequent crisis strengthened that feeling within the people. Sheikh Mujib himself was facing immense pressure from most prominent political quarters, especially the ultra-nationalist young student leaders, to declare independence without delay. Armed preparations were going on by some leftist and nationalist groups, and the Bengali army officers and soldiers were prepared to defect. At the call of Sheikh Mujibur Rahman the people of East Pakistan joined in a peaceful movement for non-cooperation from 3 March 1971, and 7th march and onward, which lasted up to midnight of 25 March 1971. On this date the Pakistani Army cracked down upon unarmed civilians to take control of the administration. During the army crackdown on the night of March 25, 1971, there were reports of small scale resistance notably at Iqbal Hall, Dhaka University and at the Rajarbagh Police Headquarter. The latter initially put a strong fight against the Pakistan Army. As political events gathered momentum, the stage was set for a clash between the Pakistan Army and the Bengali people vowing for independence. Bengali members of the Army were also defecting and gathering in various pockets of the country.
All these early fights were disorganized and futile because of the greater military strength of the Pakistani Army. Outside of Dhaka, resistance was more successful. The earliest move towards forming a liberation army officially came from the declaration of independence made by Major Ziaur Rahman of East Bengal Regiment on behalf of Sheikh Mujibur Rahman. In the declaration made from Kalurghat Betar Kendra (Chittagong) on March 27, 1971, Zia assumed the title of “provisional commander in chief of the Bangladesh Liberation Army”, though his area of operation remained confined to Chittagong and Noakhali areas. Major Ziaur Rahman’s declaration on behalf of Sheikh Mujibur Rahman marked a break with Pakistan by the Bengali units of the army.

Organization during war
Though prolonged Bengali resistance was not anticipated by Pakistani planners of Operation Searchlight, when the Pakistani Army cracked down upon the population, the Mukti Bahini were becoming increasingly visible. Headed by Colonel (later, General) M. A. G. Osmani, a retired Pakistani Army officer, this band was raised as Mujib’s action arm and security force before assuming the character of a conventional guerrilla force. After the declaration of independence, the Pakistani military sought to quell them, but increasing numbers of Bengali soldiers defected to the underground “Bangladesh army”. These Bengali units slowly merged into the Mukti Bahini and bolstered their weaponry.
On April 12, 1971 Colonel (later General) M. A. G. Osmani assumed the command of armed forces at Teliapara (Sylhet) headquarters. Osmani was made the commander-in-chief of Bangladesh Armed Forces on April 17, 1971. Serious initiative for organising the Bangladesh liberation army was taken between 11-17 July. In a meeting of the sector commanders in Kolkata, four important resolutions were taken in consideration of strategic aspects of the war, existing problems and future course of resistance. These were:
§  Composition and tactics of the combatants would be as follows:
§  Guerrilla teams comprising 5 to 10 trained members would be sent to specific areas of Bangladesh with specific assignments
§  Combat soldiers would carry out frontal attacks against the enemy. Between 50 and 100 per cent would carry arms. Intelligence volunteers would be engaged to collect information about the enemy. 30 percent of these people would be equipped with weapons;
§  The regular forces would be organised into battalions and sectors.
§  The following strategies would be adopted while carrying out military operations against the enemy
§  A large number of guerrillas would be sent out inside Bangladesh to carry out raids and ambushes;
§  Industries would be brought to a standstill and electricity supply would be disrupted;
§  Pakistanis would be obstructed in exporting manufactured goods and raw materials;
§  Communication network would be destroyed in order to obstruct enemy movements;
§  Enemy forces would be forced to disperse and scatter for strategic gains;
§  The whole area of Bangladesh would be divided into 11 sectors.
Other than the organizations of Mukti Bahini who were generally trained and armed by the Indian Army, there were independent guerrilla groups led by individual leaders, either nationalists or leftists, who were successfully controlling some areas.
[Regular and irregular forces

The regular forces later called Niomita Bahini (regular force) consisted of the members of the East Bengal Regiments (EBR), East Pakistan Rifles (EPR, later BDR), police, other paramilitary forces and the general people who were commanded by the army commanders in the 11 sectors all over Bangladesh. Three major forces: Z-Force under the command of Major (later, Major General) Ziaur Rahman, K-Force under Major (later Brigadier ) Khaled Mosharraf and S-Force under Major (later Major General) K M Shafiullah were raised afterwards to fight battles in efficient manners. The irregular forces, generally called Gono Bahini (people’s army), were those who were trained more in guerrilla warfare than the conventional one.
The irregular forces, which after initial training joined different sectors, consisted of the students, peasants, workers and political activists. Irregular forces were initiated inside Bangladesh province to adopt guerrilla warfare against the enemy. The regular forces were engaged in fighting the usual way.
The Mukti Bahini obtained strength from the two main streams of fighting elements: members of armed forces of erstwhileEast Pakistan and members of the urban and rural youths many of whome were volunteers. Other groups included members of sangram parishads, youth and student wings of Awami League, NAP, Leftist-Communist Parties and radical groups. The Mukti Bahini had several factions. The foremost one was organized by the members of the regular armed force, who were generally known as Freedom Fighters (FF). Then there was Bangladesh Liberation Forces (BLF) led by four youth leaders of the political wing of Sheikh Mujib’s Awami League and the third one generally known as Special Guerrilla Forces (SGF) led by the Communist Party of Bangladesh, National Awami Party, and Bangladesh Students Union. They then jointly launched guerrilla operations against the Pakistani Army causing heavy damages and casualties. This setback prompted the Pakistani Army to induct Razakars, Al-Badrs andAl-Shams (mostly members of Jamaat-e-Islami and other Islamist groups), as well as other Bengalis who opposed independence, and Biharis who had settled during the time of partition. This helped Pakistan stem the tide somewhat as the monsoon approached in the months of June and July.

Bangladesh Navy
Bangladesh Navy was constituted in August 1971. Initially, there were two ships and 45 navy personnel. These ships carried out many successful raids on the Pakistani fleet. But both of these ships were mistakenly hit and destroyed by Indian fighter planes on 10 December 1971, when they were about to launch a major attack on Mongla seaport.
[

Bangladesh Air Force
Bangladesh Air Force started functioning on 28 September at Dimapur in Nagaland, under the command of Air Commodore AK Khondakar. Initially, it consisted of 17 officers, 50 technicians, 2 planes and 1 helicopter. The Air Force carried out more than twelve sorties against Pakistani targets and was quite successful during the initial stages of the Indian attack in early December.

Independent forces
In addition, there were also some independent forces that fought in various regions of Bangladesh and liberated many areas. These included Mujib Bahini which was organized in India. Major General Oban of the Indian Army and Student League leaders Serajul Alam Khan,Sheikh Fazlul Haque Mani, Kazi Arif Ahmed, Abdur Razzak, Tofael Ahmed, A S M Abdur Rob, Shahjahan Siraj, Nur E Alam Siddiqi, and Abdul Quddus Makhon were organisers of this Bahini. There was the Kaderia Bahini under Kader Siddique of Tangail, Afsar Bahini and Aftab Bahini of Mymensingh, Latif Mirza Bahini of Sirajganj, Akbar Hossain Bahini of Jhinaidah, Quddus Molla and Gafur Bahini of Barisal, Hemayet Bahini under Hemayet Uddin of Faridpur. There were also several communist/leftist groups who clashed with the Pakistan Army, and controlled some areas independently.
Leftist factions
In addition,there were some other groups of freedom fighters which were controlled by the Leftist parties and groups including the NAP and Communist Parties. Among others, Siraj Sikder raised a strong guerrilla force which fought several battles with the Pakistani soldiers in Payarabagan, Barisal. Although there were ideological conflicts among the communist parties (most notably, split into pro-soviet and pro-Chinese factions and widespread split within the pro-Chinese faction) on deciding a common action in the context of Bangladesh Liberation, many of the individuals and leaders of Mukti Bahini were deeply influenced by the leftist ideology in general. There were strong concerns among the Indian authority and members of the Awami League led provisional government not to lose the control of the liberation war to the leftists. Nevertheless many leftists overcame these internal and external difficulties and actively participated in the Liberation war with the main nucleus of the Mukti Bahini.
Broadcast warriors
Performers at Swadhin Bangla Betar Kendra like M. R. Akhtar Mukul, Apel Mahmud (Singer), Abdul Jabbar (Singer), Mohammad Shah were great inspirations for the freedom-fighters in 1971, and were considered to be Broadcast Warriors.
 
Leave a comment

Posted by on February 1, 2010 in the 75 tragedy

 

MUKTHI SHENADHER MILON MELA AT KALKINI

>আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন :- মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। অথচ তাকে আবার স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টা চলছে।
সোমবার জাতীয় গ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগ সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্বাধীনতা উৎসব ২০১১’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমু বলেন, জিয়াউর রহমান ২৪ মার্চ রাতে পাকিস্তানের সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এখন তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টা চলছে। সকলের কাছে প্রশ্ন রেখে আমু আরো বলেন, যিনি পাকিস্তানের সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে পারেন তিনি কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয় ?
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়েও নানা ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্র খুবই প্রকট।
৭৫ পরবর্তী ২১ বছর পাকিস্তানিদের দোসররা দেশ পরিচালনা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লে. জে নিয়াজী তাই লন্ডনে ১৯৭৭ সালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা চলে আসলেও সেখানে আমাদের সন্তানেরা দেশ (বাংলাদেশ) শাসন করছে।
জাতীয় সংসদের হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, বিএনপি ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিগুলো যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যতদিন হবে না ততদিন আন্দোলন চলবে। তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে চিরদিনের জন্য নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

Freedom Fighter Abdul Mannan Talukdar in The Victory Day 2009, upazila administration celebrated the freedom fighters at Syed Abul Hossain University College ground.

My field commander Md.Sikim Ali, Subedhar Naek (Ex Military gunner in the middle) The Victory Day 2009, upazila administration celebrated the freedom fighters at Syed Abul Hossain University College ground.

I embraced  Kalkini Thana Commander Md. Mojibur Rahman & Freedom Fighter Abdul Mannan Talukdar in The Victory Day 2009, upazila administration celebrated the freedom fighters at Syed Abul Hossain University College ground.
All the Freedom Fighters with the old 3/3 rifles in The Victory Day 2009, upazila administration celebrated the freedom fighters on the victory day 2009 at syed abul hossain university college ground.
 
Leave a comment

Posted by on January 23, 2010 in we fought for freedom